অভিনেতা এ টি এম শামসুজ্জামান লাইফ সাপোর্টে
অভিনেতা এ টি এম শামসুজ্জামান লাইফ সাপোর্টে

দেশবরেণ্য অভিনয়শিল্পী এ টি এম শামসুজ্জামানকে লাইফ সাপোর্ট দেওয়া হয়েছে। তিনি রাজধানীর পুরান আসগর আলী হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন আছেন। শারীরিক অবস্থার অবণতি হলে আজ মঙ্গলবার দুপুর থেকে তাঁকে লাইফ সাপোর্ট দেওয়া হয়েছে বলে প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন অভিনয়শিল্পী সংঘের সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব নাসিম।

আহসান হাবিব নাসিম বলেন, ‘আজ দুপুরের পর আমাদের সবার প্রিয় অভিনয়শিল্পীকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে। এর আগে একই হাসপাতালে ২৭ এপ্রিল এই বরেণ্য অভিনেতার শরীরে অস্ত্রোপচার করা হয়। তখন তাঁকে ৭২ ঘণ্টার পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছিল। কিংবদন্তি এ অভিনেতাকে শুক্রবার রাতে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

৭৮ বছর বয়সী এ অভিনেতা অধ্যাপক রাকিব উদ্দিনের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাসেবা নিচ্ছেন।

এ টি এম শামসুজ্জামান বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেতা, পরিচালক, কাহিনিকার, চিত্রনাট্যকার, সংলাপকার ও গল্পকার। অভিনয়ের জন্য কয়েকবার পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। শিল্পকলায় অবদানের জন্য ২০১৫ সালে পেয়েছেন রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ সম্মাননা একুশে পদক।

নোয়াখালীর দৌলতপুরে নানাবাড়িতে এ টি এম শামসুজ্জামান ১৯৪১ সালের ১০ সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। গ্রামের বাড়ি লক্ষ্মীপুর জেলার ভোলাকোটের বড়বাড়ি আর ঢাকায় থাকতেন দেবেন্দ্রনাথ দাস লেনে। পড়াশোনা করেছেন ঢাকার পোগোজ স্কুল, কলেজিয়েট স্কুল, রাজশাহীর লোকনাথ হাইস্কুলে। তাঁর বাবা নূরুজ্জামান ছিলেন নামকরা উকিল এবং শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হকের সঙ্গে রাজনীতি করতেন। মা নুরুন্নেসা বেগম। পাঁচ ভাই ও তিন বোনের মধ্যে শামসুজ্জামান ছিলেন সবার বড়।

এ টি এম শামসুজ্জামানের চলচ্চিত্র জীবনের শুরু ১৯৬১ সালে পরিচালক উদয়ন চৌধুরীর ‘বিষকন্যা’ চলচ্চিত্রে সহকারী পরিচালক হিসেবে। প্রথম কাহিনি ও চিত্রনাট্য লিখেছেন ‘জলছবি’ চলচ্চিত্রের জন্য। ছবির পরিচালক ছিলেন নারায়ণ ঘোষ মিতা, এ ছবির মাধ্যমেই অভিনেতা ফারুকের চলচ্চিত্রে অভিষেক। এ পর্যন্ত শতাধিক চিত্রনাট্য ও কাহিনি লিখেছেন। প্রথম দিকে কৌতুক অভিনেতা হিসেবে চলচ্চিত্র জীবন শুরু করেন তিনি। অভিনেতা হিসেবে চলচ্চিত্র পর্দায় আগমন ১৯৬৫ সালের দিকে। ১৯৭৬ সালে চলচ্চিত্রকার আমজাদ হোসেনের ‘নয়নমণি’ চলচ্চিত্রে খলনায়কের চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে আলোচনায় আসেন তিনি। ১৯৮৭ সালে কাজী হায়াৎ পরিচালিত ‘দায়ী কে?’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান। রেদওয়ান রনি পরিচালিত ‘চোরাবালি’ ছবিতেও অভিনয় করে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে পার্শ্বচরিত্রে শ্রেষ্ঠ অভিনেতার সম্মাননা অর্জন করেন।


সাবস্ক্রাইব করুন! মেইল দ্বারা নিউজ আপডেট পান