এ শহর
এখানে শুধু ইট-পাথরের গন্ধ,
যন্ত্রণার ঝাঁজ।
গোধূলিতে এ মুখ ও মুখে পরিচিতর সন্ধান,
প্রিয়জনের খোঁজ।
তৃপ্তির তৃষ্ণায়,
আজ কাল পরশুর ছুটে চলা।
আপনারে লয়ে আপনার সাথে কথা বলা।
কৃত্রিম স্বপ্ন,
নিদ্রাতুর কলেবর ভাসে হাওয়ায়।
অবশেষে যা ছিল তাই।
এ শহর,
চোঁখ মেলো আঁখি খোল শুণ্যতার বাহার।
এরপর,
মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা আর হাহাকার।
বিকৃত চেতনা
চলে একি রং ঢং শত মুখে এক কথা,
ভাবনার থলিতে পচা গন্ধের বাজে প্রথা।
কবে কার ক্ষুত ছিল এই নিয়ে দৌড় ঝাপ,
নিজ পানে চেয়ে দেখ জঞ্জালের উত্তাপ।
হিসেবটা মিলছে না এই বলে নির্বাক,
কেনতবে ছুঁড়ে ফেলো ফালতু যত বাক?
মানুষ হয়েও কেন বিকৃত চেতনা,
মানুষ হয়েও কেন অমানুষিক ভাবনা?
বলে বলে ঠোঁট দুটো লম্বায় সাত হাত,
এই নেই সেই নেই নিজে বাঁচার অজুহাত।
প্রাচীরের ঐ পাশে নোংরায় নাজেহাল,
স্বভাবটা বদলাও বদলাবে হালচাল।
একে বলি ওকে বলি নিজে বেঁচে তোর নাম,
সব তবে ঠিক হে করো কেন বদনাম?
মানুষ হয়েও কেন বিকৃত চেতনা ,
মানুষ হয়েও কেন অমানুষিক ভাবনা?
তিলে তিলে গড়া তার সৌখিন সম্মান,
ছাই ফেলে ঢেকে দিবো এই কেন মন-প্রাণ।
তৃষ্ণার পাঁজরে বাধা আক্রোশ চাপা দাও,
শত মুখে কথাটার সুরটা পালটাও।
এতকাল চোঁখ বুঝে গিলেছিলে লোকসান !
খোঁচাখুঁচি ছেঁড়ে তবে করো এর অবসান।
মানুষ হয়েও কেন বিকৃত চেতনা,
মানুষ হয়েও কেন অমানুষিক ভাবনা?
জীবাণুনাশক প্রলেপ
খাতিরের সম্মন্দ হলে বিশেষ অসুবিধা নেই,
চুন দূরে থাক,
পান থেকে সুপারি খসলেও না।
উল্টো পিঠে;
শুকনো পাতায় শরীরের চাপ পড়লে মরমর শব্দ টুকু কানে বাজে।
এ সকল অপ্রাপ্ত ব্যবস্থা সমাজের,
নিগৃহীত চাষবাস কালের,
বিপর্যস্ত ব্যবহার সময়ের,
এই বলে শুধু নিজেকে বাচিঁয়ে রাখা।
চেতনা মৃত হলে জগত আর সংসারের দোষ।
ভাল-মন্দের ব্যবহার ধরিত্রীতে এখনো সচল।
বুদ্ধির মাথা না খেয়ে চিন্তায় সহজ-সরল আর স্বাভাবিক শব্দ গুলো রোপন করলেই তো হয়।
সার-গোবর এর পরিচর্যা অব্যাহত রাখলে সতেজ হতে কতক্ষণ লাগবে?
প্রত্যকেই প্রত্যেকের যায়গা থেকে একটু নড়াচড়া করলেই হবে,
তবে ভালোর দিকে হওয়া চাই।
দুর্গন্ধযুক্ত ক্ষতস্থানে জীবাণুনাশক প্রলেপ দেওয়া চাই।
হু হু
সময় আর সুযোগকে নিমন্ত্রণ করেও বিন্দুমাত্র সাড়া মিলছে না?
বুদ্ধির তলিতে মরীচিকা পড়েছে বোধ করি!
জানেন না?
হু হু শব্দে নিরুৎসুক হলে সাজার অন্ত নেই;
যেখানে সজাগ হলেও যা,
নিদ্রাতুরেও তা,
যার ফলে নির্ভেজালের একান্ত সমষ্টিতে শুধু জীবনের হিসাবটা মিলবে না।
অভিশপ্ত অতীত
কেবলই তাহার আঁখি,
কেবলই তাহার মায়া।
কেবলই তাহারে দেখি,
কেবলই তাহার ছায়া।
স্বপনে আসিয়া শিহরণ তুলে,
অর্ধ-নগ্ন কায়া।
কাঁপুনি উঠাইয়া হুঙ্কার ছুঁড়ে,
তুই; পথভ্রষ্ট জায়া।
বিরহের ক্ষত
ভাবি তারে মনে যত,
সইতে নাহি পারি ক্ষত।
মস্ত ব্যথা চিত্তে সুপ্ত,
জল ঢালতে চক্ষু লিপ্ত।