মারজুক রাসেল। বাংলাদেশ-এর সুপরিচিত অভিনেতা এবং গীতিকার। বাংলাদেশের বহু
নামী ব্যান্ডের অনেক বিখ্যাত গান মারজুক-এর লেখা। নগর বাউল জেমস-এর গানও
মারজুকেরই লেখা।আর এইসবের আড়ালে লুকিয়ে থাকেন কবি মারজুক।একেবারেই অন্য
কলমের সেসব কবিতা। আর গোপনচারী হয়ে থাকতে পছন্দ করা কবি।ভাবনাচলনের
বহুরৈখিকতায় বিশ্বাসী মারজুক, ভাবনাস্তরটিকে নানা দিক থেকে আবিষ্কার ও
আলোকিত করে তোলায় বিশ্বাসী মারজুক, নিজের ভাবনাসূত্রটিকে কখনও ভালবেসে কখনও
আক্রমণ করে কখনও পরিহাস রঙ্গ করে আর কখনও বা স্রেফ স্টিয়ারিং-এ উদাসী
হাত রেখে বা জুতোয় বাউলের পা গলিয়ে শিকলমুক্ত ভ্রামক হয়ে বেরিয়ে পড়েন
নিজেরই ভাবনাপথে আর শব্দে লিপিত করেন পাওয়া না-পাওয়া বিস্ময় জিজ্ঞাসা সব।
কাজি অফিস
লং-ড্রাইভ। চাঁদে আর যাচ্ছি না কখনো।
জ্যোৎস্না পড়ছে গায়ে, গড়াতে শেখার পর
লক্ষ্য ঠিক রেখে পায়ে,
জুতোর ওপর, ঘাসে ; অতিরিক্ততার পাশে।
ওসবের পিছু পিছু প্রেমও পড়ার চেষ্টা করছে
ছড়াতে পারার ক্ষমতা পেলেই পড়ে যাবে--
'অনেক উপরে, আকাশেই প্রেম থাকে'--- একজন আরেকজনকে,
আরেকজন একজনকে, বোঝাতে বাধ্য করার বিরতিতে,
দুটিজন একসংগে ; আলোতে, ছায়াতে, অন্ধকারে ; হেঁটে, বসে,
দাঁড়িয়ে ; শুয়েও ভাবে---
'বাজ পড়ে কোন প্রয়োজনে?'
পাবলিক উওম্যান
দড়ি পাকানোর আগের অবস্থা ধৈর্যে ধরে
ওই প্রক্রিয়ার সঙ্গে ঈ-প্রত্যয় যোগে রমণী হয়েছে
তারপর ফেটে গেছে ইশকুলে, অফিসপাড়ায়,
আবাসিক হোটেলের সিঁড়ি বেয়ে চাঁদে.....
ছায়াডাকা, পাখিঢাকা
কাঁচাপাকা ঢিল গাছে ঝুলে থাকে। দেখা যায়।
কিয়দংশ পাতার আড়ালে----- সে-গুলোও কাঁচাপাকা?
----- সন্দেহ জঙ্গল খুলে আশেপাশে থাকে-----
পাতাকে আড়াল করে, আড়ালকে পাতায় বসিয়ে রেখে
অপেক্ষা করার কথা অনুরোধে বলে
আমরা বড়ুই ছুঁড়ি গাছে----
এসব বড়ুই যেসব অঞ্চলে হয়
সে-অঞ্চল ছায়াডাকা পাখিঢাকা অভিধায় খ্যাত।
ওয়েটিং প্লেস
পাখা পেয়ে গেলে চুমু উড়ে যায় ডান হাত থেকে
সকালের সাড়ে দশটায়, ক্লিনশেভে, চা-দোকান, নীলক্ষেত, কার্ডফোন,
রোদ, বৃহস্পতি, সিগারেটে....শরীরভ্রমণ পরবর্তী ঘামে----
উল্লিখিত ওড়াউড়ি সড়কের পরপারে রিকশায় এসে নামে।