চলে গেলেন কণ্ঠশিল্পী আইয়ুব বাচ্চু
চলে গেলেন কণ্ঠশিল্পী  আইয়ুব বাচ্চু
বাংলাদেশের ব্যান্ড সংগীতকে এগিয়ে নেওয়ার অন্যতম অগ্রপথিক আইয়ুব বাচ্চু আর নেই।

বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ৯টার দিকে তাকে অচেতন অবস্থায় ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন বলে জরুরি বিভাগের নার্স হাবিবুর রহমান জানান।

ব্যান্ড দল  এলআরবির  লিড গিটারিস্ট ও ভোকাল আইয়ুব বাচ্চু ছিলেন একাধারে গায়ক, গীতিকার, সুরকার এবং প্লেব্যাক শিল্পী। তার বয়স হয়েছিল ৫৬ বছর।

এলারবি ব্যান্ডের শামিম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বাসায় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন বাচ্চু। এরপর তাকে স্কয়ার হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।

একনজরে আইয়ুব বাচ্চু

জন্ম: ১৬ আগস্ট ১৯৬২, চট্টগ্রাম
মৃত্যু: ১৮ অক্টোবর ২০১৮, ঢাকা
সংগীত জীবন শুরু: ১৯৭৭
প্রথম গান: হারানো বিকেলের গল্প
ব্যান্ড: প্রথম ব্যান্ড ফিলিংস (১৯৭৮)। এরপর যোগ দেন সোলসে। ১৯৮০ থেকে পরবর্তী এক দশক এই ব্যান্ডে যুক্ত ছিলেন। সোলস ছাড়ার পর ১৯৯১ সালে নিজে গঠন করেন নতুন ব্যান্ড এলআরবি। প্রথমে এলআরবির পূর্ণ অর্থ ছিল লিটল রিভার ব্যান্ড। পরে এই নাম বদলে করা হয় লাভ রানস ব্লাইন্ড। 
প্রথম একক অ্যালবাম: রক্তগোলাপ (১৯৮৬)
এলআরবির প্রথম অ্যালবাম: এলআরবি (১৯৯২)

সংগীত জীবন
ব্যান্ড অ্যালবাম
এলআরবি (১৯৯২)
সুখ (১৯৯৩)
তবুও (১৯৯৪)
ঘুমন্ত শহরে (১৯৯৫)
ফেরারী মন (১৯৯৬)
স্বপ্ন (১৯৯৬)
আমাদের বিস্ময় (১৯৯৮)
মন চাইলে মন পাবে (২০০০)
অচেনা জীবন (২০০৩)
মনে আছে নাকি নেই (২০০৫)
স্পর্শ (২০০৮)
যুদ্ধ (২০১২)

একক অ্যালবাম

রক্তগোলাপ (১৯৮৬)

ময়না (১৯৮৮)

কষ্ট (১৯৯৫)

সময় (১৯৯৮)

একা (১৯৯৯)

প্রেম তুমি কি! (২০০২)

দুটি মন (২০০২)

কাফেলা (২০০২)

প্রেম প্রেমের মতো (২০০৩)

পথের গান (২০০৪)

ভাটির টানে মাটির গানে (২০০৬)

জীবন (২০০৬)

সাউন্ড অব সাইলেন্স (ইন্সট্রুমেন্টাল, ২০০৭)

রিমঝিম বৃষ্টি (২০০৮)

বলিনি কখনো (২০০৯)

জীবনের গল্প (২০১৫)

এ ছাড়া অনেক মিশ্র অ্যালবামে কাজ করেছেন। এর মধ্যে প্রিন্স মাহমুদের সুরে করা মিশ্র অ্যালবামগুলোতে তাঁর গান আকাশছোঁয়া জনপ্রিয়তা পায়। তাঁর সেরা গানগুলো নিয়ে একটি অ্যালবাম বের করা হয়। প্লেব্যাক গায়ক হিসেবে চলচ্চিত্রেও গেয়েছেন। যেখানে তাঁর আম্মাজান গানটি বাংলা সিনেমার ইতিহাসের সবচেয়ে জনপ্রিয় গানগুলোর একটি ধরা হয়।


সূত্র: বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম

সাবস্ক্রাইব করুন! মেইল দ্বারা নিউজ আপডেট পান