২২ সেপ্টেম্বর, শনিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচাস্থ জাতীয় নাট্যশালার স্টুডিও থিয়েটার মিলনায়তনে তার হাতে এই পুরস্কার তুলে দেবে নাটকের দল থিয়েটার আর্ট ইউনিট।
বরেণ্য নাট্যব্যক্তিত্ব এস এম সোলায়মানের নামে এই পুরস্কার ২০০৫ সালে প্রবর্তন করা হয়।
প্রয়াত এস এম সোলায়মান স্মরণে প্রতি বছর একজন তরুণ মেধাবী নাট্যশিল্পী অথবা নাট্যসংগঠনকে প্রণোদনা স্বরূপ এই পুরস্কার দিয়ে আসছে থিয়েটার আর্ট ইউনিট।
এর আগে এই পুরস্কার পেয়েছেন আমিনুর রহমান, সাইদুর রহমান, শাহাদাত হোসেন, আনোয়ারুল হক, কাজী তৌফিকুল ইসলাম, ত্রপা মজুমদার, সুদীপ চক্রবর্তী, সামিনা লুৎফা নিত্রা, রামিজ রাজু এবং পাবনা চাঁটমোহরের সমন্বয় থিয়েটার, মৌলভীবাজার কমলগঞ্জের মণিপুরি থিয়েটার ও হবিগঞ্জের প্রতীক থিয়েটার। অনুষ্ঠানে স্মারক বক্তৃতা দেবেন লেখক-গবেষক সাজেদুল আউয়াল। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থি থাকবেন নাট্যজন ম. হামিদ। আলোচক হিসেবে উপস্থিত থাকবেন অধ্যাপক ম. সাইফুল আলম চৌধুরী ও নাট্যকার মাসুম রেজা।
এ ছাড়া থাকবে এস এম সোলায়মানের লেখা ‘সুনাই কইন্যার পালা’ নাটকের সঙ্গীত পরিবেশনা। পরিবেশন করবে মহাকাল নাট্য সম্প্রদায়।
এস এম সোলায়মান ১৯৫৩ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর ভারতের আসামের ডিগবয় শহরে জন্মগ্রহণ করেন। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে সোলায়মান নাট্যচর্চায় যুক্ত হন এবং বাংলাদেশের নবনাট্য আন্দোলনে ভূমিকা রাখেন। তিনি বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের দুই দফা সেক্রেটারি জেনারেলের দায়িত্ব পালন করেন। কালান্তর, পদাতিক নাট্য সংসদ, ঢাকা পদাতিক, অন্যদল ও থিয়েটার আর্ট ইউনিটের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন এস এম সোলায়মান। ত্রিশটিরও বেশি নাটক রচনা, রূপান্তর ও নির্দেশনা দিয়েছেন এ নাট্যব্যক্তিত্ব।
নাট্যকর্মে বিশেষ অবদানের জন্য তিনি ২০১৪ সালে একুশে পদক (মরণোত্তর) পান।
২০০১ সালের ২২ সেপ্টেম্বর মাত্র ৪৮ বছর বয়সে এস এম সোলায়মানের অকালপ্রয়াণ ঘটে।