সেইসব তলকথা
❑❑
যদি বীজের কীর্তি মনে করিয়ে দেই
ফাটল মুখ্য হতে পারে কীভাবে―
এই আকাশ এই মৃত্তিকা অভিন্ন
জানালাশোভা নিঙরে
জলফাঁটা কারও মুখ ভেসে ওঠে অমিতাভ
ঠিক তা নয়, ধরা যাক ও কোণে বিকাশ প্রস্তাব
যদি দিগন্ত সেচ উদ্দাম ছিঁড়ে ফেলি
নৈর্ঋতে তোমার চোখ ভরসা করবে। কী করা?
ওই আতশ ভুবনে গজিয়ে উঠবে উপলধাঁধা
আমরা সাজাবো দাম্পত্য!
ও তো মেঘ! ও তো উপহাস! রোষকথা ছিটাচ্ছি কেন?
তাকে বলি শব্দ, বলা হয় শিল্প, বলা হোক ধান।
ভাতশিল্প
❑❑
আজ সূর্য উঠেছে। ঘৃণা থেকে বিরত থাকি।
অতিরটনা মনে হলেও দীর্ঘদিন তোমার তাপ পায়নি এই পরস্পর।
ক্ষমা করে দেবো। কাকে?
যাকে যুদ্ধে পাওয়া যায় না এমন বেড়ালকে হালুম করার সুযোগ দেওয়া অধর্ম।
প্রকৃত কাসন্তান, তোমাকে বোঝার ছলনা নিচ্ছি―আপাতত চলুক ঢালশুমার।
এই আমার থালা, এর সমীপে কোনো অতিরহস্য নেই। যা আছে সবই ছদ্মবেশ।
যেহেতু আঁধার আর আধার বিরাজিত সমান; ক্ষুধার আরশে ভিখারির আকাক্সক্ষা
সম্পূর্ণ মেলে ধরতে পারি?
মাংসধ্বনি
❑❑
দৌড় আর গতি―আমি শুনি সংকেত।
তোমার রক্ষণভাগ থেকে অতিদূরে যে সংহিতা, তার ইন্দ্রিয়কে আমি সন্দেহ করি।
অঢেল আমাদের আকাক্সক্ষা―নিজের ভেতর কিছুই না পেয়ে ছুটে গিয়েছে
ওই প্রকট অলক্ষ্যে―
ঘটেছে অভিন্ন
দাবড় আর পলায়ন, ছুট আর হানা
অতঃপর মৃগয়ায় থাবা তারপর শিকার এরপর ক্ষুধাসাঙ্গ
কীভাবে আমরা এমন শোভা ঘ্রাণনির্ভর দেখি, তেজের স্কেল মাপি
ভাবতেই গা-কাঁটা চিত্রপট।
ধনুর্ধর, বলো তো সমীপ, এই ছিন্নভিন্নের আড়ালে সিংহের হাসি কতটা কেশরসুলভ!
প্রাণহাজিরা
❑❑
হাতুড়ি পেটানো ভিড়―এই ভীষণে থাকে কে?
―আমি―
―ডিএনএ খুলে তদন্ত হোক―
\ পাখি বলে পাখিকে, নেকড়েকে বলে নেকড়ে \
―মানুষ এসেছে―
জগৎ-মধ্যের ঘাতক পোকার অসংখ্য ক্রীতদাস
আয়না করব
―বের হবে কিংবদন্তি―দেখাব মানুষের ভেতরকার রেস্তরাঁ―
এই মুভিচরিত্রে । গাছগণ সশস্ত্র
। পোশাকভাঙা এক মুদ্রণ
তোমার নির্দেশ করে তোমাকে
ঘোঁতঘোঁত ফোটে যৌথভ্রম; এই বচনচক্রে মানুষ মিথ্যা