আইভি হোসেন এর দুটি কবিতা
আইভি হোসেন এর দুটি কবিতা
বিদায়ে

বিশ্বাস করো;

 

অনেক খুঁজেছি তোমায়!

 

তোমার সাথে কথা বলতে পারাটাই প্রাপ্তিস্বীকারপত্র মনে হচ্ছিল আমার!


ডাকপিয়ন আজ চিঠি দিয়ো গেলো

 

দরজায় ঠকঠক কড়ানেড়ে

 

ইশ! কী সুন্দর ঘামের গন্ধমাখা একখণ্ড কাগজ!

 

কাগজে লেখা, এতোএতো চুপ কথার ভেতর এতোটুকু বুঝতে পেরেছি৷

 

তুমিও আমায় খোঁজো৷

 

তুমিও ব্রহ্মপুত্রের পাড়ে  হাঁটতেহাটঁতে হঠ্যাৎ হোঁচটখাও!

 

অস্থির থাকো৷

 

জানো তো!

 

তুমি চাইলে সবই পাবে!

 

আমাকে ভেতর থেকে ডাকলেও-

 

একদিন ঠিক দেখা হয়ে যাবে!

 

তিনটা পাশাপাশি ত্রিভুজাকৃতি রাস্তার মোড়ে!

 

দেখা হলে,

 

সাক্ষাৎ হলে,

 

ভালো আছি? ভালো থেকো?

 

এসবও বলাবলি হবে?

 

জানো তো, মানুষ সবই পেতে পারে,

 

কেবল সময়কে ফিরে পায় না৷

 

সময় শত্রুর মতন সুযোগ বুঝে খুন করে দিয়ে যায় আমাদের

 

সময় কত সহজে বিদায় বলে দেয়!

 

ভাসন্ত প্রাণ

 

অথচ ঘুম চোখে দেখে যাই আমি স্বপ্ন

দেখি গাঁয়ের লোকজনের সামনে

আমি নদীতে ঝাপ দিলাম

পানিতে ডুবে যখন

মরে যাচ্ছি একটুএকটু করে,

সবাই দাঁড়িয়ে সে দৃশ্য দেখায় ব্যস্ত,

দিক দিগন্ত এক করে ভেসে যাচ্ছি তো যাচ্ছিই

ভাসতেভাসতে হঠ্যাৎ ধাক্কা খেলাম ভাসমান সারিবদ্ধ একদল পানাফুলের সাথে

সেখান থেকে একটি পানাফুল আমায় জিঙ্গাসা করলো,

কে তুমি? এখানে কেনো?

প্রশ্নের উত্তর কি দিবো পেলাম নাহ খুঁজে,

সত্যি কে আমি?

আমি কি পানাফুলের হারিয়ে যাওয়া এক সন্তান!

যে আজ এতো বছর পর ভাসতেভাসতে তাদের সংসারে আমার কপাল ঠেকালাম?

তখন খুব তীরে ছুটে আসতে ইচ্ছে করলো!

আমার বাড়ির দরজা দিয়ে প্রবেশ করে ,

সোজা ঘরের কোণে আয়নার সামনে দাড়িয়ে নিজের মুখ দেখতে ইচ্ছে করলো,

গাঁয়ের সবচেয়ে বড় চিত্রশিল্প কে নিজের জমানো সকল টাকার বিনিময়ে হলেও আমার এই মুখখানা,

যেনো একখন্ড কাগজে এঁকে দেয় সেই আকুতি করতে ইচ্ছে করলো

আমার শরীরের গন্ধে যতজন হারিয়েছে নিজেকে,ভাসিয়ে দিতে চেয়ে আমার মাঝে তাদের মুখখানা র্স্পশ করতে বড্ড বেশী ইচ্ছে করলো!

এক,দুই তিন করেকরে মাটির ঘরের দেয়ালে যে দাগ দিয়েদিয়ে প্রেমের বছর গুণা শিখিয়েছে, গাঁয়ের পথে সঙ্গী হয়েছে যে,

ধুলির ছাপে যে জীবনের মানচিত্র এঁকে দিয়েছে,

সে রাখালকে খুব দেখতে ইচ্ছে করলো

চলে যাওয়া দিনের সকল দুঃখ গুলোর হাতে হাতটি ধরে খুব বেশী কাঁদতে ইচ্ছে করলো!

দুঃখ, সুখের এক দিগন্তবিস্তৃত মাঠে ছ্রোটছ্রোট পায়ে কোন এক ছ্রোটখোকন সোনার হাতে হাত রেখে ঘরে ফিরতে ইচ্ছে করলো,

নিজেকে আবার একটি বার মানুষ ভাবতে ইচ্ছে করলো

 

কিন্তু!

ততক্ষণে এই আমি তো ভাসবান এক পানাফুল, ভাসমান এক লা


সাবস্ক্রাইব করুন! মেইল দ্বারা নিউজ আপডেট পান