আলোর ফেরেস্তা নই, জ্বীনও নই। কি বলছো? না, না, সেও যেনই--
তারও তো সাক্ষী আছে-- উত্তরাধুনিক ওড়না বুকে তোমার ওই পরীমণি
রঙের প্রতিদ্বন্দ্বী! এহেন অবস্থা যখন, তখন ভালোবেসে চাইনিকো
কোনো কিছই, তুমিই বলো, কোন্ বাহানায় এমনটি দাবি করা যায়?
আমি তো কখনো নিষিদ্ধ বেমারে আক্রান্ত উপমহাদেশীয় গণতন্ত্রনই !
অতএব রামকানাইয়ের নির্বুদ্ধিতার পথ ধরে বলে নেয়া ভালো: চেয়েছি,
চেয়েছিগো যুবতী! তবে চেয়েছিতা- ইযা নিলে কালো মৃত্যুও মেনে নেয়
লাল প্রতিশ্রুতি। সংশয়ের সুরমা মাখাচোখে তুমি কি দেখোনি-
নগ্ন সুযোগের সন্ধ্যায়ও আমি বাড়াইনি হলমার্ক হাত? জগতশেঠের গলায়
বিশ্বায়ন ডেকে গেছে কেঁপে ওঠা প্রলুব্ধ দুয়ারে: উঠুন উঠুন! সুযোগ এসেছে!
খুলিনি কো। শুধু সেই তোমাকে ফোটাতে চেয়ে মন বাড়িয়ে প্রভাতের
সূর্য হয়েছি; উঠোনের বৃক্ষটিকে দ্যাখো আমি, পাখি ডাকা বাগান করেছি!
পদ্মার আক্রোশে কাঁপা বাবলাবনার পাশ ঘেঁষে ছোট একটি গ্রামটি কলীচর
সেখানে করাতের শব্দশুনে কেটে গেছে মার্বেল বাল্যকাল, গুড্ডি কৈশোর;
তবু কুড়াল আমার নয়, করাত আমার নয়। মাঝেমাঝে চঞ্চল ছায়ায় বসে
সাকিহীন আধখানা ওমর খৈয়াম, এর বেশি কোনো কিছু নয়; এবং
তুমি বিশ্বাস করো এই আমাকে, হয়তোবা সেকারণেই কষ্টটা বেশি আমার!