নির্বাক ঝাঁঝরা বাংলাদেশ
জলদগম্ভীর কন্ঠে
পিতার উচ্চারণ ছিলো
তোমরা কে ওখানে! কী চাই?
মীরজাফরের বংশধরেরা কেউ কথা বলেনি।
রাত্রির স্তব্ধতা ভেঙ্গে নিষ্ঠুর গর্জনে গর্জে উঠলো
স্টেনগান আর মেশিন গানের অভিশ্রান্ত গুলি
মুহূর্তেই ভালোবাসাভরা বাংলার বিশাল বুকখানা ছিন্নভিন্ন করে দিলো;
নির্বিচারে নিঃশেষ করে দিলো ঘুমন্ত সকল প্রিয়জনদের।
বাড়ির দেয়ালে, ইটে, কাঠে, কংক্রিটে -
কবুতরের বাক্সে, বকুল গাছের শান্ত শরীরে
হিরোসীমার নির্মম নকশা এঁকে দিয়ে গেলো
বাঙালি নামধারী কিছু জারজ কুলাঙ্গার সন্তান।
অতঃপর, ধূমায়িত উষ্ণ রক্তস্রোত
বত্রিশ নম্বর বাড়ির সিড়ি বেয়ে নেমে এসে
বাংলার মাটিকে আবারো রক্তস্নান করালো
পলাশীর আম্রকাননের মতো।
ভোরের বাতাসে উড়ে বেড়ালো
কবুতরের বুকের নম্র-শুভ্র করুণ পালক
মলিন মুখে অস্তচাঁদ চেয়ে রইলো আকাশে
নির্বাক ঝাঁঝরা বাংলাদেশ বিক্ষুব্ধ বেদনায় বিষাদ ছড়ালো বাতাসে !
সেন্ট-ল্যোরান্ট নদীর তীর থেকে (মন্ট্রিয়ল, কানাডা)