কষ্টের ঘুড়ি
সকালে শুভ্র কাশফুল বললো সুখের কথা
তবুও মোর দুর হলোনা মনের সব থাকা ব্যাথা।
কত দিন দেখি নাই রবির প্রাতের কিরণ
হারাণো স্মৃতি আর আমার হয়না স্মরণ।
শিউলি ফুল আছে মাটিতে জড়াজড়ি করে
শ্বেত বসন আবৃত কে এলো এই ভোরে।
পাগলা হাওয়া ফুলের ঘ্রান নিয়ে যায় কত দুরে
মন যেতে চায় শুভ্র কালো মেঘের সনে উড়ে
হারানো স্মৃতি আজ মারছে উঁকি মনের কোণে
মনের কষ্ট জমা রাখলান দখিনা পবনে।
পাপী
আশ্বিনের গরমে আমি মরি শরমে
এটাকে কি হেমন্তের রূপ কয়!
ঋতুর এই পরিবর্তন জানিনা কি তার কারণ
ঋতুর এমন রূপ ছিলো না বাংলায়।
গরমের সাথে মশায় কানে কানে গান শোনায়
কয়েল মশারী মশার কাছে ফেল।
মানুষ তোমরা সব পারো পারলে মশাকে ধরো
অকারন মানুষ মেরে খাটছো জেল।
গরমে মশার উৎপাত রাখো গুটায় হাত
মানুষ কোপাতে এতো মজা পাও?
অথচ অসহায় দেখে মারছো মাথা ঠাণ্ডা রেখে
পশুর অধম তুমি কোন দিন মানুষ নও।
ঋতুর বৈরিতাতে ঋতুর দোষ নাই এতে
এই পরিবর্তনে মানুষরাই দায়ী
পেয়ে হাজার সুখ ভুলেছো দুখির দুখ
মনে রেখো দুনিয়ায় হবে না স্থায়ী।
ধিক্ মানুষ তুমি তোমার দোষে দোষী জন্মভুমি
তোর মত পাষণ্ডকে ধরেছিলো বুকে
মানুষ হয়ে মানুষ মেরে অসৎ কর্ম করে
মায়ের মুখে কালি দিলি মেখে।।
আবু নাসির।