আমজাদ সুজন এর কবিতাগুচ্ছ
আমজাদ সুজন এর কবিতাগুচ্ছ

ডাকাতশিশু

প্রথম চোখ মেলে শিশু তাকেই দেখে, তাই
সূর্য তার প্রথম খেলনা।
হিরার বল অথবা বরফের লজেন্স হয়ে এই খেলনাটা
ঝুলে থাকে দূরে।

তাকে ধরার জন্য ডাকাতশিশু বাড়তে থাক দ্রুত!


সন্ধ্যায়
ভাঙা জাহাজের দুশ্চিন্তা নিয়ে উড়ে আসে বক

সন্ধ্যায় বাঁশঝাড় মাজে দাঁত
হলুদ পাতারা বসে বিয়ের পিড়িতে

সন্ধ্যায় শিশিরের বদলে টুপটাপ পড়ে শুভ্র মেঘের দুধ

সন্ধ্যায়
ডাকাতশিশু দৌড়ে আসে উলঙ্গ তরবারি হাতে

দুধপান

বাছুর পলকে পলকে ওলানের পানে চায়

বাছুর বুঝে না—কেনো তার মায়ের দুধ
মানুষে খেতে চায়

অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার গান

শব্দ করে পাতা পড়ে গেল

শব্দ করে মাড়িয়ে এলাম আমি

শব্দ দুটো আকাশে উড়ে গেলো

বাতাস শুনতে পেল

মৃতপাতার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার গান

কোমল গান্ধার

কোমলতা নাই, তবু—মসৃণ কাঁসার ঠোঁটে
ধাতব চুমু খেয়ে এলাম
আর চিত্রসারণির ১নং প্রশ্নের উত্তরে লিখলাম :
প্রযোজ্য নহে।

দেহ সাজাবার কোনো আসবাব নাই, তবু
অন্ধ পাগলের দেহ ভাঙার কৌশল জেনে এলাম
আর জানলাম :
দ্রষ্টব্যের অভ্যন্তরে
আমি মুখ লুকানো এক কোমল গান্ধার।

প্রাইভেট মাস্টার

একদল ছাত্রছাত্রী উড়ে এসে বসে পড়লো যার যার বেঞ্চিতে
গাছের জামা–জুতো গাছের গায়ে জড়াতে থাকলো তারা

সকাল এসে ক্লাশে ঢুকলো, ব্রেকফাস্ট হয়ে চলে গেলো
দুপুর এসে ক্লাশে ঢুকলো, লাঞ্চ হয়ে চলে গেলো

একদল ছাত্রছাত্রী উড়তে উড়তে রাতের ক্লাশে পড়তে বসলো
অন্ধকারের ঘ্রাণশক্তি নিয়ে আলো ধরতে ঘুমিয়ে পড়লো তারা
জলপুস্তক–জলপেন্সিলের দেহে


সাবস্ক্রাইব করুন! মেইল দ্বারা নিউজ আপডেট পান