আরব আমিরাতে শরৎ কবিতা উৎসব -১৪২৬
মোহাম্মদ মনির উদ্দিন মান্না :- কবিতার সঙ্গে শরৎতের সখ্য,শুভ্রতার রঙে অনন্য স্নিগ্ধতায় ভরা অনন্য ঋতু শরৎ। গাঁয়ের মেঠোপথে সময়ের পরিক্রমায় শরৎ আসে সৌন্দর্য্যরে ঢালি নিয়ে। তবে ইটকাঠের এই যান্ত্রিক শহরে ষড়ঋতুর শরৎ এর রূপ সুষমা যেন কল্পনার রাজ্যের রূপকথা। অনুষ্ঠান শুরুতে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৩ তম জন্মবার্ষিকীর কেক কাটার মধ্যে দিয়ে দোয়া মোনাজাত করা হয়।
রাজধানী আবুধাবি আরব আমিরাতে বাংলাদেশি প্রবাসীদের মাঝে বৈচিত্র্যপূর্ণ শরৎ এর সৌন্দর্য্য সুধার চিত্র তুলে ধরতেই বরাবরের মতো শরৎ কবিতা উৎসবের আয়োজন করেছে শিল্প, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘জাতীয় কবিতা মঞ্চ, সংযুক্ত আরব আমিরাত কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে গত ২৮শে সেপ্টেম্বর শনিবার স্থানীয় রজনীগন্ধা খান সিআইপি হল রুম আবুধাবিতে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে শরৎ কবিতা উৎসব -১৪২৬ ও বিশিষ্ট শিল্পপতি ও মানবতার কবি ফখরুল ইসলাম খান সি আই পির "একজন আলোকিত মানুষের অব্যক্ত কথা" গ্রন্থের পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বরেণ্য কবি ও কথা-সাহিত্যিক মুহাম্মদ মুসার সভাপতিত্বে ও বিশিষ্ট লেখক ও ব্যাংকার মোহাম্মদ জাফর উদ্দিন ভূঁইয়ার সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথির হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাতীয় কবিতা মঞ্চ সংযুক্ত আরব আমিরাত কেন্দ্রীয় কমিটির প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও মিরসরাই সমিতি সভাপতি ফখরুল ইসলাম খান সিআইপি। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আবুধাবি শেখ খলিফা বাংলাদেশ ইসলামিয়া স্কুল এন্ড কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল কাজি আব্দুর রহিম।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় কবিতা মঞ্চের সাহিত্য বিষয়ক উপদেষ্টা,ডাঃ শেখ শামসুর রহমান পিএইচ ডি,জাতীয় কবিতা মঞ্চের মহিলা বিষয়ক উপদেষ্টা, কবি ও লেখিকা আয়েশা মুন্নীর স্বামী, সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখার পুলিশ পরিদর্শক, লেখক, জকিগঞ্জ থানার সাবেক ওসি মোহাম্মদ জামশেদ আলম, প্রকৌশলী আশিক বডুয়া, জনতা ব্যাংক আবুধাবি শাখার ম্যানেজার আব্দুল হাই,,বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মহিউদ্দিন, মাওলানা এনামুল হক নিজামি, লেখিকা ইসমত আরা রহমান,
উপদেষ্টা, কবি ও লেখক মোহাম্মদ সাইফুল আলম সাইফ, মোহাম্মদ হানিফ, মোহাম্মদ আক্তার উদ্দিন পারভেজ, কবি ও অধ্যাপক জেবুন নাহার, কবি ও লেখক মির্জা মোহাম্মদ আলী প্রমুখ।
এই সময় আরো উপস্হিত ছিলেন কবি পারভিন আক্তার, কবি আরাফাতুর ইসলাম, কবি রিয়াজ বিন,কবি রাজু আহম্মেদ , কবি সরওয়ার উদ্দিন, কবি আল আমিন জয়, বাবু দীপক চন্দ্র দাস, কবি সুমি আক্তার, কবি সুলতানা কামাল, কবি রুবিনা আক্তার, নুরুল গণি সহ প্রমুখ।
প্রবীণ ও নবীন কবিদের স্বকন্ঠে স্বরচিত কবিতা পাঠে প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে এই শরৎ কবিতা উৎসব।
সভায় বক্তারা বলেন- বাংলার আরো অনেক কবি শরৎ ঋতুকে শব্দ সমবায়ে বন্দি করেছেন তাদের কবিতায়। যেমন, সৈয়দ শামসুল হক শরতের অপার বিস্ময়ের কথা লিখেছেন তার কবিতায়- ‘সে কী বিস্ময়! কী যে বিস্ময়! কী করে ভুলি!/আকাশের নীল ঘন শাদা মেঘ, কবেকার গ্রামপথে ডুলি!’ রফিক আজাদ ‘আমার শরৎ’ কবিতায় বলেন-‘শরৎ’ শব্দটি উচ্চারণ মাত্র আমার চোখের সামনে/অর্থাৎ দৃষ্টিসীমার মধ্যে শারদ-আকাশ কিংবা/কাশফুল এসে দাঁড়ায় না-/বরং শরৎচন্দ্র মূর্তিমান হন;/না, শরৎচন্দ্র, নীলাকাশে সমুজ্জ্বল কোনো চাঁদ নয়- /মহামতি শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় স্বয়ং’। আসাদ চৌধুরী আত্মবিবরণের আশ্রয় খুঁজেছেন কাশফুল আর জ্যোৎস্নায়- ‘শাদা কাগজের ওপর রেগে যাই,/সাড়ে চুয়াত্তরে এসে/বাক্যালাপে মেতে ওঠে/অসমাপ্ত পদ্যগুলো/স্মৃতিরাশি শাদা মেঘমালার চেয়েও/অধিক এলোমেলো।’ তবে শরৎকে কবিগুরু বরাবরই দেখেছেন শান্তি, মঙ্গল ও সমৃদ্ধির ঋতু হিসেবে। তিনি বলেছেন- ‘আমরা বেঁধেছি কাশেরগুচ্ছ শেফালী ফুলের মালা/নবীন ধানের মঞ্জুরি দিয়ে সাজিয়ে এনেছি ডালা/এসো হে শারদ লক্ষী তোমার শুভ্র মেঘের রথে/এসো চির নির্মল নীল পথে।
শরৎ যেমন প্রকৃতিকে অপরূপ রূপে সাজিয়ে যায় তেমনি সংস্কৃতিতেও ব্যাপক পরিবর্তনের সূচনা করে মানুষের ক্লান্তি মোচনের ক্ষেত্র তৈরি করে। শরৎ অবসাদগ্রস্ত মনে নতুন প্রেরণার সঞ্চার করে। শরৎতের কাশবন আর জ্যোৎস্নায় প্রিয়জন সান্নিধ্যে হারিয়ে যাওয়ার বাসনা প্রবল হয়, শত কষ্ট গোপন করেও।
প্রবাসের কঠিন কর্ম ব্যস্ততার মাঝে সাহিত্য চর্চা খুবই কষ্টসাধ্য। তারপরও এই কঠিন বাস্তবতাকে মেনে নিয়ে যারা সাহিত্যকে বুকে ধারণ করে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের মুখ উজ্জ্বল করে যাচ্ছেন তারা সাহিত্যাঙ্গনে জাতির জন্য এক একটি নক্ষত্র।
দেশ প্রেম, বাংলা সাহিত্য, সৃষ্টি, কৃষ্টি, সংস্কৃতি, কবিতা আবৃত্তিসহ সকল বিষয়ে আবহমান বাংলার সংস্কৃতি বিশ্ব পরিমন্ডলে নির্বিবাদে তুলে ধরার চেষ্টায় জাতীয় কবিতা মঞ্চ সংযুক্ত আরব আমিরাত কেন্দ্রীয় কমিটির সকল কলা কৌশলী, শুভাকাঙ্ক্ষীদের ভূয়সী প্রশংসা করে ভ্যবিষতে আরো সুদৃঢ় সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।
মোহাম্মদ মনির উদ্দিন মান্না :- কবিতার সঙ্গে শরৎতের সখ্য,শুভ্রতার রঙে অনন্য স্নিগ্ধতায় ভরা অনন্য ঋতু শরৎ। গাঁয়ের মেঠোপথে সময়ের পরিক্রমায় শরৎ আসে সৌন্দর্য্যরে ঢালি নিয়ে। তবে ইটকাঠের এই যান্ত্রিক শহরে ষড়ঋতুর শরৎ এর রূপ সুষমা যেন কল্পনার রাজ্যের রূপকথা। অনুষ্ঠান শুরুতে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৩ তম জন্মবার্ষিকীর কেক কাটার মধ্যে দিয়ে দোয়া মোনাজাত করা হয়।
রাজধানী আবুধাবি আরব আমিরাতে বাংলাদেশি প্রবাসীদের মাঝে বৈচিত্র্যপূর্ণ শরৎ এর সৌন্দর্য্য সুধার চিত্র তুলে ধরতেই বরাবরের মতো শরৎ কবিতা উৎসবের আয়োজন করেছে শিল্প, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘জাতীয় কবিতা মঞ্চ, সংযুক্ত আরব আমিরাত কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে গত ২৮শে সেপ্টেম্বর শনিবার স্থানীয় রজনীগন্ধা খান সিআইপি হল রুম আবুধাবিতে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে শরৎ কবিতা উৎসব -১৪২৬ ও বিশিষ্ট শিল্পপতি ও মানবতার কবি ফখরুল ইসলাম খান সি আই পির "একজন আলোকিত মানুষের অব্যক্ত কথা" গ্রন্থের পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বরেণ্য কবি ও কথা-সাহিত্যিক মুহাম্মদ মুসার সভাপতিত্বে ও বিশিষ্ট লেখক ও ব্যাংকার মোহাম্মদ জাফর উদ্দিন ভূঁইয়ার সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথির হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাতীয় কবিতা মঞ্চ সংযুক্ত আরব আমিরাত কেন্দ্রীয় কমিটির প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও মিরসরাই সমিতি সভাপতি ফখরুল ইসলাম খান সিআইপি। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আবুধাবি শেখ খলিফা বাংলাদেশ ইসলামিয়া স্কুল এন্ড কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল কাজি আব্দুর রহিম।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় কবিতা মঞ্চের সাহিত্য বিষয়ক উপদেষ্টা,ডাঃ শেখ শামসুর রহমান পিএইচ ডি,জাতীয় কবিতা মঞ্চের মহিলা বিষয়ক উপদেষ্টা, কবি ও লেখিকা আয়েশা মুন্নীর স্বামী, সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখার পুলিশ পরিদর্শক, লেখক, জকিগঞ্জ থানার সাবেক ওসি মোহাম্মদ জামশেদ আলম, প্রকৌশলী আশিক বডুয়া, জনতা ব্যাংক আবুধাবি শাখার ম্যানেজার আব্দুল হাই,,বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মহিউদ্দিন, মাওলানা এনামুল হক নিজামি, লেখিকা ইসমত আরা রহমান,
উপদেষ্টা, কবি ও লেখক মোহাম্মদ সাইফুল আলম সাইফ, মোহাম্মদ হানিফ, মোহাম্মদ আক্তার উদ্দিন পারভেজ, কবি ও অধ্যাপক জেবুন নাহার, কবি ও লেখক মির্জা মোহাম্মদ আলী প্রমুখ।
এই সময় আরো উপস্হিত ছিলেন কবি পারভিন আক্তার, কবি আরাফাতুর ইসলাম, কবি রিয়াজ বিন,কবি রাজু আহম্মেদ , কবি সরওয়ার উদ্দিন, কবি আল আমিন জয়, বাবু দীপক চন্দ্র দাস, কবি সুমি আক্তার, কবি সুলতানা কামাল, কবি রুবিনা আক্তার, নুরুল গণি সহ প্রমুখ।
প্রবীণ ও নবীন কবিদের স্বকন্ঠে স্বরচিত কবিতা পাঠে প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে এই শরৎ কবিতা উৎসব।
সভায় বক্তারা বলেন- বাংলার আরো অনেক কবি শরৎ ঋতুকে শব্দ সমবায়ে বন্দি করেছেন তাদের কবিতায়। যেমন, সৈয়দ শামসুল হক শরতের অপার বিস্ময়ের কথা লিখেছেন তার কবিতায়- ‘সে কী বিস্ময়! কী যে বিস্ময়! কী করে ভুলি!/আকাশের নীল ঘন শাদা মেঘ, কবেকার গ্রামপথে ডুলি!’ রফিক আজাদ ‘আমার শরৎ’ কবিতায় বলেন-‘শরৎ’ শব্দটি উচ্চারণ মাত্র আমার চোখের সামনে/অর্থাৎ দৃষ্টিসীমার মধ্যে শারদ-আকাশ কিংবা/কাশফুল এসে দাঁড়ায় না-/বরং শরৎচন্দ্র মূর্তিমান হন;/না, শরৎচন্দ্র, নীলাকাশে সমুজ্জ্বল কোনো চাঁদ নয়- /মহামতি শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় স্বয়ং’। আসাদ চৌধুরী আত্মবিবরণের আশ্রয় খুঁজেছেন কাশফুল আর জ্যোৎস্নায়- ‘শাদা কাগজের ওপর রেগে যাই,/সাড়ে চুয়াত্তরে এসে/বাক্যালাপে মেতে ওঠে/অসমাপ্ত পদ্যগুলো/স্মৃতিরাশি শাদা মেঘমালার চেয়েও/অধিক এলোমেলো।’ তবে শরৎকে কবিগুরু বরাবরই দেখেছেন শান্তি, মঙ্গল ও সমৃদ্ধির ঋতু হিসেবে। তিনি বলেছেন- ‘আমরা বেঁধেছি কাশেরগুচ্ছ শেফালী ফুলের মালা/নবীন ধানের মঞ্জুরি দিয়ে সাজিয়ে এনেছি ডালা/এসো হে শারদ লক্ষী তোমার শুভ্র মেঘের রথে/এসো চির নির্মল নীল পথে।
শরৎ যেমন প্রকৃতিকে অপরূপ রূপে সাজিয়ে যায় তেমনি সংস্কৃতিতেও ব্যাপক পরিবর্তনের সূচনা করে মানুষের ক্লান্তি মোচনের ক্ষেত্র তৈরি করে। শরৎ অবসাদগ্রস্ত মনে নতুন প্রেরণার সঞ্চার করে। শরৎতের কাশবন আর জ্যোৎস্নায় প্রিয়জন সান্নিধ্যে হারিয়ে যাওয়ার বাসনা প্রবল হয়, শত কষ্ট গোপন করেও।
প্রবাসের কঠিন কর্ম ব্যস্ততার মাঝে সাহিত্য চর্চা খুবই কষ্টসাধ্য। তারপরও এই কঠিন বাস্তবতাকে মেনে নিয়ে যারা সাহিত্যকে বুকে ধারণ করে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের মুখ উজ্জ্বল করে যাচ্ছেন তারা সাহিত্যাঙ্গনে জাতির জন্য এক একটি নক্ষত্র।
দেশ প্রেম, বাংলা সাহিত্য, সৃষ্টি, কৃষ্টি, সংস্কৃতি, কবিতা আবৃত্তিসহ সকল বিষয়ে আবহমান বাংলার সংস্কৃতি বিশ্ব পরিমন্ডলে নির্বিবাদে তুলে ধরার চেষ্টায় জাতীয় কবিতা মঞ্চ সংযুক্ত আরব আমিরাত কেন্দ্রীয় কমিটির সকল কলা কৌশলী, শুভাকাঙ্ক্ষীদের ভূয়সী প্রশংসা করে ভ্যবিষতে আরো সুদৃঢ় সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।