নিজেতে আবির্ভাবের সময়
আমি আমার দুচোখকে প্রচণ্ড রকম বন্ধ রাখি। নিজের চোখে সেঁটে দেই ধারাপাত। আমি আমার অহংকারকে স্থাপন করছি নিয়ত লজ্জায়। আর আমি আমার প্রার্থণাগুলো সযত্নে রেখেছি, একান্ত শয্যায়।
আমি আমার মন্ত্রমুখ দুই নয়নের জলে ভাসিয়ে দিয়েছি। সেখানে ঠাঁই পেয়েছে, পরাজিতের বিবর্ণ মুখ আর গোখরোর চপল লতা। কানের দুল, ফাগুন সব ভেসে গেছে যমুনার জলে, চপল করোনাকালে।
আর নিজেকে আবির্ভাবের সময় আমি দেখলাম আমার চোখগুলো উল্টে যাচ্ছে অবলীলায়, উল্টে যাচ্ছে নেমকহারামের মতো। আর আপন নিষ্ঠায় আমি ঠিক নিষ্পাপী হয়ে নরকে জ্বলি, মানবের ভূগর্ভস্থ অগ্নিকাণ্ডে।
সিন্ধুরাতে মাতাল পড়ে ঘুমায়
লুকোচুরির ভবের খেলায়
খেয়ায় আমার পাল তুলে দেই
পাল তুলে দেই পাল তুলে দেই
খেয়ার জলে নাচি দোলায়।।
বাতাস বয়ে যায় সুদূরের দেশে
সেখানে প্রিয়া কাঁদে এলোকেশে
তার চোখের জলের ধারায়
কাঁদে নদী, বাঁধ ভেঙে যায়।।
আমার এমন উজান ভ্রমন
ঘূর্ণিবায়ুর দুর্দম মন
খানিক জাগে খানিক থাকে ঘুমে
সিন্ধুরাতে মাতাল পড়ে ঘুমায়।।
একটি কবিতা আমাকে লিখে ফেললো
সমস্ত অশ্রদ্ধাগুলোকে পুড়িয়ে দেই। পোড়াই হিংসা বিদ্বেষ। রাগগুলোকে হনন করি। হননকারী আত্মাকে দেই নির্বাসন।
আমি পরনিন্দা ভুলে গেলাম। ভুলে গেলাম অনৈতিক কাম। আর মিথ্যে কথা বলা একেবারেই ছেড়ে দিলাম। ছেড়ে দিলাম পরস্পর শত্রুতা।
মনের ভেতরের কুটিলতাগুলো ত্যাগ করলাম। দুঃস্বপ্নগুলো ছু্ঁড়ে ফেললাম আস্তাকুঁড়ে। আর ছদ্মবেশটাকে পরিত্যাগ করে পরে নিলাম মানব মুকুট। আর তখনই একটি কবিতা আমাকে লিখে ফেললো।
সিংহল দ্বীপ ও চেরাগীর মোড়-২
গায়ে আজারীর চিন্ তার, মনে আজারির চিন
সে এক নিকৃষ্ট ছোটলোক
একটি অশ্লীল শ্রদ্ধা আমাকেও নিতে পারে নীলগিরি
আমি আমার দানব স্বদেশ না ঘুঁচালে, আর তো থাকা যায় না মা।
হও সিংহল দ্বীপ, হও চেরাগের রাগ
এখন তিমির বেশ, থাক থাক ঘুমিয়েই থাক