সুহিতা সুলতানা । গুচ্ছ কবিতা
সুহিতা সুলতানা । গুচ্ছ কবিতা
মেরুদণ্ড 

 

মেরুদণ্ড ভেঙে ড়েছে। মাথা নত তে তে স্পর্শ রেছে পায়ের বুড়ো আঙুল।

 কান্নার জল মিশে গ্যাছে ঘোলা লে।

উপপত্নীর তৃপ্তির ঢেকুর ঠে মধ্য গগনে!

তুমি দি দেশদ্রোহী হও তোমার মুখ থেকে উপচে পড়বে রক্তাক্ত বমন।

স্য ধ্যে ভূত  উৎকণ্ঠা নিয়ে হাওয়ায় উড়িয়ে দিয়েছে র্তিত আঙুল।

র্মের যাতাকল খামচে রেছে ফিলিস্তিনি শিশুর বাঁচার স্বপ্ন।

 সত্য ক্ষয় তে তে মর্মান্তিক রিণতি,ঘাসও ধুলো তে তে মৃত্যু-আখ্যান।

নিঃসঙ্গতায় ডুবে গ্যাছে পূর্ণিমার চাঁদ, অসময়ে লোভের অঙ্গার ঝলসে দিয়েছে জীবন-কাঠামো।

মহাসড়কের সব লো নিভে গেলে দৃশ্যময় য়ে ঠে শয়তানের কর্দযতা।

অকাল মুগ্ধতা ভোরের মসৃনতার সাথে নুয়ে ড়ে করুণ আশ্বাস।

খাঁচার তারতম্য বুঝতে পারার তো বিস্তর বাহু বল তোমার নেই।

নোতুনভাবে জীবানু স্থাপিত লে জীবনও ঝরাপাতার তো অস্পষ্ট তে থাকে।

শিল্প বিপ্লব সাধিত লে ঢেঁকিও স্বর্গে গিয়ে ধান ভানে।

নব্য সাধুর আগমন ঘটায় মৎসশিকারীর হাড়ের হার্পুনে

বেজে ঠে ত্রিকাল মগ্ন সুর!


ক্ষত 

ক্ষত নয় অক্ষত য়ে সমুখে সো

অপরিহার্য লে আসলে কিছু নেই

বলতে বলতে এত কথা কেউ লে?

তুমি কী বাচাল নাকি অকালকুষ্মাণ্ড

রিদাস পাল? নাকি হিমের বড়

ভাই জিন্নাহ? জীবন ড়িয়ে এখন

দু'থের দু'‌দিকে!ভাষা অভিজ্ঞান

আজ মুড়ো তে তে ভেঙে ভেঙে

ড়ে।যে দেশে বিবাবুর জ্ঞানের

বহর নিয়ে আর্দশ নিয়ে প্রশ্ন  উঠতে

পারে সেদেশে তুমি আমি কে লো

দেখি?‌যে অভিগ্রহণ জীবন দু'টুকরো

রে দেয় তার কী খুব প্রয়োজন ছিল?

লোর রহস্য রিয়ে মানবিকবোধের

কাছে থিতু য়ে সো কোনো স্তব্ধতা

নয় এক অপার বিস্ময় !ব্যর্থ সময়

ব্যেপে অচেনাঅভিঘাত আর মর্মনাশ

সোজা য়ে দাঁড়াও নইলে র্মের যাতা-

কল তোমাকে পিষে মারবে! সামান্যই

যখন অসামান্য হয়ে যায় তখন ঘাতকের

মুখাপেক্ষী কে হতে চায় বলো দেখি?

স্তিমিত আলোয় নিঃসঙ্গ পথও ক্রমশ

অদৃশ্য হয়ে যায় আর চেনা চোখও

অচেনা হয়ে ওঠে মুহূর্তেই শুধু আবছা

আলোয় যেটুকু দেখা যায় দ্বিধা দূরত্ব।

 


ঘুঘুকাহিনী


 

মেয়েটি ঠাণ্ডা মাথায় আগাচ্ছে! ধূর্ত এবং লোভী!সর্বগ্রাসী!

সবদিকে ওর চোখ যেন গিলে খাবে বর্তমানসহ বিষৎ

ঘুঘুকাহিনীর পৃষ্ঠা ল্টে যাচ্ছে কের পর এক... শীতার্ত

সন্ধ্যা ভোতা স্তিষ্কের পুরুষগণ বহুগামী নারীর ছলনায়

অন্ধ তে তে বধির য়ে যায়! নগর কী এখন মৃত

বোধহীন মানুষের লৌকিক ম্যা‌জিক? এক বিভ্রান্তিকর

গোলক ধাঁ ধাঁ চারদিক ড়িয়ে ড়ে!এরকম সময়ে পথও

নিরাপদ, বাড়ি ফেরা অস্বাভাবিক টের ধ্যে স্থির য়ে

ছে! অচেনা মানুষের ভিড়ে আতঙ্ক স্মার্ট ভঙ্গীমায় স্থগিত

প্রত্যাখান দৌ‌ড়ে বেড়াচ্ছে ভিশাপ মাথায় নিয়ে!সর্বত্র

এত স্থিরতা দেখা দিলে সময়ও ছোবল তুলে সে।

এখন আর কোথাও যাবার নেই, লে স্থলে ডুব সাঁতার

ন্দেহ আর বোধহীন মানুষের নগ্ন উল্লাস খেয়ে ফেলছে

বিবেক,অপেক্ষা, মায়া , গ্রন্থ,স্মৃতির শহর না দেখা অরণ্য


ধোঁয়া


 

স্তিষ্ক কাজ না করলে হৃদয় নিবোর্ধের খপ্পরে ড়ে যায়

ওঁৎ পেতে থাকা মুণ্ডহীন ছায়ার বিস্তার ক্রমশ আবর্তিত

তে থাকে। জীবনের যত ভুল অনুভব বিবর্ণ তে তে দীর্ঘ

থেকে দীর্ঘ য়ে যায়।একদিন ধোঁয়ার কুণ্ডলী স্বাধীনতার

প্রশ্রয় পেতে চাইলে নেশাও উন্মাদ য়ে ঠে!কারো গাত্রদাহ

লে প্রেমের পটভূমি হাওয়াকলের লের তো চুঁইয়ে ড়ে

মি কী কাউকে কখনো ভালোবেসেছিলাম? তা আজ

আর নে ড়ে নাশূন্যতার জলভরা কলস বৈপরীত্য   নিয়ে

সে লোভার্ত সময়ের আল বেয়ে। শীতার্ত বিকেলে মেঘের

মৌনতা তুমিহীন আলপথ প্রলম্বিত রে তোলে।


বরফের সাঁকো


দেখার কোনো শেষ নেই!মি এখন সব কাজ ফেলে

মানুষ দেখি...এর চেয়ে বড় বায়োস্কোপ আর হয় না!

আজ এই বিস্ময়ের দিনে মানুষ শিকারীরা বড় বিস্ময়

য়ে গ্নিকুণ্ড জ্বেলে মূর্খ উচ্ছ্বাসে ড়িয়ে ড়িয়ে যায়!

একদা যাদের বৃহস্পতি তুঙ্গে ছিল এখন তারা দুর্নিবার

বেদনায় নীল য়ে ছে! চারদিকে শুয়োরের আর্তনাদ

অনন্ত ঘৃণার ভেতরে মানুষের মুখোমুখি দ্বিতীয়বার থিতু

য়ে বসবার কোনো আকাঙ্খা আমার ভেতরে এখন

আর কাজ রে না! এইসব মানুষের ভেতরে লোভ

সংঘর্ষ ব্যক্তিগত খেরো খাতা খুলে যোগ অংকের

 হিসাব মেলায়।হায়! শীতার্ত দুপুর তুমি কেন মৌন য়ে

ছো?ভয়াবহ এই পতনের বেদনা কত মর্মান্তিক তুমি

বোঝো?বরফের সাঁকো বেয়ে প্রেম প্রেমের ঠিন

ভিলাষে

যে ভাসে সে ভাসেআজ 'আমার সমস্ত হৃদয়-ঘৃণায়-‌

বেদনায়-

ক্রোশে '‌রে গিয়েছে!' সূর্যহীন এরকম

পৌষের দিনে মি ছাড়া সবাই যে যার তো বেরিয়ে

 ড়েছে!যেন আমারই কোথাও যাবার নেই সব সর্বনাশ

পথ আগলে দাঁড়িয়ে ছে তুমুল আহ্লাদে!


সাবস্ক্রাইব করুন! মেইল দ্বারা নিউজ আপডেট পান