যুদ্ধ, ৭১
ওরা তাকে বাঙ্কারে টেনে নেয়।
কাপালিক দস্যুতায় রাতুল কুমারী হারিয়েছে যৌবন
জীবন, সপ্নময় সংসার, কাঙ্খিত মানব শিশু;
গেরিলারা খুঁজে পেয়েছে ছিন্নভিন্ন শরীর
এলোমেলো চুল, রক্তাক্ত পেটিকোট, ব্লাউজ-ব্রা
গেরিলারা ওর মুখ চেনে নাই।
পরিত্যক্ত বাংকারে জননী বঙ্গভুমি শুয়ে আছে।
পরিব্রাজক
প্রদর্শন করে সে সুন্দরী
সে তো আকাশ নয়, বহুরূপা রূপ নেই তার
অতি সাধারণ বালিকার মতো ভ্রুভঙ্গি
কটিদেশের বাঁক টি-শার্টে লেপটে থাকে।
চন্দ্রাবতীর ছায়া নেই
মেঘলা আকাশের বিরহী কায়া নেই
বেলি, চন্দ্রমল্লিকা খোঁপায় নেই
এলোচুলে সুচিত্রার ঢেউ নেই
আইশেডে বুঝে যাওয়া চোখে টলমল জল উধাও
কালো চুলে অকালবৃদ্ধার সাদাটে প্রলেপ
সুগন্ধির তীব্রতায় পালিয়েছে যৌবনের কামার্ত ঘ্রাণ।
তুমি কি মহুয়ার জন্ম সহোদর, মৃগতৃষ্ণিকা?
ভ্রান্তির খোলসে যাকে স্পর্শ করি
তার থাকে হেলেনিক ছল...
কার জন্য অন্বেষণ, পরিব্রাজক এক জীবন?