কবি : আল মাকসুদ
রোমন্থন
সৌম্য চাঁদের আলো সমস্ত আকাশ জুড়ে
টুকটুকে লাল পলাশের বসন্তে ঋতুর
রাত অবকাশ যাপনের প্রিয়সঙ্গ!
বিরহের কোনো শেষ নেই...গর্বিত সন্ধ্যায়
ব্যাকুল রাতপাখি অপেক্ষা করে নিশিথের;
আসবে ক্ষুধার্ত মাটির কান্না শুনে একটি অবিচ্ছিন্ন
রাত্রিপ্রহর!
অবেলায় এলে তাকে শোনাবো রবীন্দ্র-নজরুল;
যে নদী গেছে বয়ে বহুদূর আমারই শৈশব ছুঁয়ে
তাকেও এসো নিয়ে এই পলাশের রাতে
রোমন্থনের কপাট খোলে অবিরাম শুনবো
ঋতুর গান...
কাব্যপেয়ালা
আজ সবাইকে জানিয়ে গেলাম ভাঙা জিনিসে
আমার আর কোনো আগ্রহ নেই
নেই কোনো গৃহহীন সন্ন্যাসীর প্রতি কবিসুলভ মমতা;
তার চেয়ে অন্ধকারকে ভালোবেসে অশ্রু-সোফায় বসে
রাতের পর রাত অপেক্ষার রুটি বানাবো...
তারপর দশক বিচারের রায়ে
প্রতিটি দশক থেকে একজন কবি বেছে নিয়ে
সমস্ত দশককে ভেঙে দেবো চূর্ণ করে...নেবো
একটি দশক;
তার নাম কবিতার দশক অতঃপর সময়ের আগল ভেঙে
একে একে আসবেন পৃথিবীর সকল কবি!
আমার কবিতা-বন্দনা
আমার কবি-বন্দনা
আদিগন্ত কবি ও কবিতা
আমার সকল নান্দনিকতায়, প্রেমে-কামে-ক্রোধে
জানিয়ে রাখলাম কোনো ভাঙা জিনিস
থাকবে না এ কাব্যপল্লিতে!
থাকবে
শুধু একটি দশক, কবিতার দশক
এক সেট আশ্চর্য সুন্দর বিশ্বাসের
কাব্যপেয়ালা!