তাতানো অ্যাসফল্টে পা রেখে রোদের কণা মাখো অফিস পাড়ার চত্বরে; কাজটা আজও হলো না। আমাদের সবার সব কাজগুলো হয় না প্রত্যেকটা কাজের পেছনে একটা অফিস থাকে তিনতলাতে, কখনো লিফট থাকে, কখনো সিঁড়ি; সিঁড়ি থাকে কলকাতার পুরনো বাড়িতে।
পুরনো বাড়ির এই সিঁড়িগুলো কাঠের, সামনে একটা ওয়াটার কুলার থাকে কিন্তু গ্লাস থাকে না, উদাসীন পিওন টুলের ওপর রুমাল ঘুরিয়ে হাওয়া খায়; পাখাটা খারাপ থাকে, তারাই দেখিয়ে দেয় এক সদা সর্বদা বিরক্ত বড়বাবুকে।
বড়বাবুর বিরক্তির কারণ বোঝা ভার, যেন পৃথিবীর সমস্ত মানুষ তাঁর পৈতৃক সম্পত্তি হাতাবার ধান্দায়; তিনি দেখিয়ে দেন কোন স্বপন বা মণ্ডলবাবুকে, যাঁরা প্রত্যেক অফিসেই থাকেন কিন্তু চেয়ারে থাকেন না; তাতানো অ্যাসফল্ট পথ আবার সাদরে ডাকে, আয়, ফিরে আয়। তুমি আরও একটা সোমবারের অপেক্ষা কর যে সোমবার কোনদিন আসে না
/কী এমন কাজ /
রোজ ভাবি তুমি আসবে, আসোনা। কী এমন কাজ? বিকেলের ট্রেন ছেড়ে চলে যায়, তোমার অপেক্ষায় দেখি অন্যের যাতায়াত।
যদি বলো, তবে তাই, যাবো কাছে; যদি না চাও, তাও বল মুখ ফুটে; কষ্ট হবে তবু দ্ব্যর্থে রেখো না, জানি সবাইকে কাছে টানা যায় না, কষ্ট হবে তবু ব্যর্থে রেখো না, জানি সবাইকে কাছে টানা যায় না।
এই সব ভালোবাসা খাতিরদারিক্লান্তিকর, কাঁহাতক ভালো লাগে পরস্পরের একই কথাদৈনন্দিন!
আমরা বড় তাড়াতাড়ি অভ্যাস করি একে অন্যকে, চমকগুলো হারিয়ে ফেলে, ভোঁতা ছেঁদো কথা অনুরণন পুনরাবৃত্তি শেষে আবার একা থাকা।
যদি বলো কাছে যাবো, নয়ত নয়; খুঁজে নেব নিজস্ব কিছু একান্ত সময়। নির্জন বাতিঘর ঝাউবন বালিয়াড়ি অথবা সুন্দরী গাছের নিচে ছোট ছোট ঢেউ জল ছোঁব একা একা।