
পাথর শিশু
এক পাথর শিশু ।
রাত্রির চরে, থাকে পড়ে ,সে অন্ধকারে একা
সে আমার কান্নার স্মৃতি ...
শতাব্দী ধরে ,তপস্যা করে
জমে জমে হয়েছে আজ প্রাগৈতিহাসিক ফসিল ।
সোনায় মোড়ানো ব্যথা,তুমি কি তার মুল্য জানো ?
১২,১২,২৪
লন্ডন ।
বিশেষ দ্রষ্টব্য ...
জলজ জীবন ।
মৃত্তিকার ঠোঁটে বিদ্যুৎ কাঁপে
স্বর্গীয় উত্তাপে ,
প্রকৃতির সুদীর্ঘ সঙ্গম শেষে
জন্মমুখে হেসে ওঠে রক্তমল্লিকা ।
সাধুর হাতধরে
যারা নিয়েছিলো সন্যাস-বাস
এখন তারাও দেখি
স্নান করে পুষ্পিত রতিকাঞ্চন সাগরে ।
ভাসানে ভেসে যায় কেউ
কেউ কেউ তীরে উঠে উল্লাস করে
ছায়ার সমুদ্র বিজয়ে !
আমি নখের নখরে দেখি রক্তাক্ত সরুপথে
বীর্যের নীরবতা ভেঙে
বিস্ময়ে ফেটে পড়ে শব্দের সাঁকো ।
তারপর ক-ফোঁটা অশ্রু -
কিংবা একগঙ্গা হাসিই জীবনের বিশেষ দ্রষ্টব্যে ...
১০,১০,২২
লন্ডন ।
রক্তবীজ
সুদীপ্ত বিভাস রাত্রি
রক্তবীজে ওম দেয় মূর্তিমান মানুষ
মানুষ আর ঈশ্বর !
প্যারালাল জীবনের আগে প্যারানরমাল স্মৃতি ।
পরস্পর পরম্পরার গাণিতিক হিসেব কে বুঝে
স্মৃতিতে আমার অনেক জখম
ঈশ্বর বলিদানের পক্ষে বলে !
সত্যের কুটিল পথে শুধু বানিজ্যই হয়
অন্তর রয়ে যায় ধুধু মরুময় ...
ঈশানে অগ্নিশিখা জ্বলে
নৈরিতে মেঘের ডামাডোলে
ফেটে পড়া দৃষ্টির আগুনে আমি রোজ পুড়ে ভস্ম হই ।
সফেদ হাঙ্গর
মানুষ নিরেট স্বার্থপর হলে
দানবেরা পেয়ে যায় বর !
রক্তের ঘ্রাণ শুঁকে শুঁকে ওরা পৌঁছে যায়
হৃদপিণ্ডের কাছাকাছি ,আরো একটু এগোলেই
জীবনশিরায় দেবে টান ।
আমার ডানে বামে অসংখ্য সর্পিল চোরাস্রোত
স্রাতের গতির সাথে সমতালে চলে সফেদ হাঙ্গর
আজন্ম জলজ ,ক্যামোফ্লাজ ,ওরা দুর্দান্ত ট্রান্সপারেন্স !
রূপকের এই দেশে আমি বড্ড সন্দিহান -
প্রতিকি আলখাল্লায় , দূর্যোধনের তীরের মতো
চিকচিক করে দৃষ্টির ফলা
কখন’যে আঁচড়ে পড়ে মৃত্যুর সওদা নিয়ে কে জানে…
১,১২,২৪
লন্ডন।
নৈষ্ঠিক ঋষি ———
জমে যাওয়া বরফের মতো
পলকহীন চেয়ে থাকে রাতজাগা তারার দল ;
এখানে হীমেলে বাতাস এসে কেটে দেয়
অলিভ বৃক্ষের পাতা ,
ছায়ার মাছ , সমস্তরাত সাঁতার কাটে
দুধসাদা জ্যোৎস্নার জলে ,ধীরে ধীরে
তারাগুলো পড়ে গলে গলে ,পৃথিবীর দীর্ঘশ্বাসে !
তারপর সব যেনো মিশে হয় দিনের কোলাহল
মাছগুলো ঝরাপাতা ,চোখগুলো জমে থাকা জল !
সব যেনো নথি করে পাঁচশত ছিয়াত্তর ম্যাগাপিক্সেল
টাইম ল্যাপসের ফিতায় ...
হে বন্ধু আমার ,তুমি কি দেখো নৈসর্গিক বিলাস ?
আমি সব দেখে চোখ বুজি
নৈষ্ঠিক ঋষির মতো
বুকে গভীরে পুঁতে রাখি আরাধনার বীজ ।
২৫,১২,২০
লন্ডন ।