এক চিলতে রৌদ্র
মনটাকে
ছাদের দড়িতে টাঙ্গিয়ে দিয়ে
চুপ
করে বসে থাকি চিলে কোঠায় এক চিলতে রৌদ্রের প্রতীক্ষায়,
শুকিয়ে যেতো চোখে জমে থাকা জলকণা সব
চর পরতো বিশাল এক, ঘর
বানিয়ে নিতাম ছোট্ট।
কতকাল
জেগে থেকেছি রাতের নিস্তব্দ প্রহরে
অতৃপ্ত
আত্মার সঙ্গে কতবার বচসা হয়েছে,
কতবার
গোলটেবিল বৈঠক শেষ হয়েছে মারমুখো হয়ে
চোখ
ভেজা আমি কতবার উঠে গেছি অশান্ত হৃদয়ে।
নদীর
তীরের হিজল গাছের মতোই আজকাল কোন শব্দ নেই আমার
পাতা
ছুঁয়ে যাওয়া জলের স্পর্শে কিছুই অনুভব করি না,
উদাস
দৃষ্টিতে নেই বিন্দুমাত্র কোন কম্পন
বাতাসের
আদ্রতা গায়ে লেগেও লাগে না।
সাত
সকালেও পাখীদের কাকলী আজকাল কানে বাজে না
ঘন
অন্ধকার যেন আদিম গুহার মতো বাসা গেড়েছে এখানে,
এ
অন্ধকারেই একদিন চুপ করে বেড়িয়ে পরবো অজানা পথে
অথবা
বানভাসীদের মতোই ভেসে যাবো সীমাহীন অতলে।
আমার চাওয়া
কখনো
বলি নাই আগলিয়ে রাখো আমাকে বাতাসের শালে
বেষ্টনী
দিয়ে রাখো চাঁদের আলোর স্নিগ্ধতায়,
ছুঁয়ে ছুঁয়ে যাও আমাকে দিনের সারাটা প্রহর
অথবা আমাকে নিয়েই ব্যস্ত থাকো প্রতিটা সেকেন্ড।
কখনো
চাইনি আমার সব কাজেই পাশে দাড়াও নিজস্বতা ছেড়ে
বন্ধু
বান্ধব বাদ দিয়ে ডুবে থাকো পানকৌড়ি হয়ে,
ঢেউয়ের
মতোই ছুঁয়ে যাও আমার শরীর
অথবা
পদ্মার মতোই পাড় ভাঙো ইচ্ছেমতো।
আমি
শুধু ভালবাসার ছলকানি দেখতে চেয়েছি চাহনিতে
ঠোঁটের
হাসিতে না বলা কথার সুস্পষ্ট উচ্চারন,
গ্রীবা
বাঁকিয়ে তাকানোর মাঝে ভালবাসার অমোঘ ঘোষণা
তোমার
নীল চোখের মাঝে আমার ঈশ্বর।
শত
সহস্র আলোকবর্ষ দূর থেকে উপলব্ধিটুকুই আমার সম্পদ
চৈত্রের
অবিরাম লু হাওয়ায় একমাত্র শীতলতা,
বদলে
দিতে পারে যা ধুতরার বিষ
মৃতপ্রায়
মনটাকে আবার করতে পারে জীবন্ত।
চাঁদের কথা
আমি
আর চাঁদের কথা লিখবো না...
একাকীত্বের
করাল গ্রাসে নির্জীব মন মৃতপ্রায়,
বানভাসী লোকদের অসহায় চেহারায় দেখি মনের প্রতিচ্ছবি
হাহাকারে চৌচির ফ্যাকাসে মুখ ঘুনে ধরা।
টিক টিক করে ডেকে উঠা টিকটিকি ছাদের কোনে লেজ নাড়ে
ধানের বাড়ন্ত মাথা ডুবে গেছে জলের নিচে বর্ষার মাঝেই,
পাড় ভেঙে ভেঙে জলে মিশে একাকার বালির মতো তীর
বেড়ি বাঁধ দাড়িয়ে আছে ক্ষীণ শরীরে একাকী বিষুব রেখার মতো।
নিজ ছবির প্রেতাত্মা দেখি অসহায় মানুষের চেহারায়
ক্লান্ত, ক্ষুধার্ত......চোখ
তাদের শূন্যতায় ভরা,
আকাশে জ্বলজ্বলে চাঁদ মেরুন শাড়ীতে টিপ পরে আছে
অসহায় দৃষ্টি মোহগ্রস্থ ...... চোখে তার হাজার বছরের কষ্ট।
নদী বয়ে যায় আপন মনে, লবনাক্ত জলে শুধুই ক্ষরা
গাল তার কুঁচকানো চুয়াত্তুরের মন্বন্তরে,
গদ্যময় পৃথিবীতে ভালবাসার অভাব, চাঁদ উঠে...
চাঁদ ডুবে... ফ্যালফ্যাল করা চোখ জলে দেখে চাঁদের প্রতিচ্ছবি।
বদলে যাওয়া চাঁদ
মেঝেতে
ছড়িয়ে থাকা বর্ণগুলো উঠিয়ে রাখি
স্যান্ডেলের
নিচে থেঁতলে যাওয়া শরীর রক্তাক্ত
আহত চোখে পৃথিবীর জমা সব কষ্ট পুঞ্জিভূত
রক্তের নোনতা স্বাদে জলের স্বাদ ছেয়ে গেছে।
এক
জনমের ধৈর্যের পরীক্ষায় এখন শুধু নস্টালজিয়ার বাসা
পরনের
শেষ কাপড়টুকুও যেন নিয়ে গেল বন্যায়,
উঠে
দাঁড়াবার সাহসটুকুও বিলুপ্ত হয়ে গেছে জলের কাছে
লজ্জা
ঢাকতে জলের মাঝেই দাঁড়ানো একান্ত বাধ্য হয়ে।
মানবিক
গুণাবলীর সমারোহ দেখে দেবদূত ভাবি
সাহসে
ভাবি ঈশ্বরের প্রিয়,
ডানা
ছাড়াও উড়ার শক্তি রাখি হাতে
নগ্ন
মন নিয়েও দাড়াতে পারি ঈশ্বরের আরাধনায়।
শেষ
পেরেকটা তাই নিজেই ঠুকে দিলাম কফিনে
সেতুটাকে
উড়িয়ে দিলাম জমিয়ে রাখা করডেক্সে,
বিবর্তনে
বদলে গেছে আকাশের মেঘগুলো আজ
চাঁদও
দেখি আজকাল হিজাব পরে।
মুখের হাসি
মননের
বিন্দুতে বিন্দুতে সিন্ধু হয়ে তুমিই আছো
সবুজ
ঘাসের মাঝে যেন প্রিয় কোন অপ্সরী,
কবিতার পাতায় পাতায় যেমন কবিতা
নেচে বেড়ায় সচ্ছলতায় নীল একদল শব্দের সুন্দরী।
অস্তিত্বের
সবটায় এক অবিনশ্বর ভালবাসা লেপটে আছে
নদীটায়
যেমন জড়িয়ে থাকে জল এক অনাবিল আনন্দে,
ঘুরে
ঘুরে বেড়ায় দেহের সর্বত্র যেন নিজেরই শরীর
তোয়াক্কা
করে না আমার অবোধ মনের।
দখল
হওয়া মনের জমিনে শুধুই সূক্ষ্ম অনুভূতি
অনন্ত
আকাশে যেন নীলের ছড়াছড়ি,
জগতের
সব জায়গাতেই রহস্যময়ী মোনালিসার হাসি
ঈশ্বরের
মাধুর্য আর পবিত্রতার এক অপূর্ব সংমিশ্রন।
তবুও ভালবাসি
হাজারটা
ছিদ্র নিয়ে বেঁচে থাকা বুকে শ্বাস নিতে কষ্ট হয়
কাঠিন্যতা
যখন হাজার টনের জিঞ্জির গলায় পরিয়ে দেয়
আর আমি ধ্বসে পরি পাতালের আরেক প্রান্তে অবজ্ঞায়
অবহেলার থুথু সেখানে আলপনা আঁকে জোরেশোরে চেহারায়।
অন্ধকারে
ছায়াও নিজের ছায়া গুটিয়ে নেয় তাড়াতাড়ি
নির্বাসিত
জীবন দূরের দিগন্তে বাসা গাড়ে কঠিন দুঃখে
নীল
আকাশের চাঁদটাও মেঘের ফাঁকে লুকায় হটাত
দাবানলের
আক্রোশে ছারখার হয়ে যায় সবুজ মন।
ঈশ্বরের
গন্ধ শোঁকা মন গলিতে গলিতে ঘোরে অতৃপ্ততায়
অস্তিত্বের
নীল গুহায় দেখে আত্মার প্রতিচ্ছবি,
ভালবাসায়
নিজেকে দেখতে পারি ঝাঁঝরের মতো তবুও
চোখের
অশ্রু মুছিয়ে দিতে পারি নিজ মৃত্যুর রুমালে।
জামদানীর সুবাস
অনন্ত
বিরহ নিয়ে মাথায় পরেছি কাঁটার মুকুট
লকলকে
গক্ষুরের বিষে সাঁতার কাটা এখন,
দুহাতে ধরা হেমলক...
বিদায়ের ঘণ্টা বেজে চলেছে ক্রমাগত পাশের গির্জায়।
ধরে নিয়েছি স্বর্গ নেই
গন কবরের মতো পরে আছে পুণ্যকর্ম সব,
নরকের চিতায় মহা উল্লাসের জিকির চলছে জোরেশোরে
গঙ্গা হারিয়েছে তার চির চেনা পথ।
রিক্ত হৃদয় রাতের আঁধারে তড়পায় গলা কাঁটা পশুর মতো
থেঁতলানো হাত সূর্যের গা ধরতে ব্যাকুল,
চোখে তার স্বপ্নের চাঁদ
ভাঙ্গা ভাঙ্গা নিঃশ্বাসে আনকোরা জামদানীর সুবাস।
তুমিই ছিলে তুমিই আছো
নক্ষত্রের
আলো থেকে শুরু করে চাঁদের চেহারায়
তার
রুপ গুন আর জৌলুশের চাঁদোয়ায়,
সূর্যের তাপে অথবা বৃষ্টির লুকানো অবয়বে
ঘাসের সজীব গন্ধে তুমিই ছিলে।
জোনাকির নীল আলোতে, তাদের চলে যাওয়ার সময়
আমার নিজের ছায়ায়, দর্পণে
উঠা প্রতিবিম্বতে
লেখার শব্দে শব্দে তাদের সুমধুর ঝংকারে
বসন্তের শান্ত বাতাসের মৃদু আমেজের উল্লাসেও তুমিই ছিলে।
নীল রঙের হালকা মিষ্টতায় তোমার ছায়া
রৌদ্রে দিয়ে রাখা আমের আঁচারের উজ্জ্বলতায়
তোমার চেহারার উজ্জলতা, শীতের শিশিরের লাজুকতায়
তোমার নত চোখের আবেশ আমাকে মুগ্ধ করে।
আমার চোখের জলের প্রতিটা বিন্দুতে আমি দেখি
হৃদয়ের ধুকধুকানির সব শব্দে তোমার উপস্থিতি
আমি দেখি আমার অস্তিত্বে, আমার নীলিমায় থাকা
আমার টুকরো টুকরো স্বপ্নের পাখীর ডানায়।
বিষবাস্প
ছলকে উঠা বিষবাস্পে মৃত্যু হয়নি।
জীবনের
শিকড় পুতে দিয়েছি মাটির অনেক গভীরে
আকাশ
সমান ঢেউও ফেলতে পারবেনা উপড়ে,
বুকের
পাঁজরের ব্যথা সীমানা ছাড়িয়ে গেলেও
বেদের
মতো সাপের বিষ রেখে দেবো হাতের মুঠোয়।
চৌকশ
এক তীরন্দাজ বাস করে তামা তামা হৃদয়ে
কোষ্ঠীপাথরে
যাচাই করা বীজ বপন করা হয়ে গেছে,
জীবন্ত
আগ্নেয়গিরি বস করেছি জ্বলে যাওয়া শরীরে
চোখে
পরেছি তূর পাহাড়ের জ্বলন্ত সুরমা।
শত
কোটি বছরের পুরানো নদী হয়তো এমনি বয়ে যাবে
সিগারেটের
ধোঁয়া কুণ্ডুলি পাকিয়ে উড়বে দিশেহারা হয়ে,
দাড়িয়ে
থাকবে তবুও মাথা উঁচু করে এখানেই হিমালয়
বুক
ফাটা আর্তনাদ মুছে দেবে তার চোখের জল।
বুকে
যার জীবন্ত মৃত্তিকা খেলা করে অনাদিকালের পাথর হয়ে
শ্বেতশুভ্র
পবিত্রতার মুকুট যার মাথার বসন,
আগামীকালের
আকাশের রংধনু বাসা বেঁধেছে তার দু চোখে
বিষবাস্প
কি করে ছুঁয়ে যাবে তার অন্তর?
গুই সাপ
আমিতো
তোমার অবজ্ঞা আর অবহেলায় নিয়ত ডুবে
আঁধারের
দেয়ালের গা ঘেঁসে বোবা এক জীবন,
দূরের আলোকচ্ছটা বিশ্লেষণে মহা ব্যস্ত প্রতিটা প্রহর
মিলিয়ে নিতে থাকি আলোতে আলোতে নক্ষত্রের আলোর মতোন।
তোমার
চোখ মুখের দ্যুতি কেমন ছিটকে পরে আমার বুকে
কত
দূর থেকে ভেসে আসা নক্ষত্রের আলোর মতো,
কতো
আলোকবর্ষের পথ ধরে ঘুরে ঘুরে যেন ছুঁয়ে যায়
অবজ্ঞায়
হোক, তবুও
ছুঁয়ে যায় তো আমায় অবিরত।
তোমার
ঘরে রাত নামে দিনের বেলা শেষে পাখিদের মতো
ডানার
রৌদ্রের আলো মুছে ঘরে ঢুকে অনাবিল প্রসন্নতায়,
ঘরে
তার জমে থাকা একরাশ সুখ বাতাসে দোলা দেয়
নিঃশব্দে
চুমু খায় কপালে,গালে, ঠোঁটে...বুকের উপতক্যায়।
আমার
ঘরে আমি চুপ করেই থাকি স্বপ্নের বাহু ধরে
রাতেরা
বহু দূরে হায়েনার মত ডাক ছারে ক্ষুধায়,
চোখের
দেয়ালে দেয়ালে তোমার ছবির উৎসব তখন
গুই
সাপের মত মুখ লুকাই আমি ছবির ছায়ায়।
বন্ধ ছাদ
জীবনের
কথাই লিখে গেছি কবিতায় হাজার বার
শব্দের
পরতে পরতে ঢেলেছি মনের সব না বলা কথা,
আবগের ঢেউ সাজিয়ে রেখেছি শব্দের অলিতে গলিতে
কষ্টগুলোকে শাড়ীতে পেঁচিয়ে রেখেছি নব বঁধুর মতো।
এক
বিন্দু মিথ্যে ছিল না... ছিল না কোন অসত্যের ছাপ
বুকের
ভিতর থেকে উঠে আসা গরল রেখেছি পরম যত্নে,
অনুভূতিকে
ফালি ফালি করে কেটে রেখেছি শব্দের টেবিলে
অন্তরটাকে
একেবারে নগ্ন করে বারবনিতার মতো।
যা
ছিল সেটুকুই একান্ত আর ওটাকেই রেখেছিলাম জানালায়
ভয়
পেয়ে কপাট বন্ধ করে দেবে মুখের উপর ভাবি নি,
ভাবি
নি ঈশ্বরের উপরও বিশ্বাস থাকবে না তোমার
আকাশটাকেও
মনে করবে ঘরের বন্ধ ছাদ।
আকাশের
ব্যাপ্তি ঘরের ছাদ ছাড়িয়ে পাড়ি দিয়েছে অজানায়
নদীর
ঢেউগুলো আজ আর নদীর একার নয়,
পৃথিবীর
পথে হেঁটে হেঁটে তারা আজ সাগরে অবাধে ঘুরে
দূর
দিগন্তে তারাই যে আকাশের সাথে খেলা করে।
পরিত্রান দাও
এক
ভালবাসার জন্য পৃথিবী ছাড়তে রাজী আছি
রাজী
আছি হাত না ছুয়েও দূরে দাড়িয়ে থাকতে,
অতলান্তিকের আরেক পাড়ে দাড়িয়ে অনুভব করতে
তোমার অস্তিত্ব...নিজের অস্তিত্বে।
মিথ্যে
ভালবাসার কোন শব্দের মোহে নয়
মিশে
যাক আমাতেই শব্দগুলো রক্ত হয়ে,
আমার
আমিত্বে জন্ম নিক আরেক অস্তিত্ব
দেহে
নয়... মনে মনে একাকার হয়ে যাক পৃথিবী।
শুষে
নাও আমার না বলা কথা নিজের ফুসফুসে
ভালবাসার
বাইবেল শুনিয়ে দাও শুধু একবার,
বিস্তীর্ণ
সাগর পাড়ি দিয়ে দেবো শব্দের হাত ধরেই
চোখের
কাজলে মাখিয়ে দেবো তোমার স্মৃতি।
তিন
শত চার বছরের এ বন্দীত্বের শেষ হোক
খুলে
দাও আমার হাতের শক্ত হাতকড়া,
ভালবাসার
অমোঘ শব্দে পরিত্রান দাও শুধু একবার
হাসি
মুখে চলে যাব শূন্য হাতে... ঈশ্বরের কাছে।
স্বপ্নের ভাঙ্গা গড়া
বিশ্বাসের
দেয়ালটা হটাত করেই ভেঙ্গে পরলে
সাদা
জমিটা কেমন যেন লালচে কালো হয়ে যায়,
থোপ থোপ দাগে ভরে থাকে অমসৃণ রক্তের দলা
আর পরে থাকে কোন ভাবে টেনে আনা আহত শরীর।
আকাশে
উড়ার রুপালী ডানা তার ভেঙ্গে গেছে
কল্পনাগুলো
ছড়িয়ে ছিটিয়ে এদিক ওদিক বাস্তুহারা জনপদ,
অসীম
দহনে পোড় খাওয়া মনে নরকের আগুন জ্বলে
কেউ
বা মনের সুখে বাঁজায় দূরে বসে নীরোর বাঁশি।
টুকরো
টুকরো হয়ে পরে থাকা স্বপ্ন জোরা দেয়া সহজ নয়
সহজ
নয় আহত মনটাকে আবারো রাস্তায় দাড় করানো,
নদীর
বহমান গতি পরিবর্তন করতে আবারো বাঁধের আয়োজন
শুকনো
বালিতেই আবারো দেখা স্বপ্নের ঝিলিমিলি।
দূরের
আকাশটাকে আবারও নীল মনে করতে ইচ্ছে করে
ঘুরে
ঘুরে বেড়ানো মেঘগুলোকে আপন ভাবতে,
বজ্রের
আঘাতে জ্বলে উঠে আর একবার ঘরের পিদিম
বৃষ্টির
টুপ টাপ শব্দ আবারো সতেজ করে স্বপ্নের চারাগাছ।