বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রধান কবি রফিক আজাদের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০১৭ সালের আজকের এই দিনে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান তিনি।
টাঙ্গাইলের ঘাটাইল থানার জাহিদগঞ্জে ১৯৪৩ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি রফিক আজাদের জন্ম। তার বাবা সলিম উদ্দিন খান এবং মা রাবেয়া খান। দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে কনিষ্ঠ ছিলেন তিনি। তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ার সময় ১৯৫২ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি ভাষাশহীদদের স্মরণে খালি পায়ে মিছিল করেন রফিক আজাদ। প্রতিবাদী এই কবি তার দ্রোহকে শুধু কবিতা লেখনীতে আবদ্ধ না রেখে ১৯৭১ সালে জাতির ক্রান্তিকালে হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় রণাঙ্গনের সৈনিক হিসেবে পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে সম্মুখ সমরে অংশ নেন তিনি।
কর্মজীবনে রফিক আজাদ বাংলা একাডেমির মাসিক সাহিত্য পত্রিকা ‘উত্তরাধিকার’-এর সম্পাদক ছিলেন। ‘রোববার’ পত্রিকাতেও কাজ করেছেন। এ ছাড়া টাঙ্গাইলের মওলানা মুহম্মদ আলী কলেজের বাংলা বিভাগে অধ্যাপনাও করেন তিনি।
রফিক আজাদের প্রকাশিত গ্রন্থগুলোর মধ্যে অসম্ভবের পায়ে, সীমাবদ্ধ জলে সীমিত সবুজে, চুনিয়া আমার আর্কেডিয়া উল্লেখযোগ্য। এ কাব্যের জন্য ১৯৮১ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার ও ২০১৩ সালে একুশে পদক পান তিনি। সাহিত্যে অবদানের জন্য পেয়েছেন হুমায়ুন কবির স্মৃতি (লেখক শিবির) পুরস্কারসহ বেশ কয়েকটি পুরস্কার।