ছোটবেলা থেকেই কবিতা লেখার অভ্যাস। ‘ সোহেল জাহিদ’ নামে কাব্যচর্চা ও সাংবাদিকতাও করেছেন কিছু সময়। জড়িত আছেন বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া সংগঠনের সাথে। নেতৃত্বও দিয়েছেন এসব ক্ষেত্রে। মাত্র দু’টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই শেষ করেছেন পুরো শিক্ষাজীবন। ১৯৯১ সালে জামালপুরের সিংহজানী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং ১৯৯৩, ১৯৯৬ ও ১৯৯৭ সালে জামালপুর সরকারী আশেক মাহমুদ কলেজ থেকে যথাক্রমে এইচএসসি, স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর পাশ করেছেন তিনি। মেধা ও যোগ্যতা থাকলেও তার প্রমাণ রাখতে ব্যর্থ হওয়ায় সুযোগ হয়নি কোন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার। সরকারী আশেক মাহমুদ কলেজের বাংলা বিভাগের ১ম ব্যাচের ছাত্র ছিলেন তিনি।
২০০১ হতে ২০২০ সাল পর্যন্ত পল্লী বিদ্যুতায়ন কার্যক্রমে চাকুরীর সুবাদে মৌলভীবাজার, চাঁদপুর ও গাজীপুরের পর সর্বশেষ কর্মরত ছিলেন ময়মনসিংহে। মাঝে ২০১৪ হতে ২০১৮ সাল পর্যন্ত প্রায় পাঁচ বছর কাজ করেছেন বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের ঢাকাস্থ সদর দপ্তরে। ময়মনসিংহে কর্মরত অবস্থায় ২০২০ সালের ডিসেম্বরে চাকুরী হতে স্বেচ্ছায় অব্যাহতি নেন তিনি ।
স্ত্রী, এক কন্যা ও এক পুত্রকে নিয়ে তার সংসার। সংসারে অর্থের অভাব থাকলেও অভাব নেই কোন সুখের।
‘মেঘের চিলেকোঠা’ তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ হলেও ছাত্রাবস্থায় ১৯৯৪ সালে প্রকাশিত হয়েছিল তার প্রথম কাব্য সংকলন ‘ প্রেতাত্মার সাথে বসবাস’। কাব্যচর্চার পাশাপাশি তিনি গানও লিখেন। রাজন সাহার সুরে এবং নিশীতা বড়–য়ার কন্ঠে ২০১৭ সালে ‘ মেঘ ছুঁয়েছে আজ’ শিরোনামে তার প্রথম গানটি ইউটিউব চ্যানেলে আসে ‘ স্টুডিও জয়া’ এর ব্যানারে।