কাজী আতীক এর কবিতাগুচ্ছ
স্বর্গীয়
যদি দেখেছো কখনো মায়ের মুখ- মুগ্ধ দৃষ্টি প্রশান্ত অন্তরে,
স্বর্গসুখ জেনো ভাগ্যে তোমার লেখা হয়ে গেছে,
যখোন মাতৃ-জঠর থেকে ভূমিষ্ঠ হলে তুমি,
হাত পা একটু আধটু নাড়াচাড়া কেবল
আর নিঃশ্বাস প্রশ্বাসে ধীর লয়ে উঠানামা বুকের-
শুরুর অস্তিত্ব শুধুই এটুকু মানুষ, নির্ভরতা শুধুই মাতৃস্নেহের।
আরোগ্য চাইনা কেবল
আরোগ্য চাইনা কেবল- এমনকি মৃত্যুঞ্জয়ী উপচার,
চাই এক প্রতিষেধক, - স্থায়ী নীরোগ প্রতিপাদ্য যার,
যদিও হাজার সূর্যের আলোও কম পড়ে যায়
গুছাতে সে অন্ধকার, অথচ মাটির একটি প্রদীপই যথেষ্ঠ
যদি সব হাতে মানুষের একটি করে প্রদীপ শোভা পায়।
এভাবেও জীবন ১৬
সবাই দেখে চাঁদ, এক নিঃস্পৃহ অবলোকন-
যদিও অভিনব বিবর্ত ধারায় এক ছায়া অবয়ব
অবিরাম কিছু কষ্ট সুখের গল্প লিখে রাত,
কখনো বিরহী সন্তাপের গ্রন্থনা প্রহরের ভাজে
কখনো সুখ-গল্প ছবি আঁকে নিশুতি সংলাপ।
এভাবেও জীবন, এভাবেই জীবন-
নিজেকে একান্তে জানার এক সংলগ্ন সমর্পণ।
তিনি বাংলার মনন রূপকার
আমাকে কেউ যদি প্রশ্ন করো-
জানতে চাও বাংলার সমার্থক কোন নাম,
বঙ্গবন্ধু মুজিব এবং কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ,
তাঁরা সবাই মহান স্বপ্ন সারথি পরিব্রাজক
অবলীলায় তাঁরা পেরিয়ে গেছেন সময়কে
অগ্রসর অনুভবে, অনন্য উচ্চতায়,
পাকাপোক্ত করেছেন বিশ্বে তাঁরা বাংলার আসন,
তবে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ
বাকিদের চেয়ে একটু আলাদা যিনি
তিনি লিখিয়ে, তিনি চিত্রকর, তিনি নিপুণ স্রষ্টা সঙ্গীতের
তিনি বিরল সব্যসাচী, বহু রূপে যাঁর আবির্ভাব,
সব রূপেই মহামহিম তিনি
তিনি কবি, তিনি প্রেমী তিনি বাংলার মনন রূপকার,