কবি - কোহিনুর আকতার
আকাশকে ভালোবেসে
ইচ্ছে করে ছুটে গিয়ে
মেঘলা পর্দাটা ছিঁড়ে নিই টেনে
সূর্য হননের দিনে
আকাশকে ভালোবেসে।
মানুষ যখন আর মানুষ থাকে না
মানুষকে স্পর্শ করার কোনো
বিশেষত্ব রাখে না তখন।
মিথ্যেতো নয় এই মানুষ জন্ম?
এমন কোন শেষ দেখতে চাই না বলে
হু হু করা উথালপাতাল হাওয়ায়
ভালোবেসে আঁকড়ে ধরি তখনও তোমায়।
ক'জন মানুষ পারে?
স্বপ্নডানায় ভর করে আর
উড়তে পারে ক'জন?
ওড়ার জন্য তেমন করে
কার সে সাধন ভজন?
যে বা যারা উড়তে পারে; ঘুরতে পারে জগৎভর।
এই পৃথিবীই তাদের সবার বাড়িঘর ।
স্বপ্ন দেখাতে বা ভালোবাসা শেখাতে
ক'জন মানুষ পারে?
স্বপ্নের রঙ যায় কী চেনা
না যদি দেয় প্রেরণা কেউ
কাউকে ভালোবেসে?
বারবার তোমার সামনে দাঁড়াই
কী অবুঝ তোমার সম্বোধন;
আবেগ-আপ্লুত হয়ে ওঠে মন!
কী অদ্ভুত ভালোবাসা তোমার
শতসহস্র ভালোবাসা এড়িয়ে যাওয়ার মতন,
ব্যস্ততায় যদিও দূরত্ব তৈরি হয়ে যায়
ভুল বোঝাবুঝির অবকাশ নেই তাতে-
রাখছো কেবল বোঝাপড়ায়।
যেমন তোমায় পড়ি
তুমিও নিয়মিত পড়ছো আমায়।
তাইতো সহস্র মরিয়া ভালোবাসাকে পাশকাটিয়ে
বারবার তোমার সামনে দাঁড়াই,
যেমন দেখেছি তোমায়
শেষপর্যন্ত একইরকম- তোমাকে সহজেই আন্দাজ করা যায়।
ব্যথার মূলে
ভালোবেসে করে কেউ ব্যথাকে বরণ?
যে ব্যথার কারণে নাকে ওঠে নাকফুল আর
কানে ওঠে দুলের দোদুল,
নতুন ব্যথার মূল- 'শিহরণ'
নিস্তরঙ্গ জীবনে তুলে দেয় ঢেউ,
মরণের অদূরে
অনন্তর ফুটেছে কিছু শিউলি বকুল;
মরণের পরেও জীবনের দেখা পায়
সুখের বা বেদনার কারণ খোঁজে না যারা
তারা কেউ কেউ।
তারই মাঝে তুমি!
এমনই জগৎসংসার !আদি অন্তহীন
জোড়াতালির জীবন
অন্ধকার এবং আলোর জটিল সমীকরণ।
অমীমাংসিত হাতছানি,
সীমাহীন বিভ্রম, সমতাহীন প্রেম।
তারই মাঝে তুমি!
নির্মল ভালোবাসায় জাগালে মনোভূমি।
যেখানে যেমনই থাকো জানি,
আমার হয়েই আছো মানববৃক্ষ তুমি!
সবুজ পাতায় ইতিহাস হয়ে আছে
আমার অনেক ঋণ তোমার কাছে।
সমানে সমান
কতোদিন হয় দেখি না
শেষ কবে দেখেছি তা স্মরণেও নেই,
কতকাল হয়ে গেল আসনি এদিকে!
আবার আসো যদি দেখে নিও তবে
দুজনের মাঝখানে রেখে দেব
সুর আর গান;
ফিরে আস, ভুলে যাও এতো অভিমান।
ঝড়, বন্যা, তাপদাহ, ছায়া সুশীতল প্রাণ
সবটা গ্রহণে নেব সমানে সমান।