গুচ্ছ কবিতা । মোঃ নূরুল গনী
গুচ্ছ কবিতা । মোঃ নূরুল গনী
প্রেম জ্যোৎস্না ও আকাশ

সব আকাশেই চাঁদ থাকে যথারীতি
চন্দ্রিমায় মাখামাখি হয় সব পৃথিবী।
উপমিত সুন্দরে ডাকতেই চলে আসো তুমি
আহ্লাদে খুলে ফেলো শরীরের ভাঁজ
আড়াল না রেখেই।
তুমি কি সহজ প্রেম
জ্যোৎস্নার মত অনায়াসে ছুয়ে দাও
নিষ্ঠুর ঈগলের হাত।
হয়তো সহজ নও-শরীরি হয়ে ওঠো জ্যোৎস্নায়
নেকড়ের মত,মানুষের মত খুঁজে দেখো
শরীরান্তরে অন্য কোনো আকাশ।
আহা কি নিষ্ঠুর পারঙ্গমতায় ব্যবচ্ছেদ করো
হৃদয় ও শরীর
জ্যোৎস্নার আকাশে তখন ঈগলের ছায়া নামে।
নৈকট্য এবং কোলাহল

নৈকট্য -
সন্নিহিত কোণের মত কিন্তু
সন্নিকটে নয়
হাত বাড়ালেই আঁচ পাওয়া যায়
নিশ্বাসে আগুন -
তবু দূর - দূরত্ব অনতিক্রম্য আকাশ।
যেমন কেউ কারো হাত ধরে
অঙ্গীকারবদ্ধ হয় জলের অক্ষরে
আবার ভেঙে টুকরো টুকরো
সকালে গরম চায়ের কাপ
হাত ফসকে হাঁটু গেড়ে বসে স্তব্ধতা।
কোলাহল -
দেহের ভেতর দেহের
মনের ভেতর মনের গুঞ্জন
হাহাকার তবুও আবহমান কাছে আসার
এবং কোলাহল ;
সৃষ্টির উৎসে নাচে কামার্ত প্রেম।
নির্লিপ্তবাদ

মৌলিক চাহিদাগুলো নিয়ে সে যখন ভাবে তখন মানুষের মাঝে ঐক্য খুঁজে পায়।
টেবিলে সাজানো চাহিদার প্রকরণ দেখে বিস্মিত হয় - বুঝতে পারে মানুষের ঐক্য অবান্তর বিষয়।
বিভিন্ন মতবাদ নিয়ে গবেষণা শেষে সিদ্ধান্তে পৌছায় - ঐক্যের পথে মতবাদগুলোই অন্তরায়।
অতঃপর সে নির্লিপ্ত থাকার কৌশল নিয়ে ভাবতে বসে।
লাশের চোখ

কোন কিছুই উৎকীর্ণ ছিল না তার বোবা দৃষ্টিতে শুধু কোলাহল ভেঙ্গে নিস্তব্ধতা থমকে ছিল।
হয়তো আরো কিছু পাঠযোগ্য ছিল আমরা পড়তে পারিনি। আত্মার অন্তরীক্ষে সে হয়তো ঈশ্বরকে প্রশ্ন করছিল হত্যার উদ্দেশ্য সম্পর্কে তিনি অবগত কি-না।
গন্তব্যের তৃষ্ণা কোন মৃত্যুই কেড়ে নিতে পারেনা যদি তা হয় আদর্শিক পরিশুদ্ধ আত্মার ভ্রমণ।
ঘাতকের জন্য কোন বার্তা নেই এই কবিতায়।


সাবস্ক্রাইব করুন! মেইল দ্বারা নিউজ আপডেট পান