ছাইস্বর্ণ অম্লজলে : যুগযন্ত্রণার দর্পন - অমিত চৌধুরী
ছাইস্বর্ণ অম্লজলে : যুগযন্ত্রণার দর্পন - অমিত চৌধুরী
কাব্যের বাঙময়তায়  যখন স্বদেশপ্রেম ধরা পড়ে তখন মনে হয় মাকড়সার জালে আটকা পড়েছে পদ্মা-মেঘনা- যমুনার ঠিকানা । কেননা  সমকাল পত্রিকার উপসম্পাদকীয়তে স্পষ্ট করে বর্ষীয়ান পণ্ডিত প্রফেসর সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী উল্লেখ করেছেন , রাজনীতির মর্মে দেশপ্রেমের অভাব’ জাতীয় একটি উক্তি। এ মন্তব্য যদি ১০% ভাগও সত্যি হয় তাতেই হতে পারে দেশের সর্বনাশ। আরও স্পষ্ট করে বললে প্রয়াত ভারতীয় চিত্রকর মকবুল ফিদা হোসেনের ভাষায়, ‘যারা রাজ করে তারা একেকটা ভাড়’। এ মন্তব্য নিতান্ত উপেক্ষার ছলে ছুঁড়ে ফেলা যাবে না। সেখান থেকে যদি দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক নেতা বেছে নিতে হয় তবে বিশ্বাসভাজন মহান নেতার আড়ালে-অতলে বা করতলে লুকানো থাকতে পারে। কাব্যের পরিচিত পরিধির বৃত্তে ঘুরে আসতে হলে যে কোনো রহস্য লুকানো তা মূলত ছাই ভষ্মের ভেতরে লুকানো স্বর্ণকণা খুঁজে পেলেই স্বর্ণোজ্জ্বল পদার্থ কুড়িয়ে আত্মতৃপ্তিতে উচ্চাঙ্গ সংগীতের সুর তোলা শব্দশিল্পী তথা কবিকে আগায় এবং তিনি শব্দের মালা গাঁথা-কাব্যের নির্মাণকলায় তার অন্তস্থলে লুকানো স্বদেশপ্রেম কিংবা প্রেমের রহস্যজালে আটকা পড়া বাস্তবতায় উপমার উপসংহার টেনে দিতে যা করতে হয় তাই কাব্যের ভুবনে কবিরা করে থাকেন। কবি মানিক বৈরাগী তার কবিতায় স্পষ্টত তাই করেছেন-আর প্রকাশকের পক্ষ থেকে মানিকের কাব্যগাঁথা সম্পর্কে স্পষ্ট ইঙ্গিত প্রণিধানযোগ্য বিধায় ফ্ল্যাপের প্রথম অংশে উদ্ধৃতি টেনেই দিতে ইচ্ছে-
‘বৈশ্বিক অবক্ষয় দুর্যোগ মহামারির মহা ক্রান্তিলগ্নে অদম্য অভিলাষী মানুষ যখন গ্রহ থেকে গ্রহান্তরে ডানা মেলার স্বপ্নে বিভোর, ঠিক তখন মানিকের কবিতা হয়ে ওঠে মানবিক বোধিসত্তার অমিয় প্রস্রবণ।’

এ উদ্ধৃতি অস্বীকার করার মতো পথ খোলা নেই। কেননা সারাবিশ্বের তাবৎ কবিরা সখা কাব্য করে তথা মনে রাখতে হবে তার প্রেমিকের মতো কিংবা কোনো প্রেমিকার মতো একে অপরকে সম্পর্কের প্রেমের খেলায় ভালোবাসার ফুটন্ত-চামেলী হয়ে যায়। অন্যদিকে বিশ্বের দুঃখ- দৈন্য করোনার যন্ত্রণায় বিশ্বের তাবৎ অস্থিরতা মানিকের কবিতায় প্রাণ পেয়েছে। সব চেয়ে বড় কথা তার কবিতায় স্বদেশের সীমানা ডিঙিয়ে আন্তর্জাতিকতাকে স্পর্শ করেছে। কেননা আমরা তার কাব্যের বাক্ময়তা প্রথমেই লক্ষ্য করি- ৮০ পৃষ্টার এ কাব্যে ৬টি পর্ব রয়েছে। প্রথম পর্বে নামই একিট কাব্যের নামকরণ হলে আরও ভালো হতো। কেননা ‘চাঁদমারি বনে জোসনার প্লাবনে’ অংশে। আবার ৪টি নাম পাঠের কবিতা। এখানে কবিতা যে  রহস্যময় এ কথা উল্লেখ করা যেতে পারে। কারণ প্রেমই তো বড় রহস্যময় আর এ রহস্যময়তা ছাড়া কী কাব্য হয়? উত্তর হোক না। তার প্রথম কবিতায় উদাহরণে এ বিষয়ে লবণ জলের জলতরঙ্গে ঢেউ খেলে যায়-

‘ভাটফুল হাতে মারমেইড আসে ক্ষত- বেদনের জমিনে
হৃদ- যৌবনে,
জশ উঠে থির থির কাঁপে অপার আনন্দের স্বর্গসুখে (বেদন ভ্রূণ, পৃ. ১১)
২.
ও হেমন্তের তারাভরা আকাশ
ইলশে মেঘের গুচ্ছ গুচ্ছ তারা
কেন আসো উঁকি দাও বাতায়নে
রেশমি কোমল বাতাস ঝিরঝির বাও।
------------------------------
হৈমন্তি জোসানার যৈবতী তারার মেলা দেখবো বলে
অসাড় বিছানায় কাতরাই ব্যথা- বেদনার যন্ত্রণায়। (হৈমন্তী জোসনা দেখবো, পৃ. ১২)

৩.
ও চাঁদ, তুই কি জিনিস আমার কলঙ্ক
চোখে চোখ ঠোঁটে ঠোঁট রেখে মুখোমুখি
সত্য ও ন্যায়ের তরে তর্জনী উঁচিয়ে বলি তুই রাজাকার! (বেলাজ জোসনা, পৃ.১৩)
কিংবা একই কবিতায় তার বলিষ্ট উচ্চারণ-
‘নবি ও রাসুলে বিশ্বাসী সুফির জলসায় গীত গাই সর্বেশ্বরের
একাত্তরের প্রাণপণ যুদ্ধে ভাই লড়েছে হানাদারের বিরুদ্ধে,
এমনি জোসনা পহর রাইতে চাঁদের আগুনে জ্বালিয়ে দেয় ঘর
মুজিবের নামে মুক্তিযুদ্ধ, লেনিন মার্কসের জ্ঞানে সমাজতন্ত্র
স্বপ্নদেখা মানুষেরা জোসনার রূপ যৌবনে বিভক্ত বিভ্রান্ত (বেলাজ জোসনা, পৃ. ১৩)
অথবা
‘কলঙ্কের দায় নিয়ে সীতার  পাশে মরমে মরমে পুড়ে রাবণ। (বেলাজ জোসনা, পৃ. ১৩)।
আবার একই পর্বের শেষ  তার বলিষ্ট দৃষ্টি সম্পাত-
‘কামনাকাতর লীলা-লাস্যে অস্থিও শয্যায় চন্দ্রাবতী
চন্দ্রাবতীর তির্যকযোনি রসের তীব্রতাই চন্দ্রজ্যোতি। (বেদন ফুল, পৃ. ১৫)

উপমার সময়ের দেহভাগ যদি হয় বাস্তবতা, উপমার সাথে উপমেয় হয় আরও অধিকতর গুরুত্ববাহী। কেননা এখানেও রহম্যময়তায় মায়াবী মেঘের আড়ালে দেখবো তারার মালা। লুকোচুরি জোসনার রুমাল উড়ে যাওয়ার দৃশ্য কবির দৃষ্টি এড়ায় কী করে? অতঃপর তার কবিতায় বৈশ্বিক যন্ত্রণা, সাম্রাজ্যবাদীর লোলুপ থাবা বিস্তারের দিকও কবিতার দাস যে জলদাসের চেয়ে হার না মানা টানে টেনে নেয়- ভিয়েতনাম, নিকারগুয়া, বসনিয়া, এঙ্গোলীসহ সাম্রাজ্যবাদী থাবার করাল গ্রাস থেকে রেহাই পায়নি আফ্রিকার অনেক দেশ। উদ্দেশ্য মানুষ মারা নয় তাদের সম্পদ লুট করাই তাদের প্রকৃত চিন্তাচেতনা। তাদের লোলুপতা দেখে আমাদের দেশে ইকাডুয়ের বিপ্লব যে বেহাৎ হয়েছিল তা সলিমুল্লাহ খানের লেখার মতো করে মানিকের লেখাও কাব্যিক প্রকাশ বাড়তি অর্জন। তার উচ্চারণ-
‘জন্মেছি এ বঙ্গভূমে, শ্রেণিসংগ্রামের বিপ্লবকালে বেহাহ হতে সময় লাগেনি
স্বদেশের বিপ্লবী জনস্বপ্ন
..
গোলাকায়নের বেগুনি জালে প্রতিযুদ্ধও আমাদের ঘাড়ে চাপিয়ে দেয়, চতুর সাম্রাজ্যবাদ (সাম্রাজ্যবাদ, পৃ. ২৩)।
২.
ফেনাফুলের নিষিক্ত মধুরেণু চুষে ওড়াউড়ি করে
বিষাক্ত জনন- প্রজননের জাল বিস্তার করে বিশ্বায়নের।
তবুও
মিছিল হয় মিছিল আসে, শান্তি আসে না। (শান্তি আসে না, পৃ. ২৪)
৩.
আদর্শ অলিক বাস্তবতা
নীতি-নৈতিকতা সুদূর পরাহত
সুগন্ধি আতরমাখা কালো কোট
জরির নকশা আঁকা কাশ্মীরি শালে
অনুদানের ট্রেডমার্ক জ্বলজ্বল করে
নেতার আশকারায় পা নাচায় মঞ্চে বিজিত শকুন
দূর
সব শালারা মান্দারচুত, সাম্রাজ্যবাদের দালাল ! (কুফল, পৃ. ২৬-২৭)।

দ্বিতীয় পর্বের ‘কবি ও জনতা’ কবিতায় কবি তুলে এনেছেন রাজনীতির নামে ফটকাবাজি, ধর্মের নামে ফতোয়াবাজি, গালগল্প  করা, পাড়ায় পাড়ায় আল্লাহ রাসুল সুন্নী-ওয়াবী-মওদুদী ওয়াজ ব্যবসায়ীদের আস্ফালন, ঐতিহ্যবাহী লালদিঘির বেওয়ারিশ গুল্ম, দখল-বেদখলে তছনছ লালদিঘি আর লালদিঘির আগের জৌলুস ফিরিয়ে দিতে মেয়রকে কবিকে ফেরত দেয়ার কথা, নষ্টভ্রষ্ট রাজনৈতিক নেতাদের দেহজীবীনির টাকাও মেরে খাওয়ার চিত্র। এ কবিতায় শিশুরা যখন কবিকে ফেরত দিতে দাবী জানায় তখন মেয়রের পেছন হাঁটা কমিশন খাওয়া কমিশনার বলে উঠেন, ‘কবি তোমাদের কি দেয়, আমিই তোমাদের পাশে থাকি বলে ঢেকুর তোলে।’
কবি কখনো দেখেনি উদ্ভিদ উদ্ভিদের ক্ষতি করতে, দেখেনি উড়ন্ত শকুনকে মানুষ খুন করতে। শুধু দেখে মানুষ মানুষের রক্ত নিয়ে খেলা করছে। আর তাই কবি মানুষের মাঝে রক্তপাত দেখে ক্ষান্ত থাকতে পারেন না। তাই কবি মানিক যিশুর বুক কবিতায় স্পষ্ট উচ্চারণ করেন-

‘আমি যুদ্ধবিধ্বস্ত বিংশ শতকে মানুষরূপে জন্মাতে চাইনি
পিতা মাতার অন্তিম বিনোদনের সর্বকনিষ্ট হাবিল-কাবিলের জাত
প্রভুর কাছে প্রার্থনায় বলেছি, অন্তত অর্জুন গাছ করে যেনো পাঠায়
মহাপ্রভু আমার কথা রাখেনি, আমাকে করলো হাবিল-কাবিলের উত্তরাধিকার। ( যিশুর বুক, পৃ. ৩৩)

আমরা স্পষ্টত জানি, প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ছাড়াও বিশেষ করে উত্তর দক্ষিণ গোলার্ধে কীভাবে সাম্রাজ্যবাদের করাল গ্রাস মানুষকে হত্যাযজ্ঞে বা গ্যাস চেম্বারে, কিভাবে বিধ্বস্ত করে হত্যা করেছে হিটলার। কবি তাই জন্মাতে চাইনি বিশ শতকে।
আর তৃতীয় পর্বের একটি কবিতায় যখন প্রেমই মুখ্য-সত্য প্রকাশ পায় তখন কী করে না লিখে পারে-
‘ চলে এসো রাই বিনোদিনী হয়ে, জমে উঠুক বৃন্দাবন
বেজে উঠুক শ্যামের বাঁশি।’ ( অভিমান, পৃ. ৪৩)।
আজ আবার হতাশাও প্রেম, হতাশার ভেতরেও সৃষ্টির বেদনা, সে বেদনার নাম নূরের জাহান, নুরের জয়নাব। কবির কাব্যের লক্ষ্মী যেনো কবির পিতার মা-জননী। কী আশ্চর্য একলা জীবন , প্রাণের সখী প্রয়াত কবি মাসউদ শাফির সাথে ঝড়-বৃষ্টি-শৈত্য প্রবাহ যাই আসুক না কেন-সমুদ্র পাড়ের হিমেল হাওয়া উপেক্ষা করে এক সাথে রাত কাটানোর নেশাগ্রস্ত নিয়তির স্মৃতিও কী ভোলা যায়? বন্ধুত্বেও স্মৃতিচারণের গাঁথায় তো কবিতায় হয়ে উঠে প্রীতিকায়ন বা প্রেম গাঁথার রূপেই। বি নুরকে শুধায়-
‘নূর, তুমি বুঝবা না রাতের সমদ্র কি অপরূপ! সফেদ ফেনিল হেঁটে আসে
মারমেইড
ততক্ষণে হয় সৈকতের কিটকটে
ইা হয় জোয়ার ভাটার ওয়াচ টাওয়ারের টঙে ঘুমঘোরে
রুদ্র কিরণে প্রভাত দেখি, পাতাকুড়োনির দল, বেশ্যাদের টাকা-পয়সার
ভাগ-বাঁটোয়ারার শোরগোলে ঘুম ভাঙে ( ঘুম নগর, পৃ. ৪৭)
আবার কখনো প্রেম ও প্রকৃতি  এক হয়েছে বর্ষাতি কবিতায়। তার শেষ উচ্চারণ যেনো ছোট গোলকের ছায়ায় পড়ে আছে গ্রীষ্মের রাণী, মেঘের বৃষ্টিভেজা আঙিনায়-
‘শ্রাবণী হালকা করে কাচটি মুছে দাও, তাকাও দক্ষিণে
দ্যাখো বৃষ্টি পেলবতায় কেমন সুন্দর দাঁড়িয়ে আছে বৃক্ষদেব। (বর্ষাতি, পৃ. ৫৫)
অথবা অকাল প্রয়াত কাব্যের বরপুত্র হাসানের জন্য শোকগাথায়-
‘হাসানের সূর্যোদয় খুব মনে পড়ে, সুরাইয়া কেমন আছে? (আমি তুমি সে, পৃ. ৫৬)।
কবির কাব্যগাঁথায় প্রেম, স্বদেশ প্রেম, বিশ্বায়নের বিস্তীর্ণ বসতি গড়ে উঠা অভিবাসীদেও বসত ভিটের ভেতের শরীরে সুখের প্লাবন ও অসুখ বিসুখ বিস্তির্ণ ফণা তুলে আছে অজগরের গো-গ্রাসে। কেননা শতবর্ষ পরে সময়ের ঘোরেঘোরে কত অসুখ বিসুখ ক্ষয়ে গেছে তা ইতিহাস মাত্র। কেননা করোনা কিংবা ওমিক্রনের অসুস্থতায় করালগ্রাসে দেখে কবিকেও ভাবতে হচ্ছে সমস্যার বেড়াজাল নিয়ে। এসব বিষয় আশয় নিয়ে তাই কবির উচ্চারণ-
‘প্রকৃতির অমোঘ খেয়ালে মানুষের পীড়নে ভোগের বুদ্ধির বিকাশে
হাজার বছর কত গবেষণা, কত লড়াই যুদ্ধ নিজের বিরুদ্ধে নিজে
নিজেদের ভোগ ক্ষমতা সাম্রাজ্য বিস্তারে মানুষ মানুষের হত্যাকারী
বাদ রাখেনি মাটির গভীরতা
সমুদ্রের তলদেশ
প্রাণী-উদ্ভিদ-জল- তেল-গ্রহ-নক্ষত্র-উপগ্রহ
এইসব মারণ উৎসবে আমকেই করলো উজাড়
অথচ ধরিত্রীর এই অবদানের বিনিময়ে চায়নি কিছুই মানুষের কাছে।
একবিংশ শতাব্দীতে মানুষ মানুষের মরণখেলায় মেতেছে জীবাণু অস্ত্রে
আবারও মানুষ মানুষকেই করছ গুহাবাসী গৃহবন্দি
আজ আমি প্রাণভরে নিজেকেই মেলে ধরলাম
দ্যাখো আমাকে
নিজেও থাকো বিশ্রামে
ব্যস্ত মেরিন ড্রাইভে আবারও সবুজের হাতছানি
যানবাহনের হাইড্রোলিক হর্ন
পিকনিক যুবাদের লাউড স্পিকারের কানফাটা চিৎকার নেই
...
আহা ধরিত্রী!
তুমি আমাদের সৃষ্টিসুখ। ( ধরিত্রী, পৃ, ৭৪-৭৫)।
প্রকৃতির কবি এ কাব্যে গাথায় প্রেমের প্রকৃতি, স্বদেশে, স্ববিশ্বের সীমানা পেরিয়ে বিশ্বায়নের দিকে মানব জীবনের সাথে সঙ্গতি ও অসঙ্গতি পূর্ণ-সর্বসত্য গাঁথাতে পেরেছে বলে আমার মনে হয়েছে যে, সৃষ্টির অপার রহস্যের দ্বার উদঘাটন কিন্তু মানুষ্য জীবনে কবিতাই দূরে দৃষ্টি দিতে কল্পনার কল্প রাজ্যকে বাস্তবে টেনে এনে স্বর্ণকার যে ছাই ভষ্মের ভেতরে স্বর্ণকণা খুঁজে নেয় তেমনি মানব জীবনের ছোট ছোট ব্যথা, ব্যথিত জীবনের প্রেমের খেলা, স্বদেশ প্রেমে যুদ্ধ করে স্বদেশের স্বকীয়তা আনয়ন কিংবা জড়গ্রস্ত অসুখ ধরিত্রীর বিষয়ে জলে ভেলা প্লাবনের ডেক তুলে সাগরমতা পেয়াস্তা ছাইয়ের অম্লজলের ভেতর থেকে সর্বমানুষের যুগযন্ত্রণাকে তুলে আনতে পেরেছে কবি মানিক বৈরাগী। প্রকৃত অর্থে  মানিক বৈরাগী কবিতায় বস্তুর অন্তর্নীহিত সত্যের রূপকার। তাই তাকে অনুসন্ধান করতে হয় ছাইরূপি মহাবিশ্বের ভেতর খাঁটি স্বর্ণ সত্য।
##
ছাইস্বর্ণ অম্লজলে
লেখক - মানিক বৈরাগী
প্রচ্ছদ - রাজীব দত্ত
মূল্য - ২০০টাকা
প্রকাশক - আগামী প্রকাশনী


সাবস্ক্রাইব করুন! মেইল দ্বারা নিউজ আপডেট পান