ছোটকাগজ ময়ূখের ভাষাপ্রেম
ভিন্নধর্মী ছোটকাগজ ময়ূখ। ফাল্গুন, ভাষাপ্রেম সংখ্যার ‘ময়ূখ’ বাংলা
সাহিত্যে বহুমাত্রিক রূপে বিকশিত হয়েছে। প্রকাশ হয়েছে চার বাংলার অর্থাৎ
বাংলাদেশসহ ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, আসাম ও ত্রিপুরার বাংলা ভাষাভাষির লেখা। এ
যেন বাংলা সাহিত্যকে খুঁজে বেড়ানোর এক অভূতপূর্ব সম্ভার।
এ বছর একুশে পদক জয়ী হাবীবুল্লাহ সিরাজীর সরস গদ্য। তাঁর উন্মুক্ত ভাবনার- ‘স্বপ্নমুক্তি’ কবিতার অনন্তলীলায় একটি মুক্তিযুদ্ধ। মুক্তিযুদ্ধে স্বপ্নময় বাংলাদেশ নিহিত। ঠিক তেমনি হেনরি স্বপনের- ‘রহস্যের গালিচায়- কল্পনার বিস্তার...’ একটি অনবদ্য গদ্য। মুক্তচিন্তায় ফুটে উঠেছে কবি ও কবিতার বিচিত্রতা। তিনি মনে করেন- অপূর্ব শব্দবন্ধ চিত্রকল্প উপমার সমন্বয় প্রথাবিরুদ্ধ সমস্ত কবিই একক হয়ে ওঠেন... তার প্রত্যেক কবিতার অন্তর্নিহিত আত্মায়...।
বাংলাভাষার কথ্যরীতির আঞ্চলিক ভাষা নিয়ে লিখেছেন দীপংকর গৌতম ও ভোলা দেবনাথ। দীপংকর গৌতমের ‘নিম্নবর্গের মানুষের ভাষা’ এবং ভোলা দেবনাথের ‘জামালপুরের আঞ্চলিক ভাষা’ লেখা দুটি গবেষণাধর্মী। যা পাঠককে অনুসন্ধিৎসু করে তুলবে। সংগীতশিল্পী ফকির আলমগীরের ভাষাসংগ্রামী মতিনকে নিয়ে স্মৃতিচারণটি মনে দাগ কাটবে পাঠকদের। লেখাটিতে ফুটে উঠেছে অনেক অজানা তথ্য- যা লেখকের একান্তই ব্যক্তিগত। অপরদিকে, বাঙালি বাংলা ভাষা ব্যবহারে উদাসীন। উদাসীন আশা-আকাঙ্ক্ষা, কল্পনা-বাস্তবতার উপর ভিত্তি করে নিজস্ব সংস্কৃতি নির্মাণে। লিখেছেন সৈকত আহমেদ বেলাল তার ‘বাংলা ভাষার চেতনা ও অপব্যবহার’ প্রবন্ধে।
মাতৃভাষা বিষয়ক কবিতায় বাংলাদেশের কবি অরুণ সেন, গোলাম কিবরিয়া পিনু, মাহমুদ কামাল, ধ্রুবজ্যোতি ঘোষ মুকুল, আনোয়ার কামাল, নওরোজ সিদ্দিকী সোহাগ, রমজান বিন মোজাম্মেল, আশরাফুর রহমান খান, তন্দ্রা সরকার, পুলক হাসান ও আরিফুল ইসলামের কবিতা মন ছুঁয়ে যাবে পাঠকের।
এছাড়া খালেদ হোসাইন, সোহরাব পাশা, রায়হান রাইন, আয়শা ঝর্নার কবিতা ভালো লাগবে। তপন বাগচীর গীতিকবিতা আলাদা মাত্রা পেয়েছে।
পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের কবি পবিত্র মুখোপাধ্যায়, মৃণাল বসুচৌধুরী, অবন্ত দাশ, গৌরশংকর বন্দ্যোপাধ্যায়, শংকর চক্রবর্তী, শ্যামলকান্তি দাশ, আবদুস শুকুর খান, পাপড়ি ভট্টাচার্য, প্রাণজি বসাক, তৃষ্ণা বসাক, অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায় ও শঙ্কর ঘোষের কবিতার সঙ্গে পরিচয় ঘটবে।
আসাম থেকে কবিতা লিখেছেন- সুমিত্রা পাল, মৃদুলা ভট্টাচার্য, জয়মনি দাস, রাজেশ শর্মা, শৈলেন দাস। এ সংখ্যায় স্থান পেয়েছে ত্রিপুরার কবিতাও। কবিতা লিখেছেন- তমাল শেখর দে, পীযূষ রাউত, রাজেশ চন্দ্র দেবনাথ, মৈনাক মজুমদার, অপাংশু দেবনাথ।
‘ভাষা শিখিয়েছে মাথা নত না করতে- সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম’ একটি চমৎকার সাক্ষাৎকার। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ময়ূখের পক্ষে মাসউদ আহমাদ। সাক্ষাৎকারটি পাঠকপ্রিয়তা পাবে।
এ সংখ্যায় লিপিবদ্ধ চারটি গল্পে গল্পের গভীরতায় মননশীল উৎকর্ষে পাঠক মুগ্ধ হবেন। গল্প লিখেছেন- মনি হায়দার, মাসউদ আহমাদ, সমীর আহমেদ, গোলাম মোস্তফা ডিহিদার। মালয়ালম ভাষার প্রখ্যাত গল্পকার ও ঔপন্যাসিক কমলা দাসের ছোটগল্প ‘ফুল’ অনুবাদ করেছেন মনোজিৎ কুমার দাস। গল্পটি পড়ে পাঠক নিশ্চয়ই আনন্দিত হবেন।
পত্রিকাটি সম্পাদনা করেছেন ভোলা দেবনাথ। প্রচ্ছদ এঁকেছেন হাবিব সিদ্দিকী। ১২৮ পৃষ্ঠার ময়ূখের বিনিময় মূল্য ১৫০ টাকা। পত্রিকাটি সংরক্ষণের দাবি রাখে।
এ বছর একুশে পদক জয়ী হাবীবুল্লাহ সিরাজীর সরস গদ্য। তাঁর উন্মুক্ত ভাবনার- ‘স্বপ্নমুক্তি’ কবিতার অনন্তলীলায় একটি মুক্তিযুদ্ধ। মুক্তিযুদ্ধে স্বপ্নময় বাংলাদেশ নিহিত। ঠিক তেমনি হেনরি স্বপনের- ‘রহস্যের গালিচায়- কল্পনার বিস্তার...’ একটি অনবদ্য গদ্য। মুক্তচিন্তায় ফুটে উঠেছে কবি ও কবিতার বিচিত্রতা। তিনি মনে করেন- অপূর্ব শব্দবন্ধ চিত্রকল্প উপমার সমন্বয় প্রথাবিরুদ্ধ সমস্ত কবিই একক হয়ে ওঠেন... তার প্রত্যেক কবিতার অন্তর্নিহিত আত্মায়...।
বাংলাভাষার কথ্যরীতির আঞ্চলিক ভাষা নিয়ে লিখেছেন দীপংকর গৌতম ও ভোলা দেবনাথ। দীপংকর গৌতমের ‘নিম্নবর্গের মানুষের ভাষা’ এবং ভোলা দেবনাথের ‘জামালপুরের আঞ্চলিক ভাষা’ লেখা দুটি গবেষণাধর্মী। যা পাঠককে অনুসন্ধিৎসু করে তুলবে। সংগীতশিল্পী ফকির আলমগীরের ভাষাসংগ্রামী মতিনকে নিয়ে স্মৃতিচারণটি মনে দাগ কাটবে পাঠকদের। লেখাটিতে ফুটে উঠেছে অনেক অজানা তথ্য- যা লেখকের একান্তই ব্যক্তিগত। অপরদিকে, বাঙালি বাংলা ভাষা ব্যবহারে উদাসীন। উদাসীন আশা-আকাঙ্ক্ষা, কল্পনা-বাস্তবতার উপর ভিত্তি করে নিজস্ব সংস্কৃতি নির্মাণে। লিখেছেন সৈকত আহমেদ বেলাল তার ‘বাংলা ভাষার চেতনা ও অপব্যবহার’ প্রবন্ধে।
মাতৃভাষা বিষয়ক কবিতায় বাংলাদেশের কবি অরুণ সেন, গোলাম কিবরিয়া পিনু, মাহমুদ কামাল, ধ্রুবজ্যোতি ঘোষ মুকুল, আনোয়ার কামাল, নওরোজ সিদ্দিকী সোহাগ, রমজান বিন মোজাম্মেল, আশরাফুর রহমান খান, তন্দ্রা সরকার, পুলক হাসান ও আরিফুল ইসলামের কবিতা মন ছুঁয়ে যাবে পাঠকের।
এছাড়া খালেদ হোসাইন, সোহরাব পাশা, রায়হান রাইন, আয়শা ঝর্নার কবিতা ভালো লাগবে। তপন বাগচীর গীতিকবিতা আলাদা মাত্রা পেয়েছে।
পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের কবি পবিত্র মুখোপাধ্যায়, মৃণাল বসুচৌধুরী, অবন্ত দাশ, গৌরশংকর বন্দ্যোপাধ্যায়, শংকর চক্রবর্তী, শ্যামলকান্তি দাশ, আবদুস শুকুর খান, পাপড়ি ভট্টাচার্য, প্রাণজি বসাক, তৃষ্ণা বসাক, অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায় ও শঙ্কর ঘোষের কবিতার সঙ্গে পরিচয় ঘটবে।
আসাম থেকে কবিতা লিখেছেন- সুমিত্রা পাল, মৃদুলা ভট্টাচার্য, জয়মনি দাস, রাজেশ শর্মা, শৈলেন দাস। এ সংখ্যায় স্থান পেয়েছে ত্রিপুরার কবিতাও। কবিতা লিখেছেন- তমাল শেখর দে, পীযূষ রাউত, রাজেশ চন্দ্র দেবনাথ, মৈনাক মজুমদার, অপাংশু দেবনাথ।
‘ভাষা শিখিয়েছে মাথা নত না করতে- সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম’ একটি চমৎকার সাক্ষাৎকার। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ময়ূখের পক্ষে মাসউদ আহমাদ। সাক্ষাৎকারটি পাঠকপ্রিয়তা পাবে।
এ সংখ্যায় লিপিবদ্ধ চারটি গল্পে গল্পের গভীরতায় মননশীল উৎকর্ষে পাঠক মুগ্ধ হবেন। গল্প লিখেছেন- মনি হায়দার, মাসউদ আহমাদ, সমীর আহমেদ, গোলাম মোস্তফা ডিহিদার। মালয়ালম ভাষার প্রখ্যাত গল্পকার ও ঔপন্যাসিক কমলা দাসের ছোটগল্প ‘ফুল’ অনুবাদ করেছেন মনোজিৎ কুমার দাস। গল্পটি পড়ে পাঠক নিশ্চয়ই আনন্দিত হবেন।
পত্রিকাটি সম্পাদনা করেছেন ভোলা দেবনাথ। প্রচ্ছদ এঁকেছেন হাবিব সিদ্দিকী। ১২৮ পৃষ্ঠার ময়ূখের বিনিময় মূল্য ১৫০ টাকা। পত্রিকাটি সংরক্ষণের দাবি রাখে।