ছড়ায় ছড়ায় ছাবেদ আলীর গপ্প - আরিফুল ইসলাম ।
২০১৬ সালের অমর একুশে বইমেলায় প্রকাশ হয়েছে ছড়াকার আজিজ আহমেদের প্রথম
ছড়াগ্রন্থ ‘ছাবেদ আলীর গপ্প’। কে এই ছাবেদ আলী? বৃদ্ধ ছাবেদ আলী আজিজ
আহমেদের ছড়াগ্রন্থের প্রধান চরিত্র। একই অঙ্গে অনেক রূপ! ছাবেদ আলী তারই
প্রমাণ। তিনি ভীষণ চতুর আর কাঠবুড়ো লোক। মূলত সমাজের বিভিন্ন সমস্যার
সমাধানের জন্য ছড়াকার এই ছাবেদ আলীকে সৃষ্টি করেছেন।
আজিজ আহমেদের ছড়া সম্পর্কে নতুন করে বলার অবকাশ রাখে না। গ্রন্থের প্রতিটি পৃষ্ঠাজুড়ে ছন্দের খেলা, শব্দের জাদু, অন্ত্যমিলের সমষ্টি, মাধুর্য্য, আত্মতৃপ্তি লুকিয়ে আছে। ছড়ায় ছড়ায় সমাজের বিভিন্ন অসঙ্গতি বার্তাবহ উপমা দিয়ে শব্দের ঝংকার ফুটিয়ে তুলেছেন। ফলে মনে হয়, এর প্রতিটি সৃষ্টিকর্মই জীবনমুখি ও হৃদয়স্পর্শী। গ্রন্থের উল্লেখযোগ্য ছড়া হলো- ঘটক, বাল্যবিয়ে, ব্যাঙ, ছাবেদ আলীর গপ্প-৬, ছাবেদ আলীর গপ্প-৩, ছাবেদ আলী গপ্প-২, দাদু, বর্ষা এলে, ফুটানি, শেয়ালের পাঠশালা, চাঁদের হাসি, কাক ও শেয়াল, ধান চাষী, শীত, হানাহানি ইত্যাদি।
উল্লেখিত ছড়াগুলো আমার ভালো লেগেছে, মন কেড়েছে, পাঠমুগ্ধ হয়েছি। বলছি না যে, বাকিগুলো পাঠকদের নজর কাড়তে ব্যর্থ হবে। কারণ একেক পাঠকের চাহিদা একেক রকম। তবে ভাবিয়ে তোলার মত ছড়া ‘ঘটক’! ছড়াকার লিখেছেন-
‘বহুবিয়ে বাল্যবিয়ের
এরা নাটেরগুরু
দায়গ্রস্ত পিতার কাছে
এরাই মহাপুরু।’
গ্রন্থের ‘দাদু’ শিরোনামের ছড়াটি পাঠ করে আমি চমকিত হয়েছি-
‘দাদু আমার বুড়ো খোকা,
কথায় কথায় বানায় বোকা।
শুনিয়ে শুধু বকবকানী,
আনিয়ে নেয় অযুর পানি।
কানে একজোড় দুল দেব,
নাকে সোনার ফুল দেব।
কিনে দেব কাঁচের চুড়ি,
সোনা মিয়ার ঝালমুড়ি।’
এমনই সব মজার মজার আর বার্তাবহ ছড়া এক মলাটে পাওয়া সত্যিই সুখের সংবাদ। যেমন- ‘ব্যাঙ’ শিরোনামে ছড়াকার লিখেছেন-
‘বৈশাখেতে বৃষ্টি হল
জলের মাথায় ব্যাঙ,
সোনাবরণ চাদর গায়ে
ডাকছে ঘ্যাঙর ঘ্যাঙ।’
গ্রন্থে মোট ৪৮টি ছড়া স্থান পেয়েছে। এরমধ্যে হাতেগোনা তিন থেকে চারটি ছড়া একেবারেই নিম্নমানের মনে হয়েছে। আশা রাখি, ছড়াকার পরবর্তী পদক্ষেপে নিজের সৃজনশীল চিন্তাকে শুধরে নিবেন এবং ভুলগুলোকে উতরে যাওয়ার চেষ্টা করবেন। সম্পাদনার ব্যাপারে যথেষ্ট গুরুত্ব দেয়া হয়েছে, তবুও কেন জানি মনে হয়েছে গুরুত্বের পুরুত্বটা একটু হালকা ছিল।
গ্রন্থটি প্রকাশ করেছে আলোকবর্তিকা প্রকাশনী। প্রচ্ছদ এঁকেছেন এম আসলাম লিটন। উৎসর্গ করা হয়েছে বাবা-মাকে। মূল্য রাখা হয়েছে ১২০ টাকা।
আজিজ আহমেদের ছড়া সম্পর্কে নতুন করে বলার অবকাশ রাখে না। গ্রন্থের প্রতিটি পৃষ্ঠাজুড়ে ছন্দের খেলা, শব্দের জাদু, অন্ত্যমিলের সমষ্টি, মাধুর্য্য, আত্মতৃপ্তি লুকিয়ে আছে। ছড়ায় ছড়ায় সমাজের বিভিন্ন অসঙ্গতি বার্তাবহ উপমা দিয়ে শব্দের ঝংকার ফুটিয়ে তুলেছেন। ফলে মনে হয়, এর প্রতিটি সৃষ্টিকর্মই জীবনমুখি ও হৃদয়স্পর্শী। গ্রন্থের উল্লেখযোগ্য ছড়া হলো- ঘটক, বাল্যবিয়ে, ব্যাঙ, ছাবেদ আলীর গপ্প-৬, ছাবেদ আলীর গপ্প-৩, ছাবেদ আলী গপ্প-২, দাদু, বর্ষা এলে, ফুটানি, শেয়ালের পাঠশালা, চাঁদের হাসি, কাক ও শেয়াল, ধান চাষী, শীত, হানাহানি ইত্যাদি।
উল্লেখিত ছড়াগুলো আমার ভালো লেগেছে, মন কেড়েছে, পাঠমুগ্ধ হয়েছি। বলছি না যে, বাকিগুলো পাঠকদের নজর কাড়তে ব্যর্থ হবে। কারণ একেক পাঠকের চাহিদা একেক রকম। তবে ভাবিয়ে তোলার মত ছড়া ‘ঘটক’! ছড়াকার লিখেছেন-
‘বহুবিয়ে বাল্যবিয়ের
এরা নাটেরগুরু
দায়গ্রস্ত পিতার কাছে
এরাই মহাপুরু।’
গ্রন্থের ‘দাদু’ শিরোনামের ছড়াটি পাঠ করে আমি চমকিত হয়েছি-
‘দাদু আমার বুড়ো খোকা,
কথায় কথায় বানায় বোকা।
শুনিয়ে শুধু বকবকানী,
আনিয়ে নেয় অযুর পানি।
কানে একজোড় দুল দেব,
নাকে সোনার ফুল দেব।
কিনে দেব কাঁচের চুড়ি,
সোনা মিয়ার ঝালমুড়ি।’
এমনই সব মজার মজার আর বার্তাবহ ছড়া এক মলাটে পাওয়া সত্যিই সুখের সংবাদ। যেমন- ‘ব্যাঙ’ শিরোনামে ছড়াকার লিখেছেন-
‘বৈশাখেতে বৃষ্টি হল
জলের মাথায় ব্যাঙ,
সোনাবরণ চাদর গায়ে
ডাকছে ঘ্যাঙর ঘ্যাঙ।’
গ্রন্থে মোট ৪৮টি ছড়া স্থান পেয়েছে। এরমধ্যে হাতেগোনা তিন থেকে চারটি ছড়া একেবারেই নিম্নমানের মনে হয়েছে। আশা রাখি, ছড়াকার পরবর্তী পদক্ষেপে নিজের সৃজনশীল চিন্তাকে শুধরে নিবেন এবং ভুলগুলোকে উতরে যাওয়ার চেষ্টা করবেন। সম্পাদনার ব্যাপারে যথেষ্ট গুরুত্ব দেয়া হয়েছে, তবুও কেন জানি মনে হয়েছে গুরুত্বের পুরুত্বটা একটু হালকা ছিল।
গ্রন্থটি প্রকাশ করেছে আলোকবর্তিকা প্রকাশনী। প্রচ্ছদ এঁকেছেন এম আসলাম লিটন। উৎসর্গ করা হয়েছে বাবা-মাকে। মূল্য রাখা হয়েছে ১২০ টাকা।