ছড়াকার জুসেফ খান
—————————————
জন্ম-১৯৭৬ ইং, সিলেট (খান মঞ্জিল,ভার্থখলা)
বাবা- ছড়াকার কাদের নওয়াজ খান ।
মা- সুলতানা খান - গৃহিণী ।
শিক্ষা - ডিগ্রী ( কম্পিউটার সিস্টেম ) সিটি ইউনিভার্সিটি নিউইয়র্ক থেকে ।
সাহিত্য পরিবারে জন্ম নেয়ায় ছেলেবেলা থেকেই সাহিত্যের প্রতি অনুরাগ ।
বর্তমান ঠিকানা - বার্মিংহ্যাম, ইংল্যান্ড ।
দেশ বিদেশের দৈনিক এবং সপ্তাহিক পত্রিকায় নিয়মিত লিখছেন ।
প্রকাশিত বই ছয়টি - ছাইপাঁশ, খড়কুটো, রকমারি,সোৎপ্রাস এবং কিছু কিছু ছড়ায় ইস্যু এবং কীর্তিমানের ছড়া জীবন থেকে গড়া।
ছড়াকার জুসেফ খানের পাঁচটি ইসলামিক ছড়া :
১) গুনাহ মাফের মাস - রমজান
রহমত বরকত মাগফিরাতে
নেকির পরশ মেখে ।
পূণ্য অর্জনের শুরু হলো মাস
রমজানের চাঁদ দেখে ।
লোভ,লালসা,আমানিবকতা
ছেড়ে যাবে ধরাধাম ।
করুণা,ক্ষমা,নাজাতের মাস
নিয়ে আসে পয়গাম ।
অভাব,ক্ষুধা,দরিদ্রতা
বঞ্চিতের কষ্ট অনুধাবনে,
মনের আবর্জনা হয়ে যাবে সাফ
রমজানে সিয়াম সাধনে।
বিশ্বাস আর কর্তব্যনিষ্ঠায় যে জন
রোজা রাখে ‘ তাকওয়া’ তরে।
বিশ্বনবী (সা.) বলেছেন তার সব
গুনাহ, দেয়া হবে মাফ করে ।
২) ইসলাম
‘ইসলাম’ ধর্ম একটি দ্বীন
পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা।
যার মূল শিক্ষা বলে
আল্লাহর উপর রাখা আস্থা ।
বিশ্বাস রাখা আল্লাহ ছাড়া
নেই কোন ঈশ্বর আর ।
মুহাম্মদ(স.),আল্লাহ প্রেরিত নবী,
রাসূল, সকল বান্দার ।
ইসলামে প্রধান ধর্মগ্রন্থ ‘কুরআন’
যা স্বয়ং আল্লাহর বানী,
নবী প্রদত্ত শিক্ষা, জীবনাদর্শ,
সুন্নাহ - যা হাদীস বলে জানি।
আদম,ইব্রাহীম,মূসা,ঈসা ( আ.)
আসমানী কিতাব এসেছিল যত ।
দীর্ঘ তেইশ বছরে অবতীর্ণ হওয়া কুরআন
তারই সবশেষ রূপ অবিরত ।
কালেমা,নামাজ,রোযা,হজ্জ্ব, যাকাত
পাঁচটি স্তম্ভে গড়া ইসলাম ধর্ম ।
জান্নাত আর জাহান্নামে হবে ঠিকানা
বলবে কথা শেষবিচারে যার যার কর্ম।
৩) দোয়া
‘আদ ইয়াহ’ শব্দ থেকে এসেছে
আরবি শব্দ ‘ দোয়া’।
অর্থ যার আহবান' বা ' ডাকা,
মিনতিতে খোদাকে ছোঁয়া।
আল্লাহ তায়লা পবিত্র কোরআনে
বলেছেন দোয়ার কথা ।
“তোমরা আমাকে ডাক,
আমি সাড়া দেব যথা তথা ।” ( সূরা আল-মু’মিন)
রাসূল (সা.) বলেছেন হাদিসে
“দোয়া হলো মুমিনের হাতিয়ার,
দোয়া করা হুবহু ইবাদত সম,
দোয়া করা জরুরি প্রত্যেক বান্দার।”
বিপদ-আপদে নয় শুধু দোয়া,
নয় শুধু প্রয়োজনে ।
গুনাহ খাতার মাফি মাঙ্গি মোরা
হররোজ প্রতিক্ষণে ।
ধন-সম্পদ,বাড়ি-গাড়ি, টাকা,
পৃথিবীর সব মায়া ভুলে ।
দোয়া, মোনাজাত, প্রার্থনা করি
কেঁদে যাই দু’হাত তুলে ।
৪) হজ
‘হজ’ ইসলাম ধর্মের চতুর্থ স্তম্ভ
ইবাদত আবশ্যকীয় ।
তনে,ধনে সক্ষমতায়
আবশ্যিক করণীয় ।
হজ শব্দের আভিধানিক অর্থ
"ইচ্ছা" বা " সংকল্প" করা ।
ক্বাবা শরীফ তাওয়াফ করে
খোদায় সম্পর্ক গড়া ।
আরবি মাস জিলহজে
হজের সময় নির্ধারিত ।
মক্কা,মদিনা নগরীতে যাওয়া
মিনা,আরাফা সন্নিহিত ।
আরাফাতের ময়দানে যাওয়া
যাওয়া মুজদালিফায় !
ক্বাবার সামনের দুই পাহাড়ে
যাওয়া সাফা ও মারওয়ায় ।
‘লাব্বাইক’ ধ্বণিতে মুখরিত হওয়া
লাখো হাজিদের দোয়ায় ।
অন্তর সবার হয় পবিত্র
হাজরে আসওয়াদের ছোঁয়ায়
৫) ঈদুল ফিতর
‘ঈদুল ফিতর’ অর্থ হলো
‘রোযা ভাঙার দিন’।
সবার মনে বাজে যে দিন
আনন্দেরই বীন ।
দীর্ঘ রোযার সমাপ্তিতে
সংযমইতো শেখায় ।
"চাঁদ রাতেই" ঈদের শুরু
নতুন চাঁদের দেখায় ।
"ঈদ মুবারাক" সম্ভাষণে
দু:খগুলো ভুলি ।
ছয় তাকবিরের ঈদের জামাত
শেষে কোলাকুলি,
ঈদের দিনে নতুন জামায়
সবার ঘুরাঘুরি ।
পাঞ্জাবি,শার্ট,শাড়ি,সালোয়ার
গয়নাগাটি চুড়ি ।
ঘরে ঘরে কত আয়োজন
লাচ্ছা সেমাই খাওয়া ।
গুরুজনের সালামিতে
ঈদের ‘ঈদি’ পাওয়া ।
‘রমজানের ঐ রোজার শেষে’
কবি নজরুলের গানে ।
ঈদ বয়ে আনে খুশির জোয়ার
ভালোবাসা প্রাণে ।