তসলিমা নাসরিন বাংলাদেশের একজন সাহিত্যিক ও চিকিৎসক। বিংশ শতাব্দীর আশির দশকে একজন উদীয়মান কবি হিসেবে সাহিত্যজগতে প্রবেশ করে তসলিমা নাসরিন, এই শতকের শেষের দিকে নারীবাদী ও ধর্মীয় সমালোচনামূলক রচনার কারণে আন্তর্জাতিক খ্যাতি লাভ করেন। তিনি তাঁর রচনা ও ভাষণের মাধ্যমে লিঙ্গসমতা, মুক্তচিন্তা, ধর্মনিরপেক্ষ মানবতাবাদ ও মানবাধিকারের প্রচার করায় ধর্মীয় মৌলবাদী গোষ্ঠীদের রোষানলে পড়েন ও তাঁদের নিকট হতে হত্যার হুমকি পেতে থাকায় ১৯৯৪ খ্রিস্টাব্দে বাংলাদেশ ত্যাগ করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাস করতে বাধ্য হন ।
এ পর্যন্ত তাঁর প্রাপ্ত পুরস্কার ও সম্মাননাগুলোর মধ্যে রয়েছে, আনন্দ সাহিত্য পুরস্কার, ১৯৯২ এবং ২০০০; নাট্যসভা পুরস্কার, বাংলাদেশ, ১৯৯২ ; ইউরোপিয়ান পার্লামেন্ট কর্তৃক শাখারভ পুরস্কার, ১৯৯৪; ফ্রান্স সরকার প্রদত্ত মানবাধিকার পুরস্কার, ১৯৯৪; সুইডিশ ইন্টারন্যাশনাল পেন কর্তৃক কার্ট টুকোলস্কি পুরস্কার, ১৯৯৪; যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক হিউম্যান রাইটস ওয়াচ কর্তৃক হেলম্যান-হ্যামেট গ্রান্ট সম্মাননা, ১৯৯৪; নরওয়েভিত্তিক হিউম্যান-এটিস্ক ফরবান্ড কর্তৃক মানবতাবাদী পুরস্কার, ১৯৯৪।
উল্লেখযোগ্য গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে, শিকড়ে বিপুল ক্ষুধা, ১৯৮১; নির্বাসিত বাহিরে অন্তরে, ১৯৮৯; আমার কিছু যায় আসে না, ১৯৯০; অতলে অন্তরীণ, ১৯৯১; বালিকার গোল্লাছুট, ১৯৯২; বেহুলা একা ভাসিয়েছিল ভেলা, ১৯৯৩; আয় কষ্ট ঝেঁপে, জীবন দেবো মেপে, ১৯৯৪; নির্বাসিত নারীর কবিতা, ১৯৯৬; জলপদ্য, ২০০০; খালি খালি লাগে, ২০০৪; কিছুক্ষণ থাকো, ২০০৫; ভালোবাসো? ছাই বাসো!, ২০০৭; বন্দিনী, ২০০৮।
নির্বাসিত এ সাহিত্যিক বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সক্রিয় লেখালেখির পাশাপাশি দেশি-বিদেশি বিভিন্ন সাময়িকী এবং পত্রপত্রিকায়ও নিয়মিতভাবে লিখছেন।
আজ লেখিকা তসলিমা নাসরিনের জন্মদিন। ১৯৬২ সালের ২৫ আগস্ট ময়মনসিংহ শহরে তিনি জন্মগ্রহন করেন ।
তুমি অন্ধের দেশে চশমার ফেরিওয়ালা,তুমি স্বপ্নের ফেরিওয়ালা,বাংলা সাহিত্যের উজ্জল নক্ষত্র,ঘুম পাড়ানোর দেশে ঘুম ভাঙানোর গান গা্ওয়া এক শিল্পী,