বৃত্ত
কেউ কেউ দাঁড়ায় আজ নীরবে--
আঁকা বৃত্তে
কেউ আবার মাথা নীচু করে--
তাও বৃত্তে।
কেউ কেউ তাক করে--
মেশিনগানের মতো চাউলের দানা
আটার রুটি সাগুদানার রাইফেল...
নিঃশ্চুপ রাষ্ট্র-- নির্লজ্জ সংসার
শুধু ক্রচফায়ার গুনে
এক
দুই
তিন
হঠাৎ চোখের জলেরা বন্যার মতো নামলো
পথে পথে
সারিবদ্ধতায়।
ঠোঁটে ঠোঁটে দাঁত ঝরলো রক্ত
চাপা ক্ষোভে।
তবুও সারিবদ্ধ হিংসা নিবে আসে
মধ্যবিত্তের যন্ত্রণায়।
গিলবার্ট
গিলবার্ট-- আরো একটা সূর্য উঠুক
পৃথিবীতে
ইবোলা যেমন থেমে গিয়েছিল--
শেষ সূর্য ডোবার বিকেলে।
এবারও চাই গিলবার্ট--
পৃথিবীর পথে পথে রঙিন হোক শস্য।
তারপর
মানুষ হাঁটুক পুরোন ছন্দে।
সেই পাথর ভাঙা সংসার থেকে--
কেউ একজন তোমার মতো বলুক
তোমায় দিলাম--
বনমোরগের শুভেচ্ছা।
কেউ দেখার নেই
কেউ তো দেখার নেই...
কে এলো... কে গেলো
শুধু শূন্য-- শূন্য সংসার।
আলোরা খেলে যায়--
ভোরের খেলায়
চামেলি ফুলের মেলায়।
তবুও এমন ছিলাম যেমন
কাকতাড়ুয়ার হয়ে--
ক্ষেতের আলে।
মধ্যরাতের ফুলবিউ
কাল মরে যাওয়ার স্বপ্ন ছিল
আজ হারাবার ভয়
পরশু পরশুরাম এগিয়ে যাবে--
আবার মাতৃহত্যায়।
কী আশ্চর্য মানুষজন্ম
আমার!
শুধু আবেগে পোয়াতি
হয়েছি বারংবার।
যদিও
বিভ্রম স্মৃতিরা জেগে ওঠে--
কাঁসরে বাজে
মধ্যরাতের ফুলবিউ।
শুকতারার গল্প--
কামিনী ফুলের গন্ধ ভাসে
আসে...
ভোর হতে হতে অল্প।
জংধরা কিছু কথা
জংধরা কিছু কথা আজ
আজও
ফুলে ফুলে ভাসে
আসে ভর শ্রাবণে প্লাবন।
সেতো এলো না ঘরে
লক্ষ্মীমন্ত হয়ে...
তবুও আজ পাঁচালীর সুর ভাঁজে
দূরে বহুদূরে।
আলতা রাঙা পায়ের ছবি
আঁকে না কভু
শুধু
গুরুবার শূন্য থাকে।
যদিও সিঁথিতে সিঁদুরমেঘ
ঠোঁট ছুঁয়ে আসে
মেঘমল্লার
মেঘেতে শুধু জল জল গান।
নেই
নেই...
কিছুই নেই... কোথাও কিছু নেই
ফুল ঝরে গেছে শূন্য ডাল
ভাসে শুধু পাতাদের ক্রন্দন।
সব শেষে-- মাঠের শেষ
সেখানেও ধানী বিল
নাচে ঘাস ফড়িঙ।
অথচ সবশেষে
যেমন কিছু থাকে না বাকি
তারপর
শুধু ধূ-ধূ আকাশের ছায়াছবি।
অথচ যা কিছু ছিলো
ফাঁকি
তা দিয়েছি মিটিয়ে।
এখন নেবো
ছুটি
দূরের তারাদের বাঁকে।