নজির আহমেদ এর একগুচ্ছ অনুকবিতা
বভাব
মুনাফেক দোষ খুঁজে বেড়ায়,
ঈমানদার ক্ষমা।
পাঠক মূলভাব খুঁজে বেড়ায়,
চানৈক্য দাঁড়ি-কমা।
দহন
ঠোঁটে কালবৈশাখী,
অলিগলিতে পতপত উড়ছে মাদক সুগন্ধ।
শিরায় শিরায় বসন্ত,
রাজপথ কাঁপছে,প্রবেশে বাধা,কপাট বন্ধ।
বসত
তোমারো বিরহে প্রতিদিন-রাত
ঢালি কত দীর্ঘশ্বাস।
কাছে থাকো অথবা দূরে'ই থাকো
হৃদয়ে করিও বাস।
বার্তা
সবুজ পাতারা যদি
ভিজে হাওয়ার তোড়ে ডিগবাজি খায়।
তবে বুঝে নিও তুমি,
ভালোবাসা দাঁড়িয়ে তোমার দরোজায়।
কৃষ্ণকলি
কৃষ্ণকলির বুকে ধ্রুপদী নদী....
সূর্য রস্মির স্পর্শ সুখে শ্যাওলারও অহংকার বাড়ে।
দক্ষযোগ্য হাত নাভী ছুঁলেই
ভূকম্পন হয়,শিল্পিত শরীর পোড়ে ১২০ ডিগ্রি জ্বরে।
রুদ্র
রুদ্র নজির
পরিব্রাজক ও ভাবুক।
তাতেই তুমি
মাদকতাময় আগন্তুক!
রৌদ্রছায়া
শরীর জুড়ে নুন আর ঘাম
শব্দ জুড়ে কবি।
আমি যদি রৌদ্র হই,তুই কী
আমার ছায়া হবি?
দাগ
চাঁদের গায়ে কলংক থাকলেও কিন্তু
জোছনায় দাগ নেই।
জোছনায় চিৎ সাঁতার কাটতে কাটতে
উপমা দ্যায় চাঁদকেই।
শত্রুমিত্র
সুজন বুঝে কইও কথা,
শ্রোতাটিও বক্তা হয় রং মাখিয়ে ঢের।
ঘাতক ভীষণ ভয়ংকর,
বন্ধু যখন শত্রু হয় গোপন প্রকাশের।
থাকা না থাকা
আশ্বাস আছে,
কিন্তু আশ্বাসের ওপর বিশ্বাস নেই।
বিশ্বাস আছে তো,
আশ্বাস নিছক মিথ্যা জন্ম থেকেই।
প্রভাবশালী
তুমি না থাকলে মরিচা ধরে চাঁদের গায়,
জোৎস্নারা ছড়ায় ধোঁয়া।
সূর্যালোকে প্রতিবন্ধকতা হয় ঘন আঁধার,
এতই প্রভাবশালী ছোঁয়া।
দূরত্ব
দূরত্ব জানে কাছে থাকার যথাযথ মানে।
কাছে টেনে যতনে পুষে,
নন্দিত দোষে খোশ রাখার চেষ্টায় আছি;
দৃঢ়চেতা অবিচল তনু-মনে।
যাঁতাকল
লুটেপুটে সব,সুখে তব কলরব
ভিন্ন বাহুতলে।
স্বার্থপরতার যাঁতাকলে স্নানরত কবি
নোনা অশ্রুজলে।
সমন্বয়
দু'জনার মাঝখানে যে দেয়াল
তাতে দাগ কেটেছে অভিমান ও অভিনয়।
মূলতঃ তারাই গড়েছে সম্পর্ক
তুমি আর আমি তাতে করেছি শুধু সমন্বয়।
ঘুর্নিপাক
জলে নৌকা ভাসে,
নৌকায় জল ভাসলে পড়ে ভীষণ সর্বনাশে।
সংসারে সাধু থাকে,
সাধুতে ঢুকে পড়লে সংসার ঘুরে ঘুর্নিপাকে।
বর্ণচোরা
সভ্যতার দাবীতে পুরুষেরা বলছে,বেশ্যা;তারাই
বেশ্যার ঠোঁটে ডুবাচ্ছে ঠোঁট।
বর্ণচোরা ভদ্রলোক,সভ্যতার মাথা কেটে মধুকর;
বেশ্যার এঁটো দেহে ঢালে নোট!