নিউজার্সির ক্লিফটন শহরের এএনটি বুকস্টোরে ফিচার পোয়েট হিসেবে কবিতা পড়লেন কবি হাসানআল আব্দুল্লাহ।
১৮ নভেম্বর, শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় অনুষ্ঠানের শুরুতেই আয়োজক, কবি ও অধ্যাপক জিম গেইন হাসানআল আব্দুল্লাহকে পরিচয় করিয়ে দেন। সেই সূত্র ধরে হাসানআল বলেন, “হ্যাঁ, আমিই সেই কালপ্রিট যিনি শেক্সপীয়ারের মতো করে সনেট লিখবেন না বলে মন স্থির করেছিলেন।” দর্শক স্রোতাদের হাসি ও হাততালির ভেতর দিয়ে তিনি তার সাত-সাতে স্তবক বিন্যাস ও নতুন করে অন্ত্যমিল দিয়ে লেখা স্বতন্ত্র সনেটকে পরিচয় করিয়ে দেন। বাংলা সনেটের জনক মধুসূদন দত্তের কথা তুলে ধরে তিনি বাংলা সনেটের একটি নাতিদীর্ঘ ইতিহাসও তুলে ধরেন। তিনি একে একে তাঁর প্রকাশিত তিনখানা দ্বিভাষিক কাব্যগ্রন্থ থেকেই কবিতা পড়েন। প্রথম কবিতাটি অবশ্য ইংরেজী বাংলা দুই ভাষাতেই উপস্থাপন করেন। স্থানীয় কবি রস-এর অনুরোধে তিনি পড়েন ‘হোয়েন গড ইজ ডেড’ নামে তাঁর বহুল পঠিত ও আলোচিত কবিতাটি। তিনি বলেন, “যদিও আমার দ্বিভাষিক গ্রন্থে কবিতাটি সংযোজিত হয়েছে, আমি কিন্তু এটি প্রথমে ইংরেজীতে লিখি, তারপর এর বাংলা অনুবাদ করি।” আরেক কবির অনুরোধে তিনি বাংলা ও ইংরেজী ছন্দের মূল পার্থক্যগুলো তুলে ধরেন। আলোচনায় উঠে আসে বাংলায় তিন প্রকার স-এর উচ্চারণও। অনুষ্ঠানের অন্য ফিচার পোয়েট ছিলেন এলিসা লেপেন। ফিচার শিল্পী ছিলেন জেরি ফারারা। উভয়েই তাদের পরিবেশনা দিয়েও দর্শক স্রোতাদের মুগ্ধ করেন। জেরি ফারারা হাসানআল আব্দুল্লাহর একটি গানের অনুবাদে তাৎক্ষণিক সূর দিয়ে গেয়ে শোনান। উন্মুক্ত পাঠে স্থানীয় বেশ ক’জন কবি অংশ নেন। আসর শেষে বুকস্টোরের পক্ষ থেকে চা-নাস্তার ব্যবস্থা করা হয়।