কবিতা সাহিত্যের প্রাচীনতম একটি শাখা হলেও; কবিতা আসলে কী?
এই প্রশ্নে সুদূরকাল হতে এসেছে নানারকম উত্তর।
যেহেতু কবিতা কোন নির্দিষ্ট সংজ্ঞা বহন
করে না; তাই একেকজনের কাছে এর, একেকরকম ভাবনা বা মতামত পাই। ভাষার আবিস্কার
একমানুষ থেকে অন্যমানুষের মধ্যে তার নিজস্ব চিন্তা চেতনা, আবেগ-অনুভূতি
পরস্পরকে আরো কাছে এনেছে বলেই; এই ভাষা আবিস্কার ও তার ব্যবহার; মানুষের
সেরা আবিস্কারের অন্যতম। আবার '' ভাষা গড়তে মানুষের পক্ষে সহজ হয়েছে যে
প্রতীক রচনার শক্তিতে, প্রকৃতির কাছ থেকে সেই দানটাই মানুষের
সকল দানের সেরা।'' এখন কথা হলো; মানুষ যেমন একা-একা বসবাস করতে পারে না;
ঠিক তেমনি মানুষ তার নিজস্ব ভাবনাকে একা একা বহন করেও স্বস্তি পায় না! সে
চায় তার ভাবনাগুলো পারস্পরিক আদানপ্রদান হোক। মানুষ তার জ্ঞাত বা
অজ্ঞাতসারে একটা নিজস্বশৈলী বহন করে। সেটা তার চলায় বলায় প্রকাশ পায়৷
এখানেই মনে হয় মানুষ স্বাতন্ত্র্য। সে কারণেই আমার মতে কবিতা হলো- মানুষের
সুখ-দুঃখ, ক্রোধ ভালোবাসা, প্রেম-প্রকৃতি, আবেগ-অনুভূতি,
চিন্তা-চেতনা-দর্শন প্রকাশ করার নিজস্ব একটা শৈল্পিক শৈলী বা স্টাইল....
আর এই সমস্ত অনুভব-অনুভূতিকে যিনি কাব্যিক সুতোয় গাঁথতে পারেন; তিনিই কবি।