নিশিক্রিয়া - রতন বাঙালি
নিশিক্রিয়া - রতন বাঙালি

রাত এগারটা। গুমগুম শব্দে ঢাকা ছেড়ে যাচ্ছে যাত্রিবাহী জলযান। যাত্রীরা যে যার মত অবস্থানে রয়েছেন। কেউ বসে আবার কেউবা শুয়ে। দ্বিতীয় সারিতে ঘুমিয়ে এক নারী। দু’পাশে দুই সন্তানও ঘুমন্ত। তারা গ্রামে যাচ্ছে। নিম্নমধ্য থেকে মধ্যবিত্ত ঘরের বধূ, নাকি একটু উচ্চবিত্তের বাড়ির পাশের পড়শি বলবো তাকে! অনুমান করে চলতি বয়ানে বলতে হচ্ছে- উন্নয়নশীল সদস্য। পড়নে দামি শাড়ি। দৃষ্টির বিচারে ধরতেই হয় এমন একটা সত্য- গ্রামের মেয়ে জৈবন।

ঈদকে সামনে রেখে শিকড়ের ঠিকানায় যাত্রা! দুই বাচ্চা সহ পোশাক পরিচ্ছদে নিজের ঈদ আয়োজনের কিছুটা ফুটে উঠেছে। সাথে দু’তিনটি কাপড়ের ব্যাগও রয়েছ। বড় উৎসব- ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষ্যে যাওয়া বলে কথা। এতে একটু ভিন্ন আয়োজন থাকা দোষের নয়। সব মিলে গ্রাম্য মধ্যবিত্তের শহুরে বৌ বললে তেমন একটা ভুল হবে না! শ্বশুর কিংবা বাপের বাড়ি যাওয়া। খালি হাত কি যাওয়া যায়? তাই ছোট এক ব্যাগে কিছু ফল, বিস্কুট এবং খেজুর নিয়েছেন ছোটদের জন্য। আজকাল এগুলো উপজেলার বাজারেও পাওয়া যায়। কিন্তু ঢাকা থেকে নেয়ার কদর আলাদা!

পুরান ঢাকা আর বৃদ্ধা বুুড়িগঙার নিত্যদিনের অতিথি দক্ষিণাঞ্চলের লোকজন। তারা সাগরকূলের শহরমুখি মানুষ। এই পথে গ্রামশহরে তাদের অর্থনৈতিক আত্মীয়তা। ঢাকাকে ধারণ করে, এই নিত্য অতিথির সাথে আলিঙ্গন আর নিজের বয়সের ভাড় সব মিলিয়ে বুড়িগঙা আরও বুড়িয়ে গেছে। তার বুকচিরে এখন শুধু সেকেলের ডিঙি আর ট্রলারই চলে না; এখন বিলাসবহুল সুবিশাল জলযানের নিত্য আসা যাওয়া। ফলে ঢাকার আদি প্রবেশ পথটিতে অতিরিক্ত একটা চাপ লেগেই থাকে। সকাল-সন্ধ্যা মানুষ, রিক্সা-ভ্যান মাল আর কুলি মজুরের হাঁক-ডাকে এই চাপ জটলায় পরিণত হয়।

আধুনিক ঢাকার দ্রুত সম্প্রসারণ ঘটছে। অতিরিক্ত লোক, অপরিকল্পিত বর্জব্যবস্থাপনা এবং পয়নিষ্কাষণ ব্যবস্থাও এখন এক সমস্যায় পরিণত হয়েছে। সকল বর্জের নির্যাসের ঠিকানা বুড়িগঙা। এর সাথে যুক্ত হয়েছে ক্ষমতাধরদের লম্বা হাতের দাপট। দুই কূলের জায়গা দখল। বালি ফেলে ভরাট,- কোন অত্যাচার সইতে হয় না তাকে? এভাবে ধাপে ধাপে দখলদারের কবলে পড়ে এই নদীটি আজ জীবন্মৃত। যেন এক অসহায় ক্লান্ত দেহের নির্বাক প্রতীক।

সংজ্ঞাগত অর্থে এটি আর নদী নেই। দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের কাছে এটি নালা থেকে বড় খাল বিশেষ। নদী বলতে তারা যাহা জেনে বা দেখে থাকেন, এখানে তা অনুপস্থিত। তাদের সংজ্ঞায় এই চিত্র তার বিপরীত। খাল থেকে ঝিল, হ্রদ কিংবা শাখা-নদী, উপ-নদী হয়ে মেঘনা আথবা পদ্মা নামে সাগরে গিয়ে মিলিত হবে -এমনটাই তো ধারণা করে তারা! কিন্তু এতো নদী থেকে খাল! একান্তই মরা নদী। দূষণ শব্দটি তাদের আবিষ্কৃত নয়। শুনে, দেখে, ঠেকে এবং বই পড়ে শেখা এক বার্তা- পানি ও পরিবেশ দূষণ। বিজ্ঞানের বদৌলতে এখন এটাও তারা বুঝতে শিখেছে।

সময়ের সাথে আজকাল দিনেরও পরিবর্তন হয়েছে। আধুনিকতার সাথে ঐতিয্য-গৌরবেও পরিবর্তন এসেছে ধীরে ধীরে। দ্রুত দিন বদলাচ্ছে- দৃশ্যমাণ উন্নয়নও হচ্ছে। নদীর বন্দরে এখন আলোকউজ্জ্বল ব্যবসাসফল লঞ্চ ভিড়ে। এ আবার যেই সেই পরিবহণ নয়! সেকেলের ডিজাইনের দু’একটি স্টীমার তো থোড়াই মাত্র। এর তুলনায় সর্বদিক দিয়ে রাজার আসনের এই আধুনিক জলযানগুলোর স্থান। মূলে একটু গঠনগত সমস্যা থাকলে থাকতেই পারে। এটি কারো একার দোষ হবার নয়; শুদ্ধবিচারে এটি দেশের নব্য পরিপক্কতার দৈন্যতা বলে দিলেই চুকেগেলো। রাজনীতিতে ইদানিং হাইব্রীড শব্দটি পঁচে গেছে। তাই এই লঞ্চগুলোকে সংকরজাতের বলা যায়। দিনগুণে এগুলোই এখন এই রুটের রাজা।

রাজার নির্দিষ্ট রাজ্য থাকে। থাকে এর বলয় সীমানাও। এরাজ্যে যাত্রীরাই প্রজা! অপর দিকে মালিক- সমিতি মিলেমিশে রাজা থেকে মহারাজা। এখানে ন্যায় অন্যায় সমানে সমান। মালিকপক্ষ সময়সুযোগে এগুলো দিয়ে যাত্রীর আধিকারও নিয়ন্ত্রণ করে থাকেন। রাজবিচার এখানে অন্ধ। এগুলো ত্রুটি নয়; সমস্যা! তাদের ক্ষেত্রে এটি ভিন্ন শব্দ! উন্নয়নের বৃহৎ দৃষ্টিতে একটু ক্ষুদ্রু অনিয়ম মাত্র। এ আর এমন কী! ব্যক্তির উন্নয়নে পরিবার, টীম স্পীডে প্রতিষ্ঠান, সমাজের উন্নয়নে রাষ্ট্রের উন্নয়ন। এভাবে এক একটি ধাপ পেড়িয়ে এগিয়ে যায় প্রতিটি দেশ। কিন্তু এখানেও সামনে যাওয়ার গতি রয়েছে। এই গতি গণমুখি নয়! কেন্দ্রমুখি অগ্রগতি। এতেও সমস্যা থাকছে। সাফল্য ও তর্কের খাতিরে এতটুকু ত্রুটি তো মানতেই হয়!

ডিজিটাল শব্দটি শরুতে মানুষ গ্রহণ করেনি। রাজনীতি গায়ে মেখে এটি ব্যঙ্গোক্তিতে পরিণত হয়েছিলো। কিন্তু ব্যবহার এবং সময়ের দাবিতে এটি এখন বাস্তবতা। নৌপথেও ডিজিটাল ছোঁয়া লেগেছে! লঞ্চ-স্টীমারে তো নয়ই, জেলেদের ডিঙি এবং ট্রলারেও এখন হারিকেন কিংবা বাতি দেখা যায় না। সেখানেও সৌরশক্তির সোলার লাইট জলছে। চলছে মোবাইল ফোন, টেলিভিশন এবং এলপি গ্যাসের ব্যবহারও। মূলকথা; প্রক্রিয়ায় ঘাটতি থাকলেও এই বিচ্ছিন্ন উদ্যোগগুলো চোখে পড়ার মত বিষয়। যাচাই প্রক্রিয়া অকার্যকর থাকলে, সামাজিক রোগ থেকে রাষ্ট্রীয় অর্জনে ক্রুটি থাকবে -এটাই স্বাভাবিক। ঠেলায় পড়ে ধাক্কা খেয়ে জবাবদিহি করতেও তো কম বাধ্য নই আমরা! আমাদের শেষ কথা বলে কিছু নেই! নব্য উন্নয়ন, একটু সময় তো লাগবেই। সব ঠিক হয়ে যাবে! তাই এসকল আমলে না নিলে, অন্য সকল মিলে এই নদীবন্দরই ঢাকার সিংহদ্বার এবং ঐতিয্য।

জৈবন বিবিরা দেশের দক্ষিণ সীমান্তে থাকেন। গ্রীষ্ম-বর্ষা তারা জোয়ার ভাটা ও ঝড় বন্যার সাথে খেলে বড় হয়েছেন। ঢাকার যাত্রায় নদীপথই তাদের ভরসা। বঙ্গোপসাগরের বুকে আঘাত করে যুদ্ধরত লোকদের জন্য সদরঘাট ঢাকার অন্যতম প্রথম পরিচয় হতে বাধা নাই। এই ঘাটকে কেন্দ্রকরেই তাদের ঢাকার পরিচয়্! হুইসেল বাজিয়ে কীর্তনখোলা, কর্ণফুলী, দ্বীপরাজ কিংবা সাগরকণ্যার মত শ’খানেক লঞ্চ সদম্ভে এসে আছড়ে পড়ে এর পল্টুণে। পাশাপাশি লম্বা মোলায়েম সুরে জানান দিয়ে পল্টুণ ছাড়ে আরেক সজ্জিত যাত্রীর বহর। এভাবেই দিনরাত জেগে খোলা থাকে দক্ষিণা বাতায়ন -পুরাতন ঢাকা আর সদরঘাট। এখানেই ব্যস্ত ঢাকার প্রাণচাঞ্চল্য।

আজ দুই কন্যা নিয়ে বাড়ি চলেছেন জৈবন বিবি। রূপে যৌবনে এখনো বিরাম চিহ্ণ পরেনি। অনুমান করি; স্বামী-সন্তানে লক্ষ্মী পরিবারের সদস্য তিনি। কিছুটা সাহসও রাখেন মনে। রাজধানী থেকে গ্রামের বাড়ি; সেতো এপাড়া ওপাড়ার ব্যাপার। এনাহলে নারীস্বাধীনতা কীসে? এইটুকু সাহস তো অর্জন করতেই হয়! উৎসবকে সামনে রেখে যাত্রা। হাতে একটু তাড়াহুড়ো ছিলো। তার পরেও সময় ধরে আসতে পেরেছেন। গোধূলিতে ঢাকার নদীবন্দরে পেঁৗঁছে যান বেশিরভাগ যাত্রী। জৈবন বিবিও এসেছেন। ডুবন্ত সূর্য আর প্রজ্বলিত আধুনিক বৈদ্যুতিক বাতির আলোয় নিজ জেলার লঞ্চ খুঁজে নিয়েছেন সহজেই। সময় মত উঠে গুছিয়ে বসলেন। সন্ধ্যায় সংক্ষিপ্ত সময়ে হাতে মেহেদি নিয়েছে বড় মেয়েটি। ছোটটি এখনো এতকিছু বোঝে না। একটু রাত বাড়তেই দুই সন্তান ঘুমিয়ে পড়েছে। পিঠাপিঠি বয়সের দুই সন্তানের মা জৈবন। উৎসবে শহর থেকে গ্রামে যেতে হয় প্রতিবছর। গ্রামের বাড়িতে নিজের মত করে যাওয়া। শৈশব থেকেই নৌকা-লঞ্চ এর সাথে তার পরিচয়। ফ্লোরে চার সারিতে বেড পাতার ব্যবস্থা। উত্তল গড়নের তৃতল লঞ্চের ফ্লোরের দ্বিতীয় - তৃতীয় সারিতে তাদের বেড। প্রথম শ্রেণিতে নারীর জন্য অর্থব্যয়ের চেয়ে নিরাপত্তাটাই মূল বিবেচ্য। সকল মানুষই মানুষ নয়! সময়ে কেউ কেউ মানব থেকে দানবে পরিণত হয়। অনেকেই পৈশাচিক চরিত্র ছেড়ে মানুষ হতে পারেনি। তাই সকলের সাথে ফ্লোরকেই সে তার জন্য নিরাপদ ভেবে নিয়েছেন।

রাত আটটায় লঞ্চটি ঘাট ছেড়ে যাত্রা শুরু করেছে। বড় মেয়েটি ঘুমের ঘোরে নিজেদের কিংবা নানার বাড়িতে উৎসব আনন্দে বিভোর -তন্দ্রাচ্ছন্ন। আধাঘুমে অচেতন আর সচেতন মনের দোলাচলে মগ্ন। সুখস্বপ্নে ঘুম থেকে উঠে চোখ মুছতে মুছতে হয়তোবা টয়লেটে জলবিয়োগ করে নিয়েছে শিশুটি। জলের তো আবার ধর্ম আছে। সে তার সূত্রমতে নিচু অবতল পিঠ গড়িয়ে চলে। তাকে আর ঠেকায় কে? যেমন কথা তেমন কাজ- জলে গতি পেয়েছে। মুহূর্তেই অন্য দুএক জনের বেড ভিজিয়েছে।

পাশের ঢালে শুয়ে এক দম্পতির পরিবার। স্বামী-ননদ কন্যা-পুত্রে গ্রামমুখি যাত্রা। বাধা না দিলে গণতন্ত্র নিজ গতিতে চলে। সুধু চলেই না; সময়ের দাবি আর উন্নয়নের গতির সাথে বিকষিতও হয়। তাহলে আবার জলের দোষ কীসে? গণের জন্য তন্ত্র ফিকে হলেও এখনো এই দেশে জলের জন্য তন্ত্র কেন থাকবে না? তিস্তা- গঙার জল যেখানেই ঠেকে ঠেকুক, এই জল ঢালু পথে যাবেই। গন্তব্য যথামুখী। তাও আবার এই দম্পতির বেডে। শোয়া অবস্থা থেকে আড় মোড়া দিয়ে লাফিয়ে উঠলেন মধ্যবয়সী এক নারী। শেয়ালে মুরগী ছোবল দেওয়ার মত চিৎকারে বকে উঠলেন তিনি! এক লাফে উঠে দাঁড়ালো তার আদরের ননদটিও। নারিকণ্ঠে হঠাৎ বিস্বাদের ধ্বনি? কী যেন একটা ঘটেছে! পাশের দু’এক জন কথাশুনে বিষয়টি ধরতে পেরেছেন।

জৈবন বিবি ঘুমাননি। লঞ্চভ্রমণে আরামআয়েস আপেক্ষিক বিষয়। দরিদ্রধনী মতান্তরে নিজ প্রয়োজনেই সকলকে কমবেশি জেগে থাকতে হয়। জৈবনও তার বাইরে নয়। হালকা তন্দ্রাভেঙে পাশের দু’নারীর বিত-ার ভাষায় বুঝে নিলেন তার অপরাধ! দুই বছরের অর্ধউলঙ্গ এক শিশুকে কোলে নিয়ে অপর সন্তানদ্বয়কে পাশে ঠেলে বিরক্ত ভঙ্গিতে এক মা দাঁড়িয়ে। মাতৃত্বের স্বাদ না পাওয়া অনূঢ়া ননদের সাথে সুরমিলিয়ে তিরস্কার করলেন সদ্য আঁৎকে ওঠা আরেক মাকে।

জৈবনের সদাহাস্য বদনে মলিন ছাপ নেমে এলো। টোলপড়া মুখে রাঙা ঠোঁটের লজ্জার ছায়ায় খানিকটা আড়ষ্ট ভাব। অবুজ মেয়ে স্বপ্নে জলবিয়োগ করেছে। বেড- বিছানা ভিজিয়েছে। মা বুঝতে পেরে কালবিলম্ব না করে জল মুছে দিলেন। সমস্যার সমাধানে পরিবেশ এখন শাস্ত হয়ে এলো। স্নেহ-মমতায় মায়ের পক্ষেই রইল জৈবন! স্বভাবত কেহ প্রকাশ না করলেও, বিবেকের বাণীতে এক মায়ের কাছে আরেক মায়ের মাতৃত্ব হয়তো বা ছোট হলো!

জৈবন বিবি কোন অন্যায় করেননি। তন্দ্রাচ্ছন্ন শিশুর স্বপ্নঘোরে প্রকৃতির কাজের কসুর মাথায় নিয়ে দ্রুত অন্য এক বস্ত্রে প্রবাহী জল মুছে দিয়েছিল। সকল সমাধান সে নিজেই করেছেন। অপক্ষ ননদ এবং অপপরিপক্ষ ভাবী ছোটভোনতুল্য জৈবনের কৃতজ্ঞতা এবং মনকষ্ট বুঝতে সময় নিলো বটে। কিন্তু ততক্ষণে তাদের প্রচলিত নির্বুদ্ধিতা এবং অসহিষ্ণুতার পরিচয় প্রকাশ পেতে বিলম্ব হলো না। মধ্যরাত গড়িয়ে গেছে। যাত্রীদের কেউ বিশ্রামে, কেউবা আবার মোবাইলে ডিজিটাল যোগাযোগে ব্যস্ত। উত্তেজিত দম্পতির মুখে অনুতাপের ভাব বিলম্বে ফুটলেও, তাদের পুরুষ সদস্যের পিতৃত্বের নৈতিক ভাষাজ্ঞানেরও দৈন্যতা প্রকাশ পেলো প্রকারান্তে। পাক-নাপাকের দ্বি-দ্বন্দ্বে তিনি নিজেতে নিজেই অনুপস্থিত ছিলেন। তার মধ্যে কোন পরিবর্তন দেখা গেলো না। নারীর আচরণে নারীকুল লজ্জিত হলেও, মায়ের বিনয়ী এবং নন্মচর্চায় মাতৃত্বের বিজয় হলো। পাশের সকল ব্যক্তির অব্যক্ত অনুভুতি থেকে অন্যরাও নারীত্ব এবং মাতৃত্বের তফাৎ দেখতে পেলো। মায়ের মহত্ত্ব এবং ব্যক্তিত্ব উপলব্ধিতে সমুন্নত রইল। 


সাবস্ক্রাইব করুন! মেইল দ্বারা নিউজ আপডেট পান