কাঠঠোকরা
~
একটা কাঠঠোকরাকে দেখি কাঠফাটা রোদে কোনো গাছের দেহ ঠুকে যাচ্ছে,প্রতিদিন একটা রুটিনে
তার পাখায় বেশকিছু রং,ঝিরিঝিরি এক অরণ্য,এবং তার ঠোঁটেই আমি খুঁজে পেয়েছিলাম এক ধরনের মুক্তি;সমস্ত দুপুর সে ঠোকরে ঠোকরে এক সংগীত ছড়িয়ে দিতো, মনেও পৌছে দিতো যেনো এক থুম,যেন সে শেখাতে আসে কিভাবে কোন ক্ষয়িষ্ণু শরীরকে ছাপিয়ে ডিঙাতে হয় সমূহ শারীরবৃত্তিয় শোক
প্রতিদিন কাঠফাটা রোদ ও নীরবতায় বাজিয়ে গাছ আবার সে চলে যেতো ;অসমাপ্ত পৃথিবীকে পুনরায় পৃথিবীতে রেখে
পৃথিবী
~
'দূরে কোনো সাশ্রয়ী পোতাশ্রয় থাকলে চলে যেতাম'
কবে থেকেই এমন ভাবনা নিয়ে ঘুম ভাঙে অযুত ক্লেদের; একটা শ্যাওলাঘন জেটির কলজে পোড়া জাহাজ,ফেনায়িত দুপুর যেন করাতের দাঁত লবন ছিটানো জলে;চিড়ে যাচ্ছে আমার পিঠ জীবনের সমস্ত ভার নিয়ে,কেউ পেটে বসে বাজাচ্ছে সেঁতার, পেয়ালাতে যেনো বর্ণিল সব সম্পাত তুলছে সরাব,ঝলকের নারী,কুঠুরিতে সাদাকালো রঙ নিয়ে দেখছি দ্রাঘিমা ও অক্ষের যতি, এক লক্ষী প্যাঁচা; বিশালতার জীবনে কেবলই জমেছে মস, সামান্য বেপথু বাতাসেই উড়ে গেছে হিরামন পাখি
'দূরে কোন ঝাউ গাছ পেলে থেমে যেতাম'
এমন ইচ্ছা নিয়ে কতোদিন ভেবেছি হৃদয়,আঙুরের মতো করে সুউচ্চ সব দালানের ঝারবাতি রেখেছি সরিয়ে কতো মোহনীয় রাতে,শরীরের আগড় যেমন পুড়িয়ে নিভে যায় সুগন্ধি কাঠি, তারপরও,এসব ধোঁয়া ও ছাই কারও মনোবাসনার সব মুরতির গান গেয়ে গ্যাছেই বিশালে
পৃথিবী, ও লীলাবতী সুডৌল নারী,ব্রোথেল থেকে তোমারও মুক্তি নেই জেনো! যেমন আমিও পাই না কোনো পোতাশ্রয় আর সেই ঝাউগাছ