পোড়ামন
(কবি সাবিলা রওশনকে)
একা পথ চলা একাকী এই জীবন
আয়োজনও একা, একজনই রাঁধে
সুখ দুঃখের সংসারে নিঃসঙ্গের মন
আপনজনের কষ্টে পোড়া মন কাঁদে
জীবনের ভালোবাসা সে তো মিছে নয়
তবু কেন মন সব কিছুতে অর্থ খোঁজে?
কেন হিংসা লোভ করুণা ঘৃণা দাও ভয়
প্রেম ভালোবাসা স্নেহ উন্মাদও ঠিক বোঝে
দুঃখকে সুখ ভেবে নিঃসঙ্গতাকে যায় না ভোলা
বন্ধুহীন জীবন তবু ভালো থাকে যদি মন খোলা
অরিকে করি দমন দুখী জীবন শুধু নও তুমি বাদে
নিজেকে গড়ি, পড়তে চাই না আর নাটকের ফাঁদে
একাকী জীবন থাকি সারাক্ষণ খুঁজে ফিরি তারে
অভিনয় নয়, স্বার্থহীন ভালোবাসা চাই সত্যিকারে !
মলিন কাব্য
( স্নেহাশীষ হাসিনা হাসি )
লিখাতো হলো বেশ
তবু কেন আক্ষেপ?
হয়নি কাব্য ধূসর
মোটেও
এমন কবি সত্যি কম
জোটেও!
কবিতার বেদনার অক্ষরে
হাসি
হাসিনা বলে পদাবলি ভালোবাসি
কোথায় সুখ নেই ভালোবাসা কত দূর?
কাব্যের খাতা মলিন বুঝি হারালো সুর !
অসম্পূর্ণকাব্য
হৃদয়ে জমছে সীমাহীন শব্দগুচ্ছ
মন চায় বলি শুধু তোমারে
অস্থির ভাবনাগুলো উড়ে যায় কোন সুদূরে
হয় না প্রকাশ আর
মাঝে মাঝে ভারি দুরন্ত সময়
বেঁধে রাখা যায় না মনের অলিন্দে
মনছবি নিয়ে যেতে চাই সাগর সঙ্গমে
কিংবা গভীর অরণ্যে ছায়াবীথি তলে
নির্জনে দু’জনে কথাশিল্পের আয়োজন
অঙ্গ প্রত্যঙ্গের অনুশীলন প্রেম অবগাহন
কতকাল দেখি না তোমায়!
শুধু ব্যর্থ শব্দমালার উচ্চারণ!
আপন স্বপ্নগুলো হৃদয়ের উজানে জমা রয়।
নিঃসঙ্গ আমি !
বন্ধ চোখে কেবলি দেখি তোমায়।
জীবন মৃত্যুর আলাপন
জীবন আর মৃত্যুর মাঝে আলাপন
কে বড় এই নিয়ে কথন
জীবন বলে অসীম আমার ক্ষমতা
গর্ভেই শুরু আমার জীবন
তোমাদের মিলনে তৈরি ভ্রুণ
তারপর ভূমিষ্ঠ, হয়তবা অনন্তকাল আমার যাত্রা
জঠর থেকে বের হয়ে কত অধ্যায়
শিশুকাল, কৈশোর, যৌবন, প্রৌঢ়
কিংবা বয়োবৃদ্ধ কতটা পথ আমার
তাই আমিই শ্রেষ্ঠ!
মৃত্যু জীবনের কথা শোনে না
দাম্ভিকতা, ক্ষমতার বেশ দাপট
আছে অহংবোধও
মৃত্যু বলে, জীবন সেতো বেশ দুর্বল
যে কোন সময় করতে পারি কুপোকাত
গর্ভেই শেষ করে দিতে পারি ওর আলো
পরিচর্যা প্রতিরোধে জীবন আয়ু প্রলম্বিত হয়
সেখানে মৃত্যুর পরাজয়
জীবন বয়ে চলে আপন মহিমায়
সুখ দুঃখের ঠিকানায়
হৃদয় নিয়ে জীবন থাকে মৃত্যুর পাশে
তবুও জীবন হেরে যায় মৃত্যুর কাছে!
নদীমুকুরে
তপ্ত রোদে মধ্য দুপুরে
পদ্মা পাড়ে নদী মুকুরে
হৃদয় হাসে, জলে ভাসে
মন চলে যায়
দূর সীমানায়
মন নদীতে অনেক আলো
স্বচ্ছ জলে মনটা ভালো
কে বলেছে আমি কালো ?
হিয়ার মাঝে প্রদীপ জ্বালো
যাবো না আর মন পুকুরে
কামড়ে খাবে অরি কুকুরে !
বিস্তারিতরাত্রি
রাত্রি বয়ে যায় হৃদয় ডুবন্ত কষ্টের বিষাদে
দিন শুরু হয় মনস্থিত সংগীতের আস্বাদে
দুঃখ বিরাজ মনে, সুখনগর কত দূরে?
চিত্ত শান্ত হয় না আর মাত্রা লয় সুরে
কোথায় হেঁটে বেড়াও কোথায় যাও চলে
মন চঞ্চল দেহ অচল কথা হয় না বলে
রাত জাগা প্রাণী আমি অজলে আমার বাস
একাকীত্বের রোগে আমার হচ্ছে সর্বনাশ !