বিদায় নিলেন মা দূর্গা,
ফিরে গেলেন মহাদেবের কাছে --
অভিমান হয় মায়ের ওপর-
আর কটা দিন কেন থাকলে না মা--?
ঘরে ঘরে পথে প্রান্তরে যে অসংখ্য দূর্গারা অত্যাচারীত হয়ে চলেছে -
কবে সব অসুর তুমি বধ করবে মা?
এখনও যে তোমার সন্তানরা ডুবে আছে অন্ধকারের বদ্ধ জালায়--
তাই ভাইয়ে ভাইয়ে চলছে হিংসা ও ভেদাভেদের লড়াই -- তীব্র বর্ণ বিদ্বেষ -- অশিক্ষা ও দারিদ্র্যের হাহাকারের কান্না ছড়িয়ে আছে সর্বত্র --।
সুচিকিৎসার অভাবে অসময়ে প্রাণ চলে যাচ্ছে কত মানুষের ---
কবে তুমি দুর্গতি নাশ করবে মা--?
আমরা যে সবাই তোমারই সন্তান - তবে কেন আমরা এত জাত ও ধর্মের ভেদাভেদ করি? মিথ্যে রক্তক্ষয়ে কত জননীর কোল খালি হয়ে যাচ্ছে --
এই অশিক্ষা ও সংস্কার থেকে মুক্ত কর তোমার সন্তানদের --। আর একবার জন্ম দাও - বিদ্যাসাগর, রবীন্দ্রনাথ, বিবেকানন্দের মতোন মহান মানবদের-- যাঁরা বোঝাতে পারবেন তাঁদের কলমের ধারে--" যেই মানব তুমি সেই মানব আমি "
রবীন্দ্রনাথের এই গানের কথা আমরা ভুলে যাই --।
তুমি তো এক মহা শক্তির প্রতীক -- এই শক্তি কেই তো আমরা বিভিন্ন রূপে তোমার উপাসনা করি -- তবে কেন মানুষে মানুষে এত ভিন্নতা --?
এই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবে তুমিই শুধু - পরম শক্তির আধার - অন্ধকার কেটে গিয়ে আলো আসুক এই প্রতীক্ষায় থাকব- আবার একটা বছর - যখন তুমি আবার আসবে চারটি দিনের জন্যে আমাদের কাছে, সব সন্তানদের কাছে-- সেই দিনের প্রতীক্ষায় কেটে যাবে আরও একটা বছর--।
আজ তোমায় সিঁদুর পড়িয়ে মিষ্টি খাইয়ে অশ্রুসিক্ত নয়নে বিদায় জানালাম --।
শুরু হল বিজয়া দশমীর আন্তরিক শুভেচ্ছা ও ভালোবাসার বন্ধনে সবাইকে এক করে নেওয়ার এক সুন্দর মুহূর্ত --। এই মুহূর্তের মধ্যে দিয়েই তুমি দিয়ে গেছ এক মহামিলনের মন্ত্র- যে আমর সবাই তোমার সন্তান।