বাঙালির চেতনায় একুশ - মাহমুদ সালেহীন খান
মাহমুদ সালেহীন খান : সাংবাদিক ও কলামিস্ট
আমার
ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি/আমি কি ভুলিতে পারি/ছেলেহারা শত
মায়ের অশ্রু গড়ায়ে ফেব্রুয়ারি/আমি কি ভুলিতে পারি... কালজয়ী এই গানের
মাধ্যমে ফুটে উঠছে '৫২-এর ভাষা আন্দোলনে শহীদদের মহান আত্মত্যাগের কথা।
১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি পুলিশের গুলিতে সালাম বরকত, রফিক, জব্বারসহ আরো
অনেকে হতাহত হলে, তাদের দেখতে ঢাকা মেডিকেলে যান আবদুল গাফফার। ঢাকা
মেডিকেলের গেটের সামনে তিনি একটি রক্তমাখা লাশ দেখতে পান। লাশটির মাথার
খুলি বুলেটের আঘাতে উড়ে গিয়েছিল। এ লাশটি ছিল ভাষা শহীদ রফিকের লাশ। লাশটি
দেখে তার কাছে মনে হয়, এটা যেন তার নিজেরই ভাইয়ের রক্তমাখা লাশ। সঙ্গে
সঙ্গে তার মনে গানের প্রথম দুইটি লাইন জেগে উঠে।
পরে কয়েকদিনের মধ্যে ধীরে ধীরে তিনি গানটি লিখেন। গানটি প্রথম প্রকাশিত হয় একটি লিফলেটে। সেখানে 'একুশের গান' শিরোনামে কবিতা আকারে ছাপা হয়েছিল গানটি। ১৯৫৩ সালে 'একুশে সংকলনে'ও এটি স্থান পায়।
প্রথমে আবদুল লতিফ গানটিতে সুর করেন। তবে পরে আলতাফ মাহমুদের করা সুরটিই বেশি জনপ্রিয়তা পায়। ১৯৫৪ সালের প্রভাত ফেরিতে প্রথম গাওয়া হয় আলতাফ মাহমুদের সুরে গানটি। এই হলো কালজয়ী গানের ইতিহাস যা আমাদের এখনো অনুপ্রেরণা যোগায়। প্রতিবাদী করে তোলে। এ গানটি এখন শুধু বাংলা ভাষার মানুষই না, সারা বিশ্বের মানুষও শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে। কারণ, একুশে ফেব্রুয়ারি এখন সারা বিশ্বে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালন করা হয়। আর এই গানটি বর্তমানে হিন্দি, মালয়, ইংরেজি, ফরাসি, সুইডিশ, জাপানিসহ ১২টি ভাষায় গাওয়া হয়।
একুশে ফেব্রুয়ারি আমাদের ইতিহাস ও সংস্কৃতির একটা অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। বায়ান্নর এই তারিখটি আমাদের ভাষা আন্দোলনের ইতিহাসের একটি মাইল ফলক হিসাবেই যে বিরাজ করে তা নয়, এটির আরো অনেক তাৎপর্য আছে। এখন আমরা একুশে ফেব্রুয়ারিকে দেখি অন্যায় ও অবিচারের বিরুদ্ধে সংগ্রামের একটি প্রতীক হিসাবে। একুশের অনুভব আমার চেতনায়, মননে, হৃদয়ের গভীরে প্রোথিত। তাই তো কবি অতুল প্রসাদ বলেছেন, মোদের গরব মোদের আশা/আ'মরি বাংলা ভাষা/ওমা তোমার কোলে, তোমার বোলে/ কতই শান্তি, ভালোবাসা।'
যখন প্রথম শহীদ মিনার পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী ভেঙে ফেলে তখন কবি আলাউদ্দিন আল-আজাদের সেই বিখ্যাত চরণ- 'স্মৃতির মিনার ভেঙ্গেছে তোমার? ভয় কী বন্ধু /আমরা এখনও চার কোটি পরিবার/ খাড়া রয়েছি তো!'
ভাষা আন্দোলনের এত বছর পর সেই ৪ কোটি পরিবার এখন প্রায় আঠারো কোটিতে উন্নীত হয়েছে। আমরা কি পেরেছি মাতৃভাষার প্রতি, ভাষা শহীদদের প্রতি সঠিক মূল্যায়ন করতে? পৃথিবীতে একটি মাত্র জাতি যারা ভাষার জন্য রক্ত ঝরিয়েছে, অকাতরে প্রাণ দিয়েছে, তারা 'বীর বাঙালি'। আজ তাদের পরিচয় বাংলাদেশি। স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশের অধিবাসী।
ভাষা শহীদদের আত্মত্যাগের মাধ্যমে বাংলাকে আমরা রাষ্ট্রভাষা হিসেবে পেয়েছি। ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে জাতি হিসেবে আমাদের আত্মপ্রকাশ ঘটেছে। ভাষার চেতনা ও স্বাধিকার বোধের চেতনায় বিকশিত হয়ে আমরা ১৯৭১ সালে অর্জন করেছি স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ।
একুশের চেতনা বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় ইতিবাচক ভূমিকা রেখেছে। ইতিহাসের পাতা ওল্টালে দেখা যাবে, রাষ্ট্রভাষা হিসেবে বাংলা ভাষা স্বীকৃতি পেলেও পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী নানাভাবে বাংলা ভাষাকে নস্যাৎ করার গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল। ১৯৫০ ও ১৯৬০-এর দশকে তারা বাংলা ভাষার বিকৃতি ঘটানোর নানা অপপ্রয়াসে লিপ্ত হয়। যেমন, বাংলা ও উর্দু মিলিয়ে একটা নতুন ভাষা তৈরি করা, বাংলা বর্ণমালা তুলে দিয়ে রোমান হরফে বাংলা প্রবর্তন ইত্যাদি। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যকে জোর করে পাকিস্তানিকরণের চেষ্টাও কম ছিল না। তারা রবীন্দ্রনাথকে বর্জনের অপপ্রয়াসে লিপ্ত হয়েছিল। নজরুলের রচনাকে আংশিক ও খ-িতভাবে গ্রহণের হীন পদক্ষেপও তারা নিয়েছিল। এসব হীন তৎপরতার বিরুদ্ধে তখন আন্দোলনের প্রেরণা জুগিয়েছে একুশ। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের হাজার বছরের ঐতিহ্য রক্ষার ঐ আন্দোলনে একুশ ছিল এক অনির্বাণ প্রেরণা।
ফেব্রুয়ারির একুশ তারিখ এলেই অনেক বড় বড় বক্তৃতার ফুলঝুরি ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু ব্যাপক আকারে গবেষণাধর্মী কোনো ভাষা ইনস্টিটিউট বা সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান এখনো গড়ে তোলা হয়নি। এ ব্যাপারে আমাদের সুশীল সমাজ, বুদ্ধিজীবী, সরকার সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা থাকতে হবে। বিশ্বায়নের যুগে সবাই এগিয়ে যাচ্ছে। আমাদের এগুতে হলে বাংলা ভাষাচর্চাসহ অবশ্যই ইংরেজি এবং অন্যান্য ভাষা জানতে হবে। তার মানে এই নয় যে, আমরা নিজেদের স্বকীয়তা ভুলে যাব। আমাদের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি আমাদের ভাষাকে সামনে রেখে আমরা বিশ্বায়নের সাথে এগিয়ে যাব। আমরা যখন বাংলা ভাষায় কথা বলবো তখন যেন শুদ্ধ উচ্চারণে সুন্দরভাবে বলতে পারি সেদিকে নজর রাখবো। এ কাজটি আমরা পরিবার থেকেই করতে পারি। এজন্য কতগুলো পদক্ষেপ নিতে হবে শুধু কোমলমতি শিশুরা যখন কথা বলে, কথা শুনতে চায় তখন পরিবারের সদস্যরা তাদের সাথে শুদ্ধ উচ্চারণে শুদ্ধ বাংলায় কথা বলবে। আঞ্চলিকতা পরিহার করে প্রচলিত চলিত রীতি অনুসরণ করতে হবে। বিদ্যালয়, মহাবিদ্যালয়ে আমরা আর ভুলে ভরা পাঠ্যবই দেখতে চাই না। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ও প্রশাসনকে সতর্ক হতে হবে। বই পড়ার প্রতি শিশুদের আগ্রহ বাড়াতে হবে। আকর্ষণীয় মলাট এবং রঙিন ছবি, দৃশ্য ইত্যাদি ব্যবহার করে শিশুতোষ বইয়ের সংখ্যা বাড়াতে হবে। সহজ, সাবলীল শব্দচয়নের মাধ্যমে রচনাকে সমৃদ্ধ করতে হবে। বাংলা ভাষার প্রচলন বাড়াতে হবে। তবে তা হতে হবে শুদ্ধ চর্চার মাধ্যমে। প্রয়োজন অনুযায়ী আঞ্চলিক ভাষা থেকে শব্দচয়ন করে, বিদেশি ভাষা থেকে শব্দ সংগ্রহ করে আমাদের শব্দ ভা-ার বাড়াতে হবে। আমাদের দেশে অনেক উপজাতি গোষ্ঠী রয়েছে তাদের ভাষা যাচাই-বাছাই করে শব্দ সংগ্রহ করতে হবে। এই পদক্ষেপগুলোর মাধ্যমে আমাদের বাংলা ভাষার স্বাভাবিক চর্চা আরো সমৃদ্ধ ও শ্রুতিমধুর হবে। ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ভাষার প্রতি যত্নবান হয়ে উঠার তাগিদ অনুভব করতে পারবে।
পরে কয়েকদিনের মধ্যে ধীরে ধীরে তিনি গানটি লিখেন। গানটি প্রথম প্রকাশিত হয় একটি লিফলেটে। সেখানে 'একুশের গান' শিরোনামে কবিতা আকারে ছাপা হয়েছিল গানটি। ১৯৫৩ সালে 'একুশে সংকলনে'ও এটি স্থান পায়।
প্রথমে আবদুল লতিফ গানটিতে সুর করেন। তবে পরে আলতাফ মাহমুদের করা সুরটিই বেশি জনপ্রিয়তা পায়। ১৯৫৪ সালের প্রভাত ফেরিতে প্রথম গাওয়া হয় আলতাফ মাহমুদের সুরে গানটি। এই হলো কালজয়ী গানের ইতিহাস যা আমাদের এখনো অনুপ্রেরণা যোগায়। প্রতিবাদী করে তোলে। এ গানটি এখন শুধু বাংলা ভাষার মানুষই না, সারা বিশ্বের মানুষও শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে। কারণ, একুশে ফেব্রুয়ারি এখন সারা বিশ্বে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালন করা হয়। আর এই গানটি বর্তমানে হিন্দি, মালয়, ইংরেজি, ফরাসি, সুইডিশ, জাপানিসহ ১২টি ভাষায় গাওয়া হয়।
একুশে ফেব্রুয়ারি আমাদের ইতিহাস ও সংস্কৃতির একটা অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। বায়ান্নর এই তারিখটি আমাদের ভাষা আন্দোলনের ইতিহাসের একটি মাইল ফলক হিসাবেই যে বিরাজ করে তা নয়, এটির আরো অনেক তাৎপর্য আছে। এখন আমরা একুশে ফেব্রুয়ারিকে দেখি অন্যায় ও অবিচারের বিরুদ্ধে সংগ্রামের একটি প্রতীক হিসাবে। একুশের অনুভব আমার চেতনায়, মননে, হৃদয়ের গভীরে প্রোথিত। তাই তো কবি অতুল প্রসাদ বলেছেন, মোদের গরব মোদের আশা/আ'মরি বাংলা ভাষা/ওমা তোমার কোলে, তোমার বোলে/ কতই শান্তি, ভালোবাসা।'
যখন প্রথম শহীদ মিনার পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী ভেঙে ফেলে তখন কবি আলাউদ্দিন আল-আজাদের সেই বিখ্যাত চরণ- 'স্মৃতির মিনার ভেঙ্গেছে তোমার? ভয় কী বন্ধু /আমরা এখনও চার কোটি পরিবার/ খাড়া রয়েছি তো!'
ভাষা আন্দোলনের এত বছর পর সেই ৪ কোটি পরিবার এখন প্রায় আঠারো কোটিতে উন্নীত হয়েছে। আমরা কি পেরেছি মাতৃভাষার প্রতি, ভাষা শহীদদের প্রতি সঠিক মূল্যায়ন করতে? পৃথিবীতে একটি মাত্র জাতি যারা ভাষার জন্য রক্ত ঝরিয়েছে, অকাতরে প্রাণ দিয়েছে, তারা 'বীর বাঙালি'। আজ তাদের পরিচয় বাংলাদেশি। স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশের অধিবাসী।
ভাষা শহীদদের আত্মত্যাগের মাধ্যমে বাংলাকে আমরা রাষ্ট্রভাষা হিসেবে পেয়েছি। ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে জাতি হিসেবে আমাদের আত্মপ্রকাশ ঘটেছে। ভাষার চেতনা ও স্বাধিকার বোধের চেতনায় বিকশিত হয়ে আমরা ১৯৭১ সালে অর্জন করেছি স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ।
একুশের চেতনা বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় ইতিবাচক ভূমিকা রেখেছে। ইতিহাসের পাতা ওল্টালে দেখা যাবে, রাষ্ট্রভাষা হিসেবে বাংলা ভাষা স্বীকৃতি পেলেও পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী নানাভাবে বাংলা ভাষাকে নস্যাৎ করার গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল। ১৯৫০ ও ১৯৬০-এর দশকে তারা বাংলা ভাষার বিকৃতি ঘটানোর নানা অপপ্রয়াসে লিপ্ত হয়। যেমন, বাংলা ও উর্দু মিলিয়ে একটা নতুন ভাষা তৈরি করা, বাংলা বর্ণমালা তুলে দিয়ে রোমান হরফে বাংলা প্রবর্তন ইত্যাদি। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যকে জোর করে পাকিস্তানিকরণের চেষ্টাও কম ছিল না। তারা রবীন্দ্রনাথকে বর্জনের অপপ্রয়াসে লিপ্ত হয়েছিল। নজরুলের রচনাকে আংশিক ও খ-িতভাবে গ্রহণের হীন পদক্ষেপও তারা নিয়েছিল। এসব হীন তৎপরতার বিরুদ্ধে তখন আন্দোলনের প্রেরণা জুগিয়েছে একুশ। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের হাজার বছরের ঐতিহ্য রক্ষার ঐ আন্দোলনে একুশ ছিল এক অনির্বাণ প্রেরণা।
ফেব্রুয়ারির একুশ তারিখ এলেই অনেক বড় বড় বক্তৃতার ফুলঝুরি ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু ব্যাপক আকারে গবেষণাধর্মী কোনো ভাষা ইনস্টিটিউট বা সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান এখনো গড়ে তোলা হয়নি। এ ব্যাপারে আমাদের সুশীল সমাজ, বুদ্ধিজীবী, সরকার সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা থাকতে হবে। বিশ্বায়নের যুগে সবাই এগিয়ে যাচ্ছে। আমাদের এগুতে হলে বাংলা ভাষাচর্চাসহ অবশ্যই ইংরেজি এবং অন্যান্য ভাষা জানতে হবে। তার মানে এই নয় যে, আমরা নিজেদের স্বকীয়তা ভুলে যাব। আমাদের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি আমাদের ভাষাকে সামনে রেখে আমরা বিশ্বায়নের সাথে এগিয়ে যাব। আমরা যখন বাংলা ভাষায় কথা বলবো তখন যেন শুদ্ধ উচ্চারণে সুন্দরভাবে বলতে পারি সেদিকে নজর রাখবো। এ কাজটি আমরা পরিবার থেকেই করতে পারি। এজন্য কতগুলো পদক্ষেপ নিতে হবে শুধু কোমলমতি শিশুরা যখন কথা বলে, কথা শুনতে চায় তখন পরিবারের সদস্যরা তাদের সাথে শুদ্ধ উচ্চারণে শুদ্ধ বাংলায় কথা বলবে। আঞ্চলিকতা পরিহার করে প্রচলিত চলিত রীতি অনুসরণ করতে হবে। বিদ্যালয়, মহাবিদ্যালয়ে আমরা আর ভুলে ভরা পাঠ্যবই দেখতে চাই না। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ও প্রশাসনকে সতর্ক হতে হবে। বই পড়ার প্রতি শিশুদের আগ্রহ বাড়াতে হবে। আকর্ষণীয় মলাট এবং রঙিন ছবি, দৃশ্য ইত্যাদি ব্যবহার করে শিশুতোষ বইয়ের সংখ্যা বাড়াতে হবে। সহজ, সাবলীল শব্দচয়নের মাধ্যমে রচনাকে সমৃদ্ধ করতে হবে। বাংলা ভাষার প্রচলন বাড়াতে হবে। তবে তা হতে হবে শুদ্ধ চর্চার মাধ্যমে। প্রয়োজন অনুযায়ী আঞ্চলিক ভাষা থেকে শব্দচয়ন করে, বিদেশি ভাষা থেকে শব্দ সংগ্রহ করে আমাদের শব্দ ভা-ার বাড়াতে হবে। আমাদের দেশে অনেক উপজাতি গোষ্ঠী রয়েছে তাদের ভাষা যাচাই-বাছাই করে শব্দ সংগ্রহ করতে হবে। এই পদক্ষেপগুলোর মাধ্যমে আমাদের বাংলা ভাষার স্বাভাবিক চর্চা আরো সমৃদ্ধ ও শ্রুতিমধুর হবে। ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ভাষার প্রতি যত্নবান হয়ে উঠার তাগিদ অনুভব করতে পারবে।