সুপ্রীমকোর্টের মাননীয় বিচারপতি এস এম মুজিবুর রহমান সম্ভাবনাময়ী তরুণ কবি ও সাহিত্যিকদের স্বিকৃতী স্বরুপ এ সম্মাননা প্রদান করেন।
এ উপলক্ষ্য গত ১০ ডিসেম্বর’১৮ মঙ্গলবার হোটেল গ্লোরিয়াসের তিন তলায় স্মারক প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আয়োজিত অনুষ্ঠানে সম্নাননা স্মারক প্রদান করেন বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমান ও বেগম মজিবুর রহমান।
এসময় অন্যান্য ৩৫ জনকবির সঙ্গে অনুষ্ঠানে সাহিত্যে অবদানের জন্যে কবি ইমতিয়াজ সুলতান ইমরানকে সম্মাননা ২০১৮ প্রদান করা হয় ।
বিচারপতি মুজিবুর রহমান উনার বক্তব্যে কবি ইমতিয়াজ সুলতান ইমরান এর ভূয়সী প্রশংসা করেন।
এ অনুষ্ঠানের রীতি অনুযায়ী বিচারপতি পরিবারের সদস্যবৃন্দ উপস্থিত থেকে কবিকে সম্মাননা প্রদান করেন।
অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কবি কাজী রোজি ও শিশু সাহিত্যিক আসসলাম সানি।
বিচারপতি এস এম মজিবুব রহমান সাহিত্য সম্নাননা স্মারক অনুষ্ঠানে কবি ইমতিয়াজ সুলতান ইমরানসহ ৩৫ জন কবি উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে ১৪ জন কবি তাদের স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন।
একনজরে কবি ইমতিয়াজ সুলতান ইমরান
লেখালেখিঃ
ছেলেবেলা থেকেই যখন যা দেখছেনতা নিয়ে তৎক্ষণাৎ ছড়া লেখার একটা স্বভাব সুলভ সখ।তাঁর প্রথম ছড়া প্রকাশ হয় ১৯৮৮ সালে "দৈনিক বাংলার বাণী" পত্রিকার "শাপলা কুঁড়ির আসর'' পাতায়। এর পর শুধু নয়ের দশকে নিয়মিত লিখছেন বিভিন্ন লিটলম্যাগসহ স্থানীয় ও জাতীয় পত্রপত্রিকায়। ছড়া'র পাশাপাশি গল্প, কবিতাও লিখেন।
২০০০ সালের শুরুতেই অজ্ঞাত কিছু দুস্কৃতিকারীর আক্রমণের শিকার হন তিনি। শুরু হয় অসুস্থ জীবনযাপন। আর মা'কে খুশি রাখতে লেখালেখি পুরোদমে বন্ধ রাখেন।
সম্পাদনাঃ
"দৈনিক যুগভেরী" পত্রিকার "শাপলার মেলার" সহসম্পাদক। "দৈনিক মানচিত্র পত্রিকার"''প্রাণকলি''র সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন দীর্ঘদিন।
গ্রন্থঃ
"তেলমাথা বেলমাথা" (ছড়া), "টেরাম টেরাম যুদ্ধ" (ছড়া), "এই রোদ এই বৃষ্টি" (যৌথ ছড়া), "নশ্বর হাতে শ্বাশ্বত ফুল" (যৌথ কাব্য)
সংগঠনঃ
সাংগঠনিক কাজে আন্তরিক হলেও শারীরিক ও পেশাগত কারণে দায়ীত্ব পালনে নিতান্তই অপারগ। তবু সিলেট সাহিত্য পরিষদ ও ছড়া পরিষদের সঙ্গে নয়ের দশকের শুরু থেকেই সম্পৃক্ত।