বীণকার মিউজিক্যাল সোসাইটি অব বাংলাদেশ-এর যুগপূর্তি উদযাপন উপলক্ষে শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় সংগীত নৃত্যকলা মিলনায়তনে দুইদিন ব্যাপী সংগীতের কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানের প্রথম দুই দিনে বিকেল থেকে
সংগীতের কর্মশালা এবং মঙ্গলবার শেষ দিন বীণকার মিউজিক্যাল সোসাইটির
শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় বৃন্দখেয়াল ও আচার্য জয়ন্ত বোসের তিন শিষ্যের
(পন্ডিত নিলাদ্রী নাথ, খেয়ালী পংকজ বসু ও শ্রীমতি ধৃতি চ্যাটাজী) মেলবন্ধনে
শাস্ত্রীয় সংগীত পরিবেশন করেন। কর্মশালায় প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন
পন্ডিত নিলাদ্রী নাথ এবং ভারতের প্রথিতযশা তবলা বাদক শ্রীভোলানাথ নট্টর।
ভোলানাথ যোগ্য সঙ্গতে কর্মশালাটি প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে। সেই সঙ্গে পন্ডিত
নিলাদ্রী নাথ শাস্ত্রীয় সংগীতের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
এছাড়াও তিনি রাগ, বেহাগ এবং কণ্ঠ পরিচর্যার জন্য পাল্টা গমক তানকে আয়ত্ব
করার জন্য বিভিন্ন স্বর সাধন ও আচার্য জয়ন্ত বোসের কথা ও সূরে একটি রাড়
প্রধান বাংলা গানের তালিম দেন।
এছাড়াও গত ২৫ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংগীত ও
মিলনায়তনে একটি নিরিক্ষাধর্মী শাস্ত্রীয় ও উপশাস্ত্রীয় সংগীত সন্ধ্যা
পরিবেশিত হয়। তৃতীয় পর্বে দ্বৈত খেয়াল পরিবেশন করেন আচার্য জয়ন্ত বোসের দুই
শিষ্যে পন্ডিত নিলাদ্রী নাথ (ভারত) ও খেয়ালী পংকজ বসু। এই দুজনের কণ্ঠের
কারুকার্য ও অসাধারষ গায়কীতে মুগ্ধ হয়ে ওঠে দর্শক শ্রোতা। সেই সঙ্গে গনক
তান ও ছাপাট তান ও সারেগামার মূর্ছনা মহীত হয়ে ওঠেন সবাই।
অনুষ্ঠানের শেষপর্বে উপসাস্ত্রীয়, ঠুমরী, গজল, দাদরা, চৈতি, হোরী, কাজরী
পরিবেশন করেন শ্রীমতি ধৃতি চ্যাটার্জী (মাহানাষ্ট্র, পূনে)। তার অসাধারণ
শ্রুতিমধুর কণ্ঠে বিমোহিত হয়ে গান হয় শ্রোতারা।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব কামাল লোহানী। বিশেষ অতিথি হিসেবে শিল্পকলা একাডেমির সংগীত ও নৃত্য বিভাগের পরিচালন সোহরাব উদ্দিন, প্রাক্তন যুগ্ম সচিব ও উপদেষ্টা (আরএনপিসিবিএল) ও সাংস্কৃতিক পৃষ্ঠপোষক রবীন্দ্রনাথ রায় এবং বিশিষ্ট নাট্যজন শংকর সাওতাল চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।