কবি : ভোলা দেবনাথ
মানচিত্র
সোনা, মধ্য দুপুরে নিশ্চয়ই ছবিটা নিয়ে ঘরে ভবঘুরে? ভাবছি-মধ্য দুপুরের দস্যি মেয়েটাকে,মধ্যরাতের নিঃসঙ্গতা গুণে গুণে। শীতের পাগলামিটা বেড়েই চলেছে তোমার মাঝে। এখানে, শীত, শীতের গভীরে হামাগুড়ি খায় বলেই শীত বুঝিনে সোনা।
সোনা, কেমন আছো বলতেই বুঝি-তোমাদের পাশের গ্রামের রূপালি সভ্রম নিয়ে লুকিয়ে আছে লোকের ভীড়ে। আর বাড়ির পাশের শিমুল গাঁথি রাস্তাটা বেজায় অসহায়। আছড়ে পড়া গাছের গুড়ি, লাঠি সোটার দাপট, ককটেল-পেট্রোল বোমা এ সবই অহঙ্কারে গড়ছে খানাখন্দ। ছোপ ছোপ রক্ত দাগ টানে নিঃসঙ্গতায়। সোনা, উনিশ বায়ান্ন দাদীর ভাটি বেলার সুর, একাত্তর মা’র কোলে শাড়ির লুকোচুরি খেলা, একবিংশ তারকা সোনা-তুমি দুহাজার তেরো।
সোনা তুমি মুক্তিযোদ্ধা
তুমি নতুন প্রজন্মের মুক্ত পরিবেশের প্রতীকী নারী
তুমি একটি দেশ
তুমি নিদিষ্ট সীমানার একটি মানচিত্র।
সোনা, রাতে এখানে বাইরে বেরুলে ঘন কুয়াশার দিনের মতো দেখায়। বন্ধ ঘরের মেয়ের বুঝি দিনরাত সমান দেখায়, এখোন কী অন্ধকার কাটিয়ে ওঠছো। মুক্ত যতোই বলো অন্ধকার পিছু ছাড়বে না। এটা কলঙ্কের বীজ। ভাবছো উপায় কী? নিকৃষ্ট, উলঙ্গ বীজের টুটি চেপে ধরতেই তোমায় অভিযান। ধৈর্য্য ধর, আমাকে আসার একটু সময় দাও সোনা।