মমতাজ বেগম রেখা এর কবিতা
অতঃপর বেঁচে থাকে অনন্ত শোক
চাঁদের সাথেই কোন মাতাল জোছনায়
ভীতু
শব্দগুলো উড়তে উড়তে ক্রমশঃ দেখা পেয়েছিল নিলাম্বরী আঁচলের মতো সে বিশাল
আকাশ, সাদা মেঘের তুলোর তুমুল ওড়াুউড়ি, দুইবেনী দোলানো স্কুলে যাবার
ছায়াঢাকা পথ, অসমাপ্ত কবিতার ভগ্নাংশ, তুমুল পত্রালাপে মুখর বৃক্ষের হরিত
শব্দাবলি, ছায়াছায়া দেবদারু দিঘল রোদের ঝিলিক, কবিতার পংক্তি সাজানো টলটলে
দিঘি ---------।
প্রতিক্ষায় থাকে যে পথ ------
কোন বর্ণিল রঙধনু মগ্ন বিকেলের ঘ্রাণে
কারো দুহাত ভরা স্বচ্ছ কবিতার সজল চোখের মতো টলটলে শ্রাবণে,তাজাতাজা ফুলের সৌরভ নিয়ে কেউ আসবেই তুমি বুঝি জানতেই ---_--_--
তবে এ বর্নাঢ্য ঝঙ্কার , তরঙ্গিত আলোর দরোজা খুলে বেরিয়ে আসোনা কেন?
ক্রমাগত মরুদ্যান , জলছবি, আলোরবহ্নি
ভুলের পসরা সাজানো অন্ধকার গিলে খেতে খেতে অথর্ব অসহায় স্হানু----
চৈএের অনিবার্য পাতা ঝরার করুন নিয়তি দেখে যাবো?
তবে এ নির্ঝরিণী জল ছলছল ছায়ার লাবণ্যে প্রস্ফুটিত সৌরভে অচেনা এ পথ
আমিই সাজিয়ে তুলবো এবার যেন চিরচেনা এই পথ অনন্ত শোকনিয়ে মৃতপ্রাৃয় ঘুমিয়ে নাথাকে
যেন আমি আসবো বলেই ফুটে ওঠে সব ফুল গেয়ে ওঠে সব পাখি
মেঘেরা অনন্ত ক্রন্দনে না ভেজায় রোদেলা হাওয়া।
বেঁচে থাকার তুমুল উম্মাদনার গান ঠোঁটে নিয়েই যে আসবো আমি তাতো জানতেই
তবু কেন বেঁচে থাকে অনন্ত শোক
অনির্বাণ পথে কেন শ্রমে, ঘামে ব্যাগ্র
আবাহনে ওঠেনা তুমুল ফুটে থরে থরে রক্ত অশোক!