কবি: মালেকা ফেরদৌস
জানতে ইচ্ছে করে
কথাগুলো তার কীর্তনখোলার তীর হতে
বাতাসেই ভেসে আসে - এখানে রূপার মতো
শিশির ঝরছে,শার্সিতে কুয়াশার ধবল পরত,
-কেমন আছ তুমি? নদীর মতই অনর্গল
বয়ে যাওয়া স্রোত।-ভালোইতো।
এ সুখী শহরে ভোর হয় হীম হীম শীতে
গাড়ির হর্ন, ফেরিওয়ালার ডাক , বুয়ার বিরক্ত মুখ,
কত কথা- পাথরের নীচে চাপা পড়া ভাষা!
ভালোবাসা, ঘৃণা, বিশ্বাস, বিশ্বাসঘাতকতা
চিরন্তন নীরবতা মৃত শহরের মত সীমাহীন দুঃখ,
অশ্রুজলের ভেতরেই আমাদের পরিতৃপ্তির দীর্ঘশ্বাস!
নামুক নাহয়
অরণ্যের ছায়া কাঁপে হাসির মত
নদীর মত মেয়েটির
ঘাসের ডগায় সবুজ কথার ভাবনাটি ওর-সন্ধ্যা নামে
পাখির ডানায়,-নামুক নাহয়!
শিরোনামহীন
রাতের শরীর যদি ফুলের গন্ধ হয়-
ডালে ডালে পাখির কলকন্ঠে জাগে ভোর
চোখ মেলেই সূর্যের দেখা পাই যদি প্রতিদিন
অবাক রৌদ্রের দুপুর কখনো জানালায়-
গাছেরা কোলাহল তোলে,
ভেজা ঘাস আর মাটির আদ্রতার স্পর্শ
লাবণ্যের স্পর্শ হয়, অসঙ্কোচে অতি অনাবৃত-
নির্নিমেষ মৃত্যুকেও মানি।
নষ্টালজিয়া
সবুজ দ্বীপের ভেতর স্বচ্ছন্দ যাত্রা যে নদীর
বাতাসের তরঙ্গ দোলায় সমুদ্রমুখীন আজ
কতকাল পর, আমার দেয়ালের ছবিগুলোও
রোদের ছোঁয়ায় বেগবান নদী,কত সহজ
দৃশ্যপট- বহুদূরব্যাপি ফেলে আসা সেইসব
দিন - কারো ডাক যেন আজও শুনি।
সময়ের সীমারেখা
আমরা হেঁটে যাই পৃথিবীর তাবত
সাধারণেরা,সন্মুখে কি আছে জানিনা,
যতই ভেদ করতে চাই অবরুদ্ধ
এ সময়ের সীমারেখা
কোন পথ নেই মানুষের আহা!
সুন্দর সুদর্শন যিশুর জন্মদিন এলে
স্নিগ্ধ অশ্বত্থের ছায়ার গল্প করে
পৃথিবীর সব ইঁদুরেরা,-
কপট অশ্রু দেখে যিশু কাঁদেন ।