মুহাম্মদ সাঈদ এর কবিতাগুচ্ছ
কবি : মুহাম্মদ সাঈদ
বৃদ্ধ বনসাঈ
ঝুল বারান্দায়-
গোলাপের টবে ফেলে রেখে গেছো অনুভব;
অস্তিত্বের অলিন্দেও মুহ্যমান তোমার সৌরভ
যাপিত জীবনের হেসেলেও দখলদারী সব
নৈঋতে নগ্ন নারীমূর্তি-সম্মুখে বাসন্তী উৎসব!
হয়ত এতদিনে-
বিভাজনের ইতিহাস ঘেটে রং হারিয়েছে হলুদ কুশন;
কুশলাদি জানতে চায়না এখন আর কেউ-
সহজাত মানুষেরাও বদলায়-যেভাবে বদলেছো তুমি
চোরাবালি থেকে হয়ে,গভীর সমুদ্রের ঢেউ!
মনে রাখোনি-
সফেদ দেয়ালজুড়ে লটকানো তৈলচিত্র,বনেদী আসবাব
ডোরাকাটা একুরিয়াম,ক্যাটফিস,এলোভেরা,বৃদ্ধ বনসাই
তসবীহ,টুপি,জায়নামাজ,একজোড়া ধর্মগ্রন্থ
সুইসুতো,আর্টপেপার,সাদাকালো দেয়াশলাই!
দূরের আকাশে একফোঁটা জল
শারদীয় শুভেচ্ছা নিও প্রিয়-খেরোখাতায় লিখে দিও নিমন্ত্রণের ইতিহাস!
বিবর্তনযাত্রার সতেরো মাস
একমুঠো আলো,একফোঁটা জল দূরের আকাশ
মুক্ত আলোর মত লিখে দিও বাতাসের গায়।
শরত সন্ধ্যায় যখন সাজবে বেলুয়ারী সাজে
বাহারী শাড়ি চুড়ি ঝলমল কারুকাজে
দেবালয় পেরিয়ে আরো কিছুদূর-উত্তর পাড়ায়।
গৌর নিতাই মিষ্টান্ন ভান্ডার
গৌর নিতাই মিষ্টান্ন ভান্ডার-হুটতোলা রিক্সা আর দুচোখের অভিসার-ভুলে গেছে সুহাসিনী,
সব কাহিনী মঙ্গল যাত্রার;
কালের অভিযোজনে কিছু মনে রাখেনি তার!
পদ্মপাতায় একদিন প্রেমপত্র লিখে,জানালার কাছে রেখে সহসা ফিরিয়ে নিয়েছে-সকালের রোদে!
আগন্তুক পূর্ণিমায় কালের প্রতিধ্বনি দেখে,
হয়ত নিজেই মরেছে রুপ আর রহস্যের ক্রোধে!
ব্যাপ্টিস্ট আর ক্যাথলিক পাশাপাশি দুই মিশনারি
সিসিডিবির নির্জন নারিকেল বন-হলুদ শাড়ি চুড়ি!
একজোড়া অপলক কালোচোখ-প্রিয় ক্যাম্পাস,শিরিষ হিজল,সবটাই আছে-একজন নেই অবিকল!