মুহাম্মদ সাঈদ এর গুচ্ছকবিতা
কবি : মুহাম্মদ সাঈদ
অগ্রন্থিত জার্নাল
চৈতালি জোছনায় আমারও চাদ ছুঁতে ইচ্ছে হয়,
কিইবা করবো বলো আশা-নিরাশায়;
এক নিষ্ঠুর দোলাচলে দোদুল্যমান এই তপ্ত হৃদয়!
ইচ্ছে নামের ঘুড়িটাকে অদৃশ্য নাটাই সুঁতোয়
আষ্টেপৃষ্ঠে বেধে রেখে-বারবার ডেকেছে পিছু,
মায়াবিনী দক্ষিনা স্বজনেষু;
অদৃশ্য বন্ধনকে নিষ্ঠুর স্বার্থপরতায়
জগৎশ্রেষ্ঠ বিশ্বাসঘাতকতায়
গভীর সাদৃশ্যে আমার সমগ্র সত্ত্বাকে ঢেলে দিয়েছে!
জীবনযুদ্ধ আর আত্মার মৃত্যুর মুখোমুখি-
পরিচিত পৃথিবী থেকে যোজন যোজন দূরে;
আমার জন্মদাত্রীর অসহায়ত্ত্ব খুব কাছ থেকে দেখেছি;
দেখেছি কংসদের উল্লাসনৃত্য,চিৎকার,ধিক্কার!
বিষন্ন সন্ধ্যায় কেঁদেছি উন্মাদনায়;
হয়তো এমনই বুঝি চেয়েছিলো পরমেশ্বর।
লাভ বার্ড
শহরে সাবালিকা আজো অস্পরী সাজে!
বিরুদ্ধ শব্দের ভান্ডার খুলে আমি উড়াই ফানুস
মানুষের মাতৃত্ব আর দগ্ধভূমির দূরারোগ্য ব্যধি
সচল উৎসবের দারপ্রান্তে কবিতা শোনায়!
শুধরানো সময়ের পূর্ব দ্বারে সূর্যের অপেক্ষায় বসে
মরে গেছে কত গাঙ্গচিল,লাভ বার্ড,মুনিয়া
সাদা পাথরের মাঝে বেড়ে ওঠে ক্যাকটাস
সমাজবিজ্ঞানী সাজে-দহনে,রক্তক্ষরণে!
ধ্রুব সত্যকে সহজাত শস্যভান্ডারে রেখে
মাঠের খতিয়ানে লিখে গেছে ফসলের ঘ্রাণ,
কতশত বুভুক্ষু হাহাকার ফিরিয়ে দিয়েছে সে
তাই আমি সহনশীল-শরবিদ্ধ সজারুর ডানায়!
সোয়া যুগ
বহুবছর পর ফিরে এসে গ্রাম বাংলায়-
মাঠের ধুলো মেখে গায়;
আমার সবটুকু বিলায়ে দিলাম তোমার অধরায়!
অভিমানগুলো রেখে গেলাম তোমার নুপূরে
একরাশ মুগ্ধতায়!
আসছে চৈত্রপূর্ণিমায়!!
সোয়াযুগ কিংবা সতের বছরে
অলস সন্ধ্যার নিয়মের ঘরে
কতশত অজানা ঢেউ,কতবার নবজন্ম লাভে
দূপারে আছরে পরে,দেখেছি কিভাবে
ষোড়শী নারীর মত অবিরত যৌবন যন্রনায়!