সীতাসংসার
ভালোবাসার নামে জীবনের দামে কেনা এক সীতার সংসার,
জাগতিক জীবনের সব স্বপ্ন পোড়িয়ে পেলাম এক অগ্নিকুন্ড।
ভালোবাসায় যদি বিশ্বাস না থাকে , বেঁচে থাকার কি মানে!
নিজেকে পোড়িয়ে সতীত্ব প্রমানের চেয়ে নিঃশব্দে পোড়ে যাওয়াই ভাল জানে।
ভাঁটফুল
অজস্র বছরের ক্লান্তি শেষে ঘরমুখো ধূসর ডানার চিল,
অবসন্ন বিকেলে শ্বেত পাথরের ছড়াছড়ি পথে ও প্রান্তরে
সমস্ত দিনের শেষে তোমার ফেরার পথে পায়ে পায়ে ঘাসফুল।
অথচ ভালোবাসা আজ ফেরার, অদ্ভুত অন্ধকার মুখোমুখি;
আমার সকালগুলো কেবলই সূর্যমুখী স্বপ্নের ভেতরে হেঁটে যায়।
জীবন স্বপ্নের শহর ছেড়ে ধূলোমাখা পথে ফোঁটে থাকা ভাঁটফুল।
সম্পর্কের ব্যবচ্ছেদ
মৃত্যু নিবন্ধন হয়ে গেলে সম্পর্কের খেড়োপাতা ভেসে ওঠে
ষ্টেশন ছেড়ে যাওয়া ট্রেনের হুইসেল রাতের স্তব্ধতার ইতি টানে
পূজার শেষে রক্ত জবা বিচ্ছিন্ন ভাবে পূজারীরাই ছাঁটে
তবে তুমি কোন সম্পর্কের কথা বলবে, নিজের বাইরে কে কতটা মানে।
নিজের অপরাগতা নিয়ে আত্মহত্যা করা যায় না,
সম্পর্কে ঘুণ ধরে গেলে বেদ বমি হয় আঁচিলের ধারে
বিশ্বাসের আয়না ভেঙে দিয়ে নিজেকে দেখার বায়না
হৃৎপিণ্ড কেটে হাতে তুলে দিয়ে বলো কে আর মারে।
তুমিও থাকবে
পাতাকুড়ানীর গল্প শেষ হলেই তুমি স্বাধীন
আসছে হেমন্তে তুমি আমাকে ছাড়াই থাকবে।
বারান্দায় রাখা তুলসী গাছ,পাথড়কুচি গাছ
বৃষ্টি হলে অনায়েসেই জল পাবে
ছাদে উঠার সিঁড়ি যদি জিজ্ঞেস করে, দূরত্ব কেন?
আলমারিতে রাখা বই ধূলোর ভেতরে যেতে যেতে যদি জানতে চায়, তোমার হাত কোথায় ?
অনায়েসেই বলে দিবো অধিক বৃষ্টিপাতে জল খুঁজে নেয় চলার পথ
তুমিও আমাকে ছাড়াই থাকবে (?)
এই শরতের আকাশ থেকে মেঘ কেটে গেলে হেমন্ত
আসছে শীতে মখমলের বিছানায় সুখের চাদর মোড়ানো
জীবনের আরশীতে ভাগ্য দেখা যায় না
যে শবযাত্রায় শোকের বাহক
লালপেড়ে সাদা ধুতি পরে সে ও উৎসবে নাচে
তুমি আমাকে ছাড়াই থাকবে (?)
আমি তো ছায়াকে অতিক্রম করতে পারি না
ভোর হলে যে পাখি ডাকে,
সে হয়তো জানবেই না কেউ এখন আর ঘুমায় না।
এই হেমন্তেও বাঁশিতে সুর ওঠবে
এই চাঁদের আলো হয়তো জানবে না, বাঁশি ও কাঁদে
পাশাপাশি থাকতে গেলে হাত লেগে যাবে হাতে
সেও যদি প্রশ্ন তুলো,হাতের উপর
কে আর দূরত্ব মেপে সম রৈখিক পথ বানাবে (?)
তুমি আরও ভালো থাকতে সাজবে আসছে বসন্তে
আমি তোমার সব স্পর্শ পালক করে উড়ে যাবো শূন্যে।