যতোই বলো আমি আজো সেই শৈশবের নির্জন
ছায়ার মধ্যে ডুবে আছি
সেই মর্নিং ইশকুল, রেনিডে,পুকুরঘাট
আজো আমি ধানের গন্ধে ডুবিয়ে রেখেছি শরীর;
কান পাতালে সারাক্ষন শুনতে পাই টুপটাপ ওস পড়ার শব্দ
আমার পক্ষে অনেক কিছু গুলিয়ে ফেলাই স্বাভাবিক, মাঝে মাঝে
আমার দু’চোখ ভিজে উঠাই স্বাভাবিক।
আমি শপিংমল, মোটরগাড়ি, কলিংবেল কীভাবে চিনবো
আমি চিনি হাটখোলা,ধানশালিখ,গুদারাঘাট
এখনো ঘুমোতো যাওয়ার আগে নদীর সাথে রোজ একবার আমার কথা হয়
তাকে কী যে বলি আর কী যে বলি না, আমার যতো দুঃখ,সুখ
ভালোবাসা।
আমি আজো দুপুরবেলায় এই মন- খাঁ খাঁ- করা সময়টাতে
কোন একটা বটগাছের নিচে গিয়ে বসি
বটগাছে সব সময় এতা বাতাস যে কোথা থেকে আসে, পাতাগুলি
গান করে;
যতোই বলো আমি কীভাবে মুখস্থ করি মোবাইল, এসএমএস,
আমার চারপাশে ঘুরঘুর করে ফড়িং, জোনাকি,কালো পিঁপড়ে
দ্যাখো না আমার দুচোখে ভরা উতল বর্ষাকাল,
আমি এই মাটির মেঝেতে মেঘের সাথে শুয়ে থাকি,
যতোই বলো আমি আজো সেই শৈশবের অথৈ ধ্বনিপুঞ্জের মধ্যে
ডুবে আছি।