রক্তরাখি : নিছক কোনো উপন্যাস নয়
অমর একুশে বইমেলা ২০১৬ উপলক্ষে প্রকাশ কবি ও কথাসাহিত্যিক ছানোয়ার
হোসেনের ৩য় উপন্যাস ‘রক্তরাখি’। গবেষণাধর্মী এ উপন্যাসে গ্রামবাংলার সবুজ
চিত্রপট, স্বাধীনতা, ভাষাপ্রেম, জীবনের অপ্রকাশিত নানা ঘোর প্রতিফলিত
হয়েছে।
‘রক্তরাখি’ উপন্যাসের বয়ান ও বুননের নিজস্বতা চিরচেনা। এখানে কথাসাহিত্যিক ছানোয়ার হোসেন ও তাঁর গ্রন্থ সম্পর্কে আঙুল উঁচিয়ে আলোচনা করার অবকাশ রাখে না। সেই বয়ান, শব্দ বুনন, শব্দের গবেষণামূলক ভঙ্গিমা যা পাঠকরা আগের দুই গ্রন্থে পেয়েছেন। আর তা এখনো বিদ্যমান।
গ্রন্থটির দু’টি মূল চরিত্র ‘মানিক’ ও ‘রতন’ একেবারে সাদামাটা দৃশ্যায়নে সত্যি ভাবিয়ে তুলবে। গ্রন্থটিকে নিছক কোনো উপন্যাস বললে ভুল হবে। এটি একটি গবেষণামূলক রচনা।
আমি বইটি যতবার পড়েছি, নিজেকে ভেবেছি ‘মানিক-রতন’। খুঁজেছি- তাদের মায়ের মত স্নেহময়ী মা’কে। প্রবেশ করেছি ১৯৭১-এ। রক্ত টগবগ করেছে। হ্যাঁ, মানিক-রতন তেমনি দু’টি সাহসী চরিত্রের নাম। ছানোয়ার হোসেনকে মনে হয়েছে মরবিড, স্পর্শকাতর ও গ্রোটেস্ক। গ্রন্থের প্রধান অবলম্বন তার স্বতন্ত্র ভাষা। গ্রন্থটি পাঠে বুঝেছি, এটি পরবর্তী তরুণ লেখকদেরকে প্রভাবিত করবে নিঃসন্দেহে।
সত্য অপ্রিয়। তবুও গ্রন্থে কম্পপুরকে ঘিরে মনের অন্ধকার, পিচ্ছিল ও বেখাপ্পা কন্দর থেকে কিছু সত্য টেনে-হিঁচড়ে বের করার যে হিম্মত তিনি দেখিয়েছেন, তা নতুন এক মাইলফলক। তাই মনে করি, তাঁর এ গ্রন্থের শরীর বেশ পেশীবহুল। কিন্তু শব্দের দ্যোতনায় সাঙ্গিতিক আবহ সৃষ্টিতে তিনি অনাগ্রহী ছিলেন। গ্রন্থের শুরু থেকে শেষ অবধি একটি ঘোরলাগা চরিত্র পাঠ করবেন পাঠকগণ।
উপন্যাসটি পাঠকদের কখনো মুগ্ধতার স্রোতে ভাসিয়ে নিয়ে যাবে, কখনো নির্ভয়ে হেঁটে-হেঁটে এগিয়ে নিয়ে যাবে আবার কখনো বা হোঁচট খেয়ে স্মরণ করিয়ে দেবে শব্দের যাদুবিদ্যাকে। তবে তার গ্রন্থে ভাষাগত, বানানগত ও শব্দচয়নে বেশকিছু ত্রুটি লক্ষণীয়। আশাকরি লেখক পরবর্তী পদক্ষেপে এ ভুল-ত্রুটি থেকে সাবধান থাকবেন।
বইটি প্রকাশ করেছে রিয়া প্রকাশনী। চমৎকার প্রচ্ছদ এঁকেছেন ড. সিদ্ধার্থ তালুকদার। বইটির বিনিময় মূল্য রাখা হয়েছে ২শ’ টাকা। বইটির পরিবেশক পার্ল পাবলিকেশন্স।
আলোচক: কবি ও কথাসাহিত্যিক।
‘রক্তরাখি’ উপন্যাসের বয়ান ও বুননের নিজস্বতা চিরচেনা। এখানে কথাসাহিত্যিক ছানোয়ার হোসেন ও তাঁর গ্রন্থ সম্পর্কে আঙুল উঁচিয়ে আলোচনা করার অবকাশ রাখে না। সেই বয়ান, শব্দ বুনন, শব্দের গবেষণামূলক ভঙ্গিমা যা পাঠকরা আগের দুই গ্রন্থে পেয়েছেন। আর তা এখনো বিদ্যমান।
গ্রন্থটির দু’টি মূল চরিত্র ‘মানিক’ ও ‘রতন’ একেবারে সাদামাটা দৃশ্যায়নে সত্যি ভাবিয়ে তুলবে। গ্রন্থটিকে নিছক কোনো উপন্যাস বললে ভুল হবে। এটি একটি গবেষণামূলক রচনা।
আমি বইটি যতবার পড়েছি, নিজেকে ভেবেছি ‘মানিক-রতন’। খুঁজেছি- তাদের মায়ের মত স্নেহময়ী মা’কে। প্রবেশ করেছি ১৯৭১-এ। রক্ত টগবগ করেছে। হ্যাঁ, মানিক-রতন তেমনি দু’টি সাহসী চরিত্রের নাম। ছানোয়ার হোসেনকে মনে হয়েছে মরবিড, স্পর্শকাতর ও গ্রোটেস্ক। গ্রন্থের প্রধান অবলম্বন তার স্বতন্ত্র ভাষা। গ্রন্থটি পাঠে বুঝেছি, এটি পরবর্তী তরুণ লেখকদেরকে প্রভাবিত করবে নিঃসন্দেহে।
সত্য অপ্রিয়। তবুও গ্রন্থে কম্পপুরকে ঘিরে মনের অন্ধকার, পিচ্ছিল ও বেখাপ্পা কন্দর থেকে কিছু সত্য টেনে-হিঁচড়ে বের করার যে হিম্মত তিনি দেখিয়েছেন, তা নতুন এক মাইলফলক। তাই মনে করি, তাঁর এ গ্রন্থের শরীর বেশ পেশীবহুল। কিন্তু শব্দের দ্যোতনায় সাঙ্গিতিক আবহ সৃষ্টিতে তিনি অনাগ্রহী ছিলেন। গ্রন্থের শুরু থেকে শেষ অবধি একটি ঘোরলাগা চরিত্র পাঠ করবেন পাঠকগণ।
উপন্যাসটি পাঠকদের কখনো মুগ্ধতার স্রোতে ভাসিয়ে নিয়ে যাবে, কখনো নির্ভয়ে হেঁটে-হেঁটে এগিয়ে নিয়ে যাবে আবার কখনো বা হোঁচট খেয়ে স্মরণ করিয়ে দেবে শব্দের যাদুবিদ্যাকে। তবে তার গ্রন্থে ভাষাগত, বানানগত ও শব্দচয়নে বেশকিছু ত্রুটি লক্ষণীয়। আশাকরি লেখক পরবর্তী পদক্ষেপে এ ভুল-ত্রুটি থেকে সাবধান থাকবেন।
বইটি প্রকাশ করেছে রিয়া প্রকাশনী। চমৎকার প্রচ্ছদ এঁকেছেন ড. সিদ্ধার্থ তালুকদার। বইটির বিনিময় মূল্য রাখা হয়েছে ২শ’ টাকা। বইটির পরিবেশক পার্ল পাবলিকেশন্স।
আলোচক: কবি ও কথাসাহিত্যিক।