রজব বকশী । কবিতাগুচ্ছ
রজব বকশী । কবিতাগুচ্ছ
Π রজব বকশীর পরিচিতি 
জন্ম: ১ অক্টোবর ১৯৬৫,  বকশীগঞ্জ, জামালপুর। 
পিতা: হায়দার আলী। মাতা: অজিফা খাতুন।
পেশা:শিক্ষকতা (সহকারী অধ্যাপক)
ছড়ার বই ১টি: ডুমুর ফুলের মউ।
কবিতার বই ৪ টি: ধূসর এলবাম,উদ্ধত আঁধার, যে হাতে পায়রা ওড়ে ও সেইসব দরজা জানালা জেগে ওঠে। 
মুক্তিযুদ্ধ,ইতিহাস ঐতিহ্য ও লোকসংস্কৃতির উপর গবেষণাগ্রন্থ ২টি : জামালপুর জেলার মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও জামালপুর জেলার ইতিহাস। 
সম্পাদক : আরশি 
গীতিকার : বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশন।

Π ক্ষুধা 

ফুল ফোটানো কথার চেয়ে জেনে গেছি
ভাত ফোটানো কথাই সকলের প্রিয়

তবু ফুলের কদর কখনো কমে না

যতই মনের কথা বলে জেগে থাকি
শরীর এড়িয়ে প্রেম মৌচাক হয় না

যদিও কাঁটার ফণা দিনরাত দংশন করে 

Π দহন 

খুঁজে পাচ্ছি না কোথাও। চল্লিশ বছর.....

হ্যাঁ,গাছটি এইখানে ছিলো আজ নেই। 
যার নিচে বসে কত কৃষ্ণলীলা গেছে।চোখ বুজে
এখনো দেখতে পাই 

আজ এইখানে দেখি বড় বড় দালানের ঢেউ 
পিচ ঢালা পথ বহুদূর গেছে।

সেই গাছটি বুকের মধ্যে নিয়ে ফিরবো, ভাবিনি 

Π কদম ও বৃষ্টির গান 

কদম কদম মনে উড়ে মেঘ ও বৃষ্টির গান 

সেই মনের রুমালে লেখা 'তুমি আমায় ভুলো না'

আষাঢ়ে কেবলি গালগপ্প নয়,পিছু টেনে ধরে 

কত রাবেয়া সীতার বিষণ্নতা, প্রফুল্ল সময় 

নকশিকাঁথার থেকে উঁকি দেয় ফুল পাখি নদী

নয়া মনে নয়া মাছ স্বপ্নগুলো উজানে লাফায়

কাক ভেজা বাড়ি ফেরা রাম রহিমের 

এই আষাঢ়ে প্রথম ফোটা কদমের ফুল কত কথা বলে 

আমি তার ছিটেফোঁটা নিয়ে জেগে উঠি

Π চরমপত্র 

চরম বিপদে বেড়াল বাঘের মাসি হয়ে ওঠে 
দেখি ইঁদুরের উপদ্রব বেড়ে গেছে 
ঘরে বাইরে তুমুল ঘেউ ঘেউ 

আমি মানুষ ছিলাম 
আছি হে বিনয়ী 
মানুষ হবার সবপথ খোলা আছে 

রুচিবোধের দুর্ভিক্ষে শামুকের মত
নিজেকে গুটিয়ে নিচ্ছে কারা?এই প্রশ্নের উত্তর 
বাংলাদেশের হাওয়া জল মাটি ছুঁয়ে ডানা মেলে 
তাদের খুঁজছে আজ সময়ের ঢেউ 


Π রোগী 

এই রোগীর ক্ষত একদিনের নয়
ধীরে ধীরে বেড়ে গেছে
দৈর্ঘ্য ও প্রস্থে 

গভীরতাও 
বহুমুখি
বহুদূর পর্যন্ত বিস্তৃত 

ভেতরে ভেতরে পুঁজের সমুদ্র হয়ে গেছে
মুখ ফেটে বাইরেও উপচে পড়ছে
দুর্গন্ধে মাছি ভনভন করে

হাসপাতাল ডাক্তার নার্স কোনদিকে..... 


সাবস্ক্রাইব করুন! মেইল দ্বারা নিউজ আপডেট পান