রহমান হাবিব এর কবিতা
বালিয়াড়ি
শেষবার যখন সমুদ্রের কাছে গেলাম
পড়ে থাকা শক্ত শিকড় দিয়ে
সৈকতে লিখেছিলাম আমার নাম।
কেনো লিখেছি, কে জানে!
সৈকতে কিছুই টিকে থাকে না।
জোয়ার আসে,
ঢেউ আসে,
মানুষের পায়ের ছাপে
বিলীন হয়ে যায় সব লেখা।
আমার নামও মুছে গিয়েছিল।
জোয়ারের আগে
তখনো ঢেউয়ের উপদ্রব শুরু হয়নি,
মানুষের আনাগোনা ছিলো আরো পরে।
একটুকরো এলোমেলো বাতাসে
আমার লেখার উপর
জমা হলো সহস্র বালুকনা,
আমি নিশ্চিহ্ন হয়ে গেলাম।
চুক্তি
তোমার সাথে প্রেম হবে না,
ভাব হবে না,
এক পথেরই পথিকও নই।
তোমার আকাশ ডানে রেখে
আর আকাশে ঘুড়ি উড়াই,
তোমার বিকেল তোমায় দিয়ে
সারা দুপুর রোদে পুড়ি।
তোমার চুলের গন্ধ নিয়ে
ফাগুন বেলায় যে ফুল ফোটে,
তার কোন নাম দেইনি আমি।
তবু তুমি দুঃখ দেবে
এটাই হলো শেষের কথা।
বাকি কথা আর হবে না,
অবহেলাই পাওনা আমার।
সাপুড়ে
সাপের বিষে কি যে থাকে!
নীল হয়ে যায় সারা শরীর।
যে জন মরে,
সেই জেনেছে কেমন জ্বালা সাপের বিষে।
সাপের বিষেই পথ্য আবার।
অমন নীলাভ মরণ ছোবল
তারই বিষে ম্লান হয়ে যায়।
এক সাপুড়ে
দিনে রাতে হন্যে হয়ে
বিষের নানান পথ্য বানায়।
পাশের গাঁয়ের এক সরলার
মায়া চোখের ছোবল খেয়ে
এক বিকেলে সেই সাপুড়ে হারিয়ে যায়।
আর ফেরে না, আর ফেরেনি।